রাজধানীর ধামরাই থানায় কর্মরত এক পুলিশ সদস্যের বিরুদ্ধে এবার ঘুষ গ্রহণের অভিযোগ এসেছে । একারণেই ঐ পুলিশ সদস্যকে ষ্ট্যান্ড রিলিজ (অবমুক্তকরণ) করেছে সংশ্লিষ্ঠ কর্তৃপক্ষ। এই পুলিশ সদস্যের নাম শেখ সজিব। তার বিরুদ্ধে বিভিন্ন ব্যক্তির কাছ থেকে ঘুষ বানিজ্য ও হয়রানি করাসহ ভয়ভীতি দেখিয়ে মোটা অঙ্কের টাকা হাতিয়ে নেয়ার বিষয়ে পুলিশের পদস্থ এক কর্মকর্তা তদন্ত করেন।
১৮ এপ্রিল (বুধবার) তাকে ধামরাই থানা থেকে ষ্ট্যান্ড রিলিজ করে ঢাকার পুলিশ লাইনে ক্লোজ করা হয় বলে থানা সূত্রে জানা গেছে।
একই সূত্র থেকে আরও জানা গেছে, গত কয়েকদিন আগে ধামরাই পৌরসভার দক্ষিণপাড়ায় ডিম ব্যবসায়ী জাকির হোসেনকে আটক করে এস আই শেখ সজিব। এরপর তার স্বজনদের কাছে মোটা অঙ্কের ঘুষ দাবি করেন তিনি। না দেয়ায় উক্ত ব্যাবসায়ীর বাবাকে মারপিট করা হয়। নির্যাতনের পর তার বাবা ঘুষ দিলে জাকিরকে ছেড়ে দেয় শেখ সজিব।
এছাড়া ১৯ এপ্রিল (বৃহস্পতিবার) লাকুড়িয়া পাড়ার রাকিব নামের এক ইয়াবা ব্যবসায়ীকে আটক করে একটি সিএনজি ফিলিং স্টেশনে নিয়ে গভীর রাত পর্যন্ত গাড়ীতে বসিয়ে রেখেই দেনদরবার করে এই এস আই। এরপর তার স্বজনদের কাছে টাকা দাবি করে। শেষে রাকিবের বোন ৭০ হাজার টাকা দিলে রাকিবকে ছেড়ে দেয় এস আই সজীব। বেলীস্বর গ্রামের নয়ন সাহাকে ধরে ইয়াবা ও নাশকতা মামলায় ফাঁসিয়ে দেয়ার হুমকি দিয়ে তার ভাই পিনাকী সাহার কাছ থেকে ৩৫ হাজার টাকা ঘুষ নিয়ে ছেড়ে দেবারও অভিযোগ রয়েছে।
উল্লেখ্য, ইয়াবাসহ বিভিন্ন মাদক ব্যবসায়ীদের আটক করার পর তাদের স্বজনদের কাছ থেকে মোটা অঙ্কের ঘুষ নিয়ে ৩৪ ধারায় আটক দেখিয়ে আদালতে প্রেরণ করার বিস্তর অভিযোগ রয়েছে সজিবের বিরুদ্ধে।
১৮ এপ্রিল (বুধবার) বিভিন্ন ঘটনার তদন্ত আসেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ট্রাফিক) শরিফুল ইসলাম। তদন্ত শেষে এসআই শেখ সজিবকে পুলিশ লাইনে ক্লোজ করা হয়। ওইদিনই থানা থেকে কমান্ড সার্টিফিকেট (সিসি) নিয়ে যান শেখ সজিব।
এ বিষয়ে জানতে এস আই শেখ সজিবের মুঠোফোনে কল করা হলে তিনি ফোন রিসিভ করেননি।
বিষয়টি সম্পর্কে ধামরাই থানার অফিসার ইনচার্জ মোহাম্মদ রিজাউল হক জানান, বদলী হওয়া বা করা এটা চাকরির নিয়মিত অংশ। এরই ধারাবাহিকতায় এসআই শেখ সজিবকে পুলিশ লাইনে নেওয়া হয়েছে।