বিএনপি প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমান কোমরের বেল্ট খুলে তার স্ত্রী খালেদা জিয়াকে প্রায়ই পেটাতেন। গত সোমবার রাতে এক আলোচনা অনুষ্ঠানে এ দাবি করেছেন মুক্তিযুদ্ধ বিষয়কমন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক।

১৯৭১ সালের ১৯ মার্চ পাকিস্তানি বাহিনীর বিরুদ্ধে গাজীপুরে প্রথম সশস্ত্র প্রতিরোধ গড়ে তুলেছিলেন মুক্তিকামী জনতা। সেদিন বাঙালি অফিসার-সৈন্যদের বিচ্ছিন্ন করে কৌশলে তাদের নিরস্ত্র করার ষড়যন্ত্র করেছিল পাকিস্তানি বাহিনী। মুক্তিকামী জনতা যে সশস্ত্র প্রতিরোধ গড়ে তুলেছিল তাদেরই নেতৃত্বে ছিলেন মোজাম্মেল হক।

সোমবার রাতে স্বাধীনতার ৪৮তম বার্ষিকী সামনে রেখে বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমের প্রধান সম্পাদক তৌফিক ইমরোজ খালিদীর এক লাইভ অনুষ্ঠানে অতিথি ছিলেন মুক্তিযুদ্ধ বিষয়কমন্ত্রী। এই অনুষ্ঠানে জিয়াউর রহমান সম্পর্কে জানতে চান খালিদী।

মুক্তিযুদ্ধমন্ত্রীর উদ্দেশে তৌফিক ইমরোজ খালিদী বলেন, ১৯ মার্চ যেদিন আপনার নেতৃত্বে বিদ্রোহ হয়েছিল, সশস্ত্র প্রতিরোধ হয়েছিল সেদিন আপনারা মেজর জিয়াউর রহমান নামে কাউকে চিনতেন?

এর উত্তরে মুক্তিযুদ্ধমন্ত্রী বলেন, ‘আরে দূর এটা চেনার প্রশ্ন নেই। তবে আমি তাকে ব্যক্তিগতভাবে চিনতাম। কারণ মেজর জিয়া এর আগে গাজীপুরে ছিল। এই সেকেন্ড ইস্ট বেঙ্গল দেওয়ার আগে যে রেজিমেন্টটা ছিল সেখানে সেটা নিয়ে তো ক্রাইসিস ছিল…।’

তার সঙ্গে আপনার কোনো ইন্টারেকশন ছিল কি না- খালিদীর এমন প্রশ্নের জবাবে মোজাম্মেল হক বলেন, ‘না, কোনো ইন্টারেকশন হয়নি। তবে যেভাবে মানুষ তাকে চিনতো সেটা পার্সোনাল। এ ব্যাপারে আমি একটা মৃত ব্যক্তির সম্বন্ধে বলতে চাই না।’

এ সময় মন্ত্রীকে থামিয়ে তৌফিক ইমরোজ খালিদী বলেন, ইতিহাস কিন্তু এটা বলে…। তখন মন্ত্রী বলেন, ‘তাহলে এটা বলতেই হয়, উনি রাজবাড়ির মাঠের পাশের বিল্ডিংয়ে থাকতেন। রাস্তার পাশেই। প্রায়শই তার স্ত্রীর সঙ্গে তার ঝগড়া হতো এবং অনেকেই সেটা স্বচক্ষে দেখেছি। আমাদেরও সুযোগ হয়েছিল, কোমরের বেল্ট খুলে সে পেটাতো তার ওয়াইফ বেগম খালেদা জিয়াকে। ’

মোজাম্মেল হক আরো বলেন, ‘তখন অনেক গুজব শোনা যেতো। কেন তিনি তার ওয়াইফকে মারেন? আমি তার পার্সোনাল ক্যারেক্টার অ্যাসোসিনেশনের জন্য যেতে চাই না। এনিওয়ে ওইভাবেই চিনতাম, পরিচয় ছিল না। তবে চিনতাম যে জিয়াউর রহমান আছে। ’

সূত্র : বিডিনিউজ/আমাদের সময়

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here