মতিয়া চৌধুরী শিক্ষার্থীদের ‘রাজাকারের বাচ্চা’ বলেননি এমন মন্তব্য করে নিজের ফেসবুকে একটি স্ট্যাটাস দিয়েছেন কানাডিয়ান ইউনিভার্সিটি অফ বাংলাদেশের-এর প্রফেসর মোহাম্মদ এ. আরাফাত।
তিনি বলেছেন, মতিয়া চৌধুরীর বক্তব্য শুনলাম। বক্তব্য অত্যন্ত পরিষ্কার। আন্দোলনরত সাধারণ শিক্ষার্থীদের তিনি ‘রাজাকারের বাচ্চা’ বলেননি। শুধু তাই নয়, তাদের প্রতি তিনি সহানুভূতিও জানিয়েছেন। তবে তিনি রাজাকারের বাচ্চাদেরই ‘রাজাকারের বাচ্চা’ বলেছেন। যৌক্তিক কারণেই বলেছেন। তার বক্তব্য পুরোটুকু না শুনে না বুঝে বিভ্রান্ত হয়ে আজেবাজে মন্তব্য করা কোনো ভাবেই কাঙ্ক্ষিত নয়।
আন্দোলনকে ভিন্ন খাতে প্রবাহিত করার জন্য স্বাধীনতাবিরোধী রাজাকার শাবকদের অনুপ্রবেশের ইতিহাস এদেশে নতুন কিছু নয়। এই আন্দোলনের ক্ষেত্রেও সেটা ঘটেছে। তারা অযাচিত ভাবে মুক্তিযোদ্ধাদের সম্পর্কে কুৎসিত ইঙ্গিত করেছে। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী নিজে আলোচনার প্রতিশ্রুতি দেয়ার পরেও তার সম্পর্কে অবমাননাকর অশালীন মন্তব্য করেছে। এরা কোনো ভাবেই আন্দোলনের ফলপ্রসূ পরিণতি দেখতে চায় না, বরং একে নিজেদের চিরাচরিত বাংলাদেশবিরোধী স্বার্থ উদ্ধারের জন্যই ব্যবহার করতে চায়। এদেরকে রাজাকারের বাচ্চা বললেও ভুল হবে, এরা এই সময়ের এই প্রজন্মের রাজাকার।
আমরা সকল পক্ষের কাছে গ্রহণযোগ্য, যৌক্তিক এবং শান্তিপূর্ণ একটি সমাধান চাই। উভয় পক্ষেরই যুক্তি আছে। সবার সাথে আলোচনার মাধ্যমে সবার জন্য কল্যাণকর একটি সমাধানে আসাই আমাদের চাওয়া। এই অবস্থায় স্বাধীনতা বিরোধীদের ষড়যন্ত্রের ফাঁদে পা দিলে মূল উদ্দেশ্য কেবল ব্যাহত হবে, কারো কোনো উপকার হবে না।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here