উৎপাদন ও সরবরাহ স্বাভাবিক রাখতে চীনের বিকল্প খোঁজার পরামর্শ

0
80

বাংলা খবর ডেস্ক: চীনে করোনার প্রভাব কিছুটা কমায় দেশটি থেকে পণ্য আমদানি শুরু হয়েছে। দেশটিতে এরইমধ্যে নববর্ষের ছুটির পর সতর্কতার সঙ্গে কারখানাগুলো খুলতে শুরু করেছে। এ তথ্য নিশ্চিত করেছে বাংলাদেশ চায়না চেম্বার অব কমার্স। বেশ কিছু জাহাজ পণ্য নিয়ে বাংলাদেশের পথে আছে বলেও জানানো হয়েছে। তবে, উৎপাদন ও সরবরাহ স্বাভাবিক রাখতে চীনের বিকল্প আমদানি বাজারের কথা ভাবার পরামর্শ দেন অর্থনীতিবিদ ড. গোলাম মোয়াজ্জেম।

চীন থেকে দু থেকে তিন মাসে গড়ে আড়াই থেকে সাড়ে তিন বিলিয়ন ডলারের পণ্য আমদানি হয়। এরমধ্যে দেশের সবচেয়ে বড় রফতানি খাত তৈরি পোশাক শিল্পের কাঁচামালই সাড়ে ৮শ থেকে ১ বিলিয়ন ডলার। হঠাৎ করেই করোনার প্রাদুর্ভাবে চীনের সঙ্গে বাণিজ্যে ভাটা পড়ে। ফেব্রুয়ারির মাঝামাঝিতে চীন থেকে আমদানি নির্ভর ১৪টি খাত চিহ্নিত করে উৎপাদন ও সরবরাহে নেতিবাচক প্রভাব পড়ার আশঙ্কা জানিয়ে সরকারকে একটি প্রতিবেদন দেয় ট্যারিফ কমিশন। গত একমাসেই অভ্যন্তরীণ বাজারে বেশ কিছু চীনা পণ্যের দাম বেড়ে গেছে। মজুদ কাঁচামালের ভাণ্ডার ফুরিয়ে যাওয়ার রফতানিমুখী শিল্প খাতের ব্যবসায়ীদের কপালে চিন্তা ভাঁজ পড়েছে।

তবে, আশার কথা চীনের নতুন বছর উদযাপনের বন্ধের শেষে করোনার প্রকোপ কমে আশায় কারখানা খুলতে শুরু করেছে। চলতি মাসের শেষের দিকে বেশ কিছু কন্টেইনারবাহী জাহাজ এসে পৌঁছবে বাংলাদেশে।

বাংলাদেশ চায়না চেম্বার অব কমার্সের যুগ্ম সাধারণ আল মামুন মৃধা বলেন, আশার কথা হলো দেশটিতে কারখানা খুলতে শুরু করেছে। সবাই তার পণ্যের জন্য আশা করে আছে। সেক্ষেত্রে আমরা কতটুকু সমঝোতা করতে পারবো তাদের সাথে, আমাদের পণ্য আগে খালাস করতে হবে, তার উপর নির্ভর করবে কত তাড়াতাড়ি তাদেরটা নিতে পারবো। এ মুহূর্তে চিন্তার বিষয় হচ্ছে যে দেশগুলোতে এক্সপোর্ট করছি, বিশেষ করে ইউরোপ ও ইউএস বেল্টে ওই জায়গাগুলো ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে কিনা, সেটা আমাদের ব্যবসার উপরে কতটা প্রতিফলন করবে সেটা দেখার বিষয়।

মোট আমদানির অন্তত ২৫ ভাগ আসে চীন থেকে। করোনার প্রভাবে চীন থেকে আমদানি ঘাটতির স্বল্প মেয়াদে মূল্যস্ফীতি বাড়তে পারে এমন আশঙ্কা অর্থনীতিবিদদের।

অর্থনীতিবিদ ড. গোলাম মোয়াজ্জেম বলেন, দু থেকে তিন মাসের জন্য উচিৎ হবে বিকল্প উৎস থেকে আপদকালীন আমদানি শুরু করা। এ ধরনের পরিস্থিতি দীর্ঘ হলে অনেক ছোট বা মাঝারি আকারের শিল্প কারখানার উৎপাদন থেমে যেতে পারে। এমনকি কেউ কেউ বন্ধ করে দিতে পারেন। আশা করছি সেই পরিস্থিতি বড়ভাবে দেখা যায়নি।

২০১৮-১৯ অর্থবছরে চীন থেকে ১ হাজার ৩৮৫ কোটি ডলারের পণ্য আমদানি ও ৮৩ কোটি ডলারের পণ্য রফতানি করে বাংলাদেশ। সরাসরি ১৯ টি জাহাজে চীন থেকে পণ্য আসলেও ফেব্রুয়ারিতে চট্টগ্রাম বন্দরে আসে পণ্যবাহী ৮টি জাহাজ।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here