আর্ন্তজাতিক ডেস্ক: যুক্তরাজ্যে বসবাসরত রাশিয়ার সাবেক গোয়েন্দা (পক্ষত্যাগী) সের্গেই স্ক্রিপাল ও তার কন্যাকে হত্যার চেষ্টা করার পর রাশিয়ার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার উদ্যোগ নিয়েছে যুক্তরাজ্য।
গত রবিবার নার্ভ গ্যাসের হামলায় সের্গেই স্ক্রিপাল ও তার কন্যা ইউলিয়া স্ক্রিপাল গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়েছেন। এ হামলার পেছনে রাশিয়ার হাত আছে বলে অনেকটা নিশ্চিত হয়েছে যুক্তরাজ্য।
রাশিয়ার বিরুদ্ধে কী ব্যবস্থা নেওয়া হতে পারে তা নিয়ে যুক্তরাজ্যের ‘ন্যাশনাল সিকিউরিটি কাউন্সিল’ আলোচনায় বসছে আজ। এতে কী ধরনের ব্যবস্থা নেওয়া হবে তা নিশ্চিত না হলেও কূটনৈতিক বহিষ্কার কিংবা অর্থনৈতিক নিষেধাজ্ঞা আরোপের চিন্তাভাবনা করা হচ্ছে বলে জানিয়েছে স্থানীয় সংবাদমাধ্যমগুলো।
এর আগে নার্ভ গ্যাস হামলার ঘটনা প্রকাশিত হলে তারা যেখানে অসুস্থ হয়েছেন, সেই সলসবারি শহরে ও ঘটনাস্থ সেনাবাহিনী তলব করা হয়। ব্রিটিশ সেনাবাহিনী, রয়েল নেভি ও রয়েল এয়ার ফোর্সের বিশেষজ্ঞদের ঘটনাস্থলে তদন্ত করতে দেখা যায়। সেখানে অন্তত ১৮০ জন সামরিক বাহিনীর সদস্য মোতায়েন করা হয়।
যুক্তরাজ্যের হয়ে চরবৃত্তির দায়ে রাশিয়ায় দোষী সাব্যস্ত হন স্ক্রিপাল। পরে তিনি যুক্তরাজ্যে আশ্রয় পান।
স্ক্রিপাল একসময় রাশিয়ার সামরিক গোয়েন্দা সংস্থা জিআরইউয়ের কর্নেল ছিলেন। বিশ্বাসঘাতকতার দায়ে ২০০৬ সালে রাশিয়ায় তাঁর ১৩ বছরের কারাদণ্ড হয়। ১০ জন মার্কিন গুপ্তচরের বিনিময়ে ২০১০ সালে তিনি ছাড়া পান। পরে স্ক্রিপাল যুক্তরাজ্যে পাড়ি জমান।
যে নার্ভ গ্যাসে আক্রান্ত হয়েছেন স্ক্রিপাল ও তার কন্যা সেই গ্যাসটি সাধারণত কোনো সন্ত্রাসী গোষ্ঠী বানাতে পারে না। তবে বিভিন্ন দেশের সরকার তা বানাতে সক্ষম।
এর আগেও পক্ষত্যাগী রাশিয়ান গুপ্তচরকে হত্যা করেছিল রাশিয়া। তবে সে অভিযোগ বরাবরই দেশটি অস্বীকার করে এসেছে।