আমাদের খাদ্যের কোনো অভাব হবে না: প্রধানমন্ত্রী

0
80

নিউজ ডেস্ক: প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, আমাদের খাদ্যের কোনো অভাব হবে না। তাছাড়া আমাদের এখন ধান উঠছে। ধান কাটাও শুরু হয়ে গেছে। আগামীতেও ফসল উঠবে।

সোমবার (২০ এপ্রিল) সকালে করোনা পরিস্থিতি নিয়ে ঢাকা বিভাগের কিশোরগঞ্জ, টাঙ্গাইল, গাজীপুর ও মানিকগঞ্জ জেলা এবং ময়মনসিংহ বিভাগের জেলাসমূহের সঙ্গে ভিডিও কনফারেন্সে এ কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী।

তিনি বলেন, ‘আমরা কিন্তু ধান সংগ্রহ করার ইতোমধ্যেই ঘোষণা দিয়ে দিয়েছি। সাধারণ বোরোতে আগে যা আমরা নিতাম, তার থেকে অনেক বেশি আমরা নিচ্ছি। এখন প্রায় আমরা ৮ লাখ মেট্রিক ধান, ১০ লাখ মেট্রিক টন চাল, ২ লাখ ২০ হাজার মেট্রিক টন আতপ এবং ৮০ হাজার মেট্রিক টন গমসহ সর্বমোট ২১ লাখ মেট্রিক টন খাদ্য আমরা সংগ্রহ করব। এটা সরকার কিনে রাখবে। তাতে আমাদের আর ভবিষ্যতে কোনো অভাব হবে না। আমরা মানুষকে খাবার সহযোগিতা দিতে পারব।’

‘আমাদের খাদ্যের কোনো অভাব হবে না। তাছাড়া আমাদের এখন ধান উঠছে। ধান কাটাও শুরু হয়ে গেছে। আগামীতেও ফসল উঠবে। সেই সঙ্গে তরিতরকারি ফলমূল যে যা পারেন উৎপাদন করবেন’-যোগ করেন শেখ হাসিনা।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমরা ইতোমধ্যে ৯৫ হাজার ৬১৯ কোটি টাকার প্রণোদনা ঘোষণা করেছি। যা জিডিপির ৩ দশমিক ৩ শতাংশ। কৃষিখাতে আরও বেশি। মাত্র ৪ শতাংশ সুদে আমরা কৃষি ঋণ দিচ্ছি। কৃষি মানে শুধু ধান ফলানো না। একেবারে মৎস্য, পোল্ট্রি থেকে শুরু করে ফলমূল, ফুল যা যা আছে-সবকিছু মিলেই এই প্যাকেজটা। কাজেই কোনো সেক্টর বাদ যাচ্ছে না।’

যে প্রণোদনা দেয়া হয়েছে, তা শুধু এই বছরের জন্য না। আগামী তিন বছর দেশের অর্থনীতির চাকা যাতে সচল থাকে সেটা মাথায় রেখেই এই প্রণোদনা অব্যাহত রাখা হবে বলেও জানিয়েছেন শেখ হাসিনা।

তিনি বলেন, ‘আমরা চাই উৎপাদিত পণ্য সরবরাহের ক্ষেত্রে আমাদের সুযোগ সৃষ্টি করে দিতে হবে। যোগাযোগের ব্যবস্থা করে দিতে হবে। কোনো বাজারে যেন কোনো জিনিসের অভাব না হয়। হাটও বসছে। আমরা বলে দিয়েছি, খোলা বড় জায়গায় যথাযথভাবে দূরুত্ব রেখে হাট-বাজার বসবে। ক্রয়-বিক্রয় হবে। যাতে মানুষের জীবনটা একেবারে স্থবির না হয় সেদিকে লক্ষ্য রেখেই আমরা এই ব্যবস্থা নিয়েছি।’

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here