গত বছরের আগস্ট থেকে চলা মিয়ানমার সেনাবাহিনীর অভিযানে বর্বর যৌন নির্যাতনের শিকার হওয়া রোহিঙ্গা নারীদের অধিকাংশই সীমান্ত পেরিয়ে বাংলাদেশে পালিয়ে এসেছিলেন। বাংলাদেশে আশ্রয় নেবার ৯ মাস পর এই নারীরা প্রায় ৪৮ হাজার শিশু জন্ম দিতে চলেছেন।
স্বেচ্ছাসেবীরা এখন পৃথিবীর বৃহত্তম শরনার্থী শিবির বলে পরিচিত উখিয়া ও টেকনাফের ক্যাম্পগুলোতে হন্যে হয়ে গর্ভবতী রোহিঙ্গা নারীদের খুঁজছেন। লোকলজ্জা থেকে বাঁচতে এই নারীরা নিজেদের গর্ভাবস্থা লুকাতে চাচ্ছেন। এরফলে তাঁদের জন্য নতুন করে স্বাস্থ্যসঙ্কট তৈরীর সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে।
অন্য একজন রোহিঙ্গা নারী তসমিন আরা। তিনি বেশ কয়েকমাস ধরে এই নারীদের ছায়ার আড়াল থেকে বের হয়ে আসার পরামর্শ দিচ্ছেন। তিনি বলেন, ‘আমরা তাদের হাসপাতাল বা চিকিৎসাকেন্দ্রে ব্যবহারের জন্য একটি করে পাসওয়ার্ড দিচ্ছি। সেখানে নিয়োজিত রক্ষীরা এর ফলে তাদের সরাসরি সঠিক জায়গায় পাঠিয়ে দেন।’
আগস্টের সেনা অভিযানের পর থেকে ৭ লাখের অধিক রোহিঙ্গা বাংলাদেশে পালিয়ে আসে। এর মধ্যে ঠিক কতজন গর্ভবতী তা নিশ্চিত করা না গেলেও সংখ্যাটা ৪৮ হাজারের কম নয় বলে জানা গেছে। রোহিঙ্গা নেতা আব্দুর রহিম জানিয়েছেন মিয়ানমারের সেনাদের ধর্ষণের শিকার হয়েছেন এমন অন্তত দুইজন নারীকে তিনি ব্যাক্তিগতভাবে চেনেন। তিনি আরো অনেকের ব্যাপারে ধর্ষণের কথা শুনেছেন। তিনি বলেন, ‘মিয়ানমারের সেনারা তাদের ধর্ষণ করেছে। এই শিশুরা তাদের অপরাধের প্রমান।’
রোহিঙ্গাদের মধ্যে এমনিতেই উচ্চ জন্মাহার প্রবল। জানা যায় বাংলাদেশের রোহিঙ্গা ক্যাম্পগুলোতে প্রতিদিন ৬০ জন শিশুর জন্ম হয়।
– সাউথ চায়না মর্নিং পোষ্ট

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here