টুর্নামেন্ট বাতিল হওয়ায় ৪ গুণ টাকা পাচ্ছে উইম্বলডন

0
50

বাংলা খবর ডেস্ক: অজানা শঙ্কায় ১৭ বছর ধরে বিমার টাকা জমা দিয়ে গেছে অল ইংল্যান্ড লন টেনিস ক্লাব (এইএলটিসি)। অবশেষে সেই আশঙ্কা সত্য প্রমাণিত হয়েছে। করোনার কোপে দীর্ঘদিন পর বাতিল হয়েছে বিশ্ব টেনিসের সেরা আকর্ষণ উইম্বলডন। এর ক্ষতিপূরণ বাবদ বীমা সংস্থার কাছ থেকে মোটা অঙ্কের টাকা ফেরত পাচ্ছেন তারা।

করোনাভাইরাস মহামারির কারণে স্থগিত হয়েছে চলতি মৌসুমের উইম্বলডন। আগামী ২৯ জুন থেকে শুরু হওয়ার কথা ছিল ঐতিহাসিক এ টেনিস টুর্নামেন্ট। ১২ জুলাই পর্যন্ত তা চলার কথা ছিল।

কিন্তু করোনার জেরে সৃষ্ট সংকটময় পরিস্থিতিতে তা কোর্টে গড়ানো সম্ভব নয় বলে আগেই জানিয়েছেন আয়োজকরা। স্বাভাবিকভাবেই আর্থিক দিক দিয়ে বিপুল ক্ষতির মুখে পড়তে হবে তাদের। তবে টুর্নামেন্টের বিমার শর্তে মহামারি যুক্ত থাকায় কিছুটা হলেও ক্ষতি পুষিয়ে যাবে অল ইংল্যান্ড লন টেনিস ক্লাবের।

উইম্বলডন সম্ভবত বিশ্বের একমাত্র স্পোর্টস ইভেন্ট; যেটি মহামারির জন্য দীর্ঘদিন ধরে বিমার আওতায় রয়েছে। বিমার পেছনে বছরে ২ মিলিয়ন মার্কিন ডলার খরচ করেন আয়োজকরা। সেই হিসাবে ১৭ বছরে বিমা সংস্থাকে মোট ৩৪ মিলিয়ন মার্কিন ডলার দিয়েছেন তারা। বাংলাদেশি মুদ্রায় যা প্রায় পৌনে ৩০০ কোটি টাকা।

দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর এ প্রথম বাতিল হয়েছে উইম্বলডন। ফলে এইএলটিসি ক্ষতিপূরণ পাচ্ছে ১৪১ মিলিয়ন মার্কিন ডলার। টাকার অংকে যা প্রায় ১১০০ কোটি।

তবু পুরোপুরি ক্ষতি পুষিয়ে নেয়া সম্ভব হবে না উইম্বলডন কর্তৃপক্ষের। এ বছর টুর্নামেন্ট থেকে তাদের আয় হওয়ার কথা ছিল ৩১০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার। অর্থাৎ পুরস্কার মূল্য বাদ দিলে মোট ক্ষতির প্রায় অর্ধেক বিমার টাকা থেকে পূরণ হয়ে যাবে তাদের।

এর আগে এইএলটিসি জানায়, আপাতত চলতি বছরের জন্য বন্ধ করা হয়েছে উইম্বলডন। একই সঙ্গে টুর্নামেন্টের পরের সংস্করণের সূচিও ঘোষণা করেছে তারা। কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, আগামী বছর ২৮ জুন থেকে শুরু হবে সেটি। ১১ জুলাই পর্যন্ত চলবে এ প্রতিযোগিতা।

উল্লেখ্য, বিশ্বব্যাপী প্রাণঘাতী করোনায় প্রাণ হারিয়েছেন প্রায় ১ লাখ আড়াই হাজার মানুষ। আক্রান্তের সংখ্যা প্রায় ১৭ লাখ। ইংল্যান্ডে এ রোগীর সংখ্যা প্রায় ৭৪ হাজার। আর মৃতের সংখ্যা প্রায় ৯ হাজার।

তথ্যসূত্র: ফোর্বস

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here