মৎস সম্পদ রক্ষায় সুন্দরবনে ২ মাস মাছ ধরা নিষিদ্ধ

0
54

সুন্দরবনের মৎস্য সম্পদ রক্ষায় সকল খালে সোমবার (০১ জুলাই) থেকে দুই মাস সব ধরণের মাছ আহরণ সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ ঘোষণা করেছে বনবিভাগ।

সুন্দরবনের ৪ শতাধিক খালে বিষ দিয়ে মাছ শিকার বন্ধ করাসহ মৎস্য এবং মৎস্য প্রজাতির অবাধ প্রজনন ও সংরক্ষণে সব খালে মাছ আহরণ নিষিদ্ধ করা হয়েছে। একই সাথে ২৫ ফুট বা তার নিচের চওড়া সকল খালগুলোতে সারা বছর ধরে মাছ আহরণও নিষিদ্ধ থাকবে।

সুন্দরবন বিভাগ এ তথ্য নিশ্চিত করেছে।

সুন্দরবনের প্রায় ৬ হাজার ১৭ বর্গ কিলোমিটার আয়তানের জলভাগের পরিমাণ ১ হাজার ৮৭৪.১ বর্গ কিলোমিটার। যা সমগ্র সুন্দরবনের ৩১.১৫ ভাগ। এই জলভাগে জালের মতো ছড়িয়ে ছিটিয়ে রয়েছে ১৩টি বড় নদ-নদীসহ ৪৫০টি খাল।

বাগেরহাটের পূর্ব সুন্দরবন বিভাগের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা (ডিএফও) মো. মাহমুদুল হাসান এসব তথ্য নিশ্চিত করে জানান, সুন্দরবন বিভাগের কাছ থেকে নির্দিষ্ট পরিমাণ রাজস্ব পাস-পারমিট নিয়ে বৈধ পথে ও অবৈধ পথে সুন্দরবনের মৎস্য এবং মৎস্য প্রজাতির সম্পদ আহরণ করতে জেলেরা বনে প্রবেশ করে থাকে। জুলাই ও আগষ্ট মাসে সাদা মাছের প্রজনন মৌসুমে খালে মাছের আধিক্য থাকায় একশ্রেণির আসাধু জেলে সুন্দরবনের খালগুলোতে ভাটার সময় বিষ দিয়ে মাছ আহরণ করে। এই বিষ দেয়ার কারণে খালের ছোট-বড় সব মাছসহ মৎস্য প্রজাতির সকল প্রাণী মারা যায়।

খালে বিষ সন্ত্রাসের কারণে মৎস্য এবং মৎস্য প্রজাতির অবাধ প্রজনন ও সংরক্ষণ বিনষ্টের পাশাপাশি সুন্দরবনের জীব বৈচিত্র্যের উপর বিরূপ প্রভাব পড়ে। এই অবস্থা থেকে উত্তরণে আজ ১ জুলাই থেকে ৩১ আগস্ট পর্যন্ত এই দুই মাস সুন্দরবনের সকল খালে সব ধরণের মাছ আহরণ সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। একই সাথে ২৫ ফুট বা তার নিচের চওড়া সকল খালগুলোতে সারা বছর ধরে মাছ আহরণ সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ থাকবে বলে নিশ্চত করেছে বনবিভাগ। এই সময়ের মধ্যে খালগুলোতে যাতে করে কেউ ঢুকতে বা মাছ আহরণ করতে না পারে সে জন্য কঠোর নজরদারি চালাবে সুন্দরবন বিভাগ।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here