টেকনাফে নির্মিত হচ্ছে ৫১ কিলোমিটার সীমান্ত সড়ক

0
57

বাংলা খবর ডেস্ক: কক্সবাজারের টেকনাফে শাহপরীর দ্বীপ থেকে উলুবনিয়া পর্যন্ত নাফনদী উপকূলীয় এলাকায় ৫১ কিলোমিটার সীমান্ত সড়ক নির্মাণের কাজ এগিয়ে চলছে।

জানা গেছে, সড়কটি বাস্তবায়িত হলে সীমান্ত-নিরাপত্তা ও যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নয়ন ঘটবে। তাছাড়া নাফনদীর ঝুঁকিপূর্ণ স্থানসমূহে আরসিসি ব্লক দেওয়া হবে। এতে নদী তীরবর্তী হাজারো পরিবার বন্যা, জলোচ্ছ্বাসসহ প্রাকৃতিক দুর্যোগ থেকে রক্ষা পাবেন বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন স্থানীয়রা।

এদিকে, গত ১ ফেব্রুয়ারি পানিসম্পদ প্রতিমন্ত্রী জাহিদ ফারুকের নেতৃত্বে পাউবোর একটি প্রতিনিধি দল এই সড়ক নির্মাণকাজের অগ্রগতি সরেজমিন পরিদর্শন করেন। সংশ্লিষ্টরা জানান, সড়কটিতে নিরাপত্তা জোরদার ও পার্কিংয়ের জন্য অর্ধশতাধিক বিজিবির সীমান্ত চৌকি তৈরি করা হবে এবং যোগাযোগ ব্যবস্থা উন্নত করতে ৩০টির অধিক নতুন স্লুইস গেইট তৈরি, ৫০০ সড়কবাতি লাগানো এবং পূর্ব দিকে তৈরি করা হবে কাঁটাতারের বেড়া। সড়কটি উন্নয়নে প্রস্তাবিত বাজেটের চেয়ে আরো সাড়ে ৩০০ কোটি টাকা অতিরিক্ত বরাদ্দ দরকার।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. সাইফুল ইসলাম সাইফ জানান, সীমান্ত সড়কটি বাস্তবায়িত হলে বিজিবিসহ আইনশৃঙ্খলা বাহিনী সহজে চলাচল করতে পারবে। এতে রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশ, মাদক ও চোরাচালান দমন সহজতর হবে। তিনি আরো বলেন, গুরুত্বপূর্ণ এই সড়ক করতে গিয়েই উচ্ছেদকৃত জনসাধারণকে পুনর্বাসন করা হবে।

এ ব্যাপারে টেকনাফ ২ বিজিবি ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লে. কর্নেল মোহাম্মদ ফয়সাল হাসান খান জানান, এই সীমান্ত সড়কটি বিজিবির দীর্ঘদিনের দাবি ছিল। নাফনদীর পাশে সড়ক না থাকায় বর্ষা মৌসুমসহ বিভিন্ন সময়ে অভিযান পরিচালনা করা দুঃসাধ্য হয়ে ওঠে। সড়ক নির্মাণের পাশাপাশি বিজিবিকে দেওয়া হবে এটিভি যানবাহন। যা নিয়ে যেকোনো মুহূর্তে রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশ, মাদক ও চোরাচালান বিরোধী অভিযান চালানো সহজতর হবে।

পাউবো কক্সবাজারের নির্বাহী প্রকৌশলী প্রবীর কুমার গোস্বামী জানান, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের অনুরোধে পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের অধীনে পাউবো টেকনাফের নাফনদী উপকূলীয় এলাকায় রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশরোধ, মাদক ও চোরাচালান দমনের লক্ষ্যে ৫১ কিলোমিটার সড়কে এখন মাটির উন্নয়ন কাজ চলছে। এই বিশাল প্রকল্পে দেশের নিরাপত্তা এবং বিজিবির চাহিদা বিবেচনা করে নতুন কিছু কার্যক্রম যুক্ত হচ্ছে। এজন্য আরো অতিরিক্ত ৩৫০ কোটি টাকার বরাদ্দ চেয়ে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ে ফাইল প্রেরণ করা হয়েছে। তিনি আরো জানান, বিশাল এই প্রকল্পটি ২০২২ সালে সমাপ্ত শেষে ব্যবহার উপযোগী হবে।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here