বাংলা খবর ডেস্ক:
কাতার ভিত্তিক টেলিভিশন চ্যানেল আলজাজিরার বাংলাদেশে সম্প্রচার বন্ধের নির্দেশনা চেয়ে দাখিল করা রিট আবেদন গ্রহণযোগ্য কি না, একটি আন্তর্জাতিক মিডিয়ার সম্প্রচার বন্ধে আদেশ দিতে পারে কি না সে বিষয়ে আইনি মতামত জানালেন সুপ্রিম কোর্টের সিনিয়র ৬ আইনজীবী।
সাবেক অ্যাটর্নি জেনারেল অ্যাডভোকেট এ জে মোহাম্মদ আলী ও ব্যারিস্টার ফিদা এম কামাল, অ্যাডভোকেট কামালুল আলম, সাবেক আইনমন্ত্রী অ্যাডভোকেট আব্দুল মতিন খসরু, প্রবীর নিয়োগী ও ড. শাহদীন মালিক অ্যামিকাস কিউরি (আদালতের বন্ধু) হিসেবে তাদের অভিমত দিয়েছেন। এদের মধ্যে অধিকাংশ আইনজীবীই বলেন, রিট আবেদন করার আগে আল জাজিরা টিভি কর্তৃপক্ষকে আইনি নোটিশ না দেওয়ায় আইনগতভাবে এ রিট চলতে পারে না। আর মাত্র একজন রিট আবেদনের পক্ষে অভিমত দিয়েছেন।
বিচারপতি মো. মজিবুর রহমান মিয়া ও বিচারপতি মো. কামরুল হোসেন মোল্লার হাইকোর্ট বেঞ্চে আজ সোমবার ওই সিনিয়র আইনজীবী অভিমত দেন। হাইকোর্ট গত ১০ ফেব্রুয়ারি এক আদেশে ওই ৬ আইনজীবীকে অ্যামিকাস কিউরি হিসেবে নিয়োগ দেন। এদিকে আগামীকাল ১৭ ফেব্রুয়ারি এবিষয়ে অ্যাটর্নি জেনারেলের বক্তব্য শুনবেন আদালত।
সোমবার আদালতে শুনানিকালে রিট আবেদনকারী ব্যারিস্টার এম. এনামুল কবির ইমন, বিটিআরসির পক্ষে ব্যারিস্টার খন্দকার রেজা-ই রাকিব এবং রাষ্ট্রপক্ষে ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল নওরোজ মো. রাসেল চৌধুরী উপস্থিত ছিলেন।
বাংলাদেশে আল জাজিরার সম্প্রচার বন্ধের নির্দেশনা চেয়ে ব্যারিস্টার এম. এনামুল কবির ইমন গত ৮ ফেব্রুয়ারি হাইকোর্টে রিট আবেদন দাখিল করেন। রিট আবেদনে বাংলাদেশকে নিয়ে সম্প্রতি আল জাজিরায় প্রচারিত প্রতিবেদন ইউটিউব, টুইটার, ফেইসবুকসহ সকল অনলাইন প্লাটফরম থেকে সরানোর নির্দেশনা চাওয়া হয়। রিট আবেদনে ডাক ও টেলিযোগাযোগ সচিব, তথ্য সচিব, স্বরাষ্ট্র সচিব, বিটিআরসির চেয়ারম্যান, পুলিশের আইজিসহ সংশ্লিষ্টদেরকে বিবাদী করা হয়েছে।
‘অল দ্যা প্রাইম মিনিস্টার মেন’ শিরোনামে গত পহেলা ফেব্রুয়ারি আল জাজিরায় প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়। এরইমধ্যে এ প্রতিবেদন ভিত্তিহীন উল্লেখ করে পররাষ্ট্র, স্বরাষ্ট্র ও তথ্য মন্ত্রণালয়, আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তর (আইএসপিআর), পুলিশ সদর দপ্তর থেকে পৃথক পৃথক বিবৃতি দিয়ে প্রতিবাদ জানানো হয়েছে।
এ ছাড়া সরকারের বিভিন্ন মহল থেকেও প্রতিবাদ ও ক্ষোভ প্রকাশ করা হয়েছে। বাংলাদেশের সাংবাদিক মহল থেকেও প্রতিবাদ জানানো হয়েছে। বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের) বিএফইউজে) একাংশ বাংলাদেশে আল জাজিরার সম্প্রচার বন্ধের দাবি জানিয়ে বিবৃতি দিয়েছে। এ অবস্থায় হাইকোর্টে রিট আবেদন করা হয়।