বঙ্গবন্ধুর খুনি মাজেদের ফাঁসির পরোয়ানা

0
95

বাংলা খবর ডেস্ক: জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে হত্যা মামলার ফাঁসির দণ্ডপ্রাপ্ত পলাতক আসামি ক্যাপ্টেন (বরখাস্ত) আবদুল মাজেদের ফাঁসির পরোয়ানা জারি করেছেন আদালত। বুধবার (৮ এপ্রিল) ঢাকা জেলা ও দায়রা জজ হেলাল চৌধুরী বঙ্গবন্ধু হত্যা মামলায় গ্রেফতার দেখিয়ে তার ফাঁসির পরোয়ানা ইস্যু করেন।

এর আগে তাকে ঢাকার কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে আদালতে উপস্থিত করা হয়। এ সময় বিচারক তার বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ ও মামলার রায় পড়ে শোনান। এরপর বিচারক তার ফাঁসির পরোয়ানা জারি করেন। এরপর তাকে সাজা পরোয়ানা দিয়ে ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে পাঠিয়ে দেয়া হয়।

ঢাকা মহানগর পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) আব্দুল্লাহ আবু এবং ঢাকা জেলা ও দায়রা জজ আদালতের পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) আব্দুল মান্নান বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

ঢাকা জেলা ও দায়রা জজ আদালতের পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) আব্দুল মান্নান বলেন, ‘আমরা রাষ্ট্রপক্ষ থেকে মাজেদকে বঙ্গবন্ধু হত্যা মামলায় গ্রেফতার দেখানোর জন্য আবেদন করি। আদালত তাকে আজ আদালতে উপস্থিত করার জন্য দিন ধার্য করেন। ঢাকার কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে তাকে আদালতে উপস্থিত করা হয়। এ সময় বিচারক তার বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ ও মামলার রায় পড়ে শোনান। এরপর বিচারক তাকে বঙ্গবন্ধু হত্যা মামলায় গ্রেফতার দেখিয়ে সাজা পরোয়ানা জারি করেন।’

আসামি রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করতে পারবে কি-না-এমন প্রশ্নের উত্তরে পিপি বলেন, ‘তিনি দীর্ঘদিন ধরে পলাতক ছিলেন। আমার জানামতে, তিনি আপিল করার সুযোগ পাবেন না।’

এর আগে এই মৃত্যু পরোয়ানা জারির কার্যক্রম পরিচালনার জন্য ঢাকার জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বুধবারের (৮ এপ্রিল) ছুটি বাতিল করেন সুপ্রিম কোর্ট প্রশাসন। বিষয়টি নিশ্চিত করেন সুপ্রিম কোর্টের স্পেশাল অফিসার মো. সাইফুর রহমান।

মঙ্গলবার (৭ এপ্রিল) মাজেদকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন ঢাকার মুখ্য মহানগর হাকিম জুলফিকার হায়াৎ। এরপর দুপুর ১টা ৫ মিনিটের দিকে তাকে প্রিজন ভ্যানে কেরানীগঞ্জে অবস্থিত ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে পাঠানো হয়।

সোমবার (৬ এপ্রিল) দিবাগত রাত সাড়ে ৩টায় মিরপুর সাড়ে ১১ নম্বর থেকে গ্রেফতার করা হয় বঙ্গবন্ধুর পলাতক খুনি মাজেদকে। তিনি দীর্ঘদিন ধরে বিদেশে পলাতক ছিলেন। ২০০৯ সালে ইন্টারপোলের মাধ্যমে তার বিরুদ্ধে রেড অ্যালার্ট জারি করে বাংলাদেশ পুলিশ।

১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট ধানমন্ডি ৩২ নম্বরের বাসায় সপরিবারে হত্যার শিকার হন জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। বঙ্গবন্ধুর দুই মেয়ে বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও তার ছোট বোন শেখ রেহানা দেশের বাইরে থাকায় বেঁচে যান। নির্মম সেই হত্যাকাণ্ডের অন্যতম আসামি আবদুল মাজেদ।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here