নিউজ ডেস্ক: দেশজুড়ে করোনার প্রাদুর্ভাবে সবকিছু স্থবির হয়ে গেলেও মানুষের বেঁচে থাকার জন্য প্রয়োজন খাদ্যের। সাধারণ মানুষের চাহিদা মেটাতে ও খামারিদের আর্থিক ক্ষতির বিষয় বিবেচনা করে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে দেশজুড়ে ভ্রাম্যমাণ বিক্রয় কেন্দ্র স্থাপন করা হয়েছে। ভ্রাম্যমাণ এই বিক্রয় কেন্দ্রের মাধ্যমে দুধ, ডিম ও পোল্ট্রি বিক্রির পাশাপাশি মাছও বিক্রি করা হলেও শুধুমাত্র গত একদিনে ৭ কোটি ৭৩ লাখ টাকার বেশি মাছ বিক্রি হয়েছে।
শনিবার (২ মে) সরকারের এক তথ্য বিবরণীতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, জেলা ও উপজেলা মৎস্য দপ্তরসমূহের তত্ত্বাবধানে দেশের ৬৪ জেলায় শনিবার একদিনে ভ্রাম্যমাণ বিক্রয় কেন্দ্রের মাধ্যমে খামারিরা ৭ কোটি ৭৩ লাখ ৭০ হাজার ৭৩১ টাকা মূল্যের ৪ লাখ ২১ হাজার ২৫৮ কেজি মাছ বিক্রি করেছেন।
একই দিন দেশের ৬৪টি জেলায় ৪১ কোটি ২১ লাখ ২১ হাজার ২৭২ টাকার দুধ, ডিম, পোল্ট্রি ও অন্যান্য প্রাণীজ পণ্য বিক্রি করেছেন প্রান্তিক খামারিরা।
গত ২২ এপ্রিল দেশের প্রান্তিক পর্যায়ের চাষি, খামারি এবং উদ্যোক্তাদের উৎপাদিত মাছ, দুধ, ডিম ও পোল্ট্রি সুষম সরবরাহ ও বাজারজাত করার উদ্যোগ নিতে সব জেলা ও উপজেলায় কর্মরত মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তাদের নির্দেশনা দেয় মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়।
লকডাউনের কারণে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদের উৎপাদক, খামারি ও উদ্যোক্তাদের আর্থিক ক্ষতি এবং ভোক্তাদের চাহিদার কথা বিবেচনা করে এ নির্দেশনা দেওয়া হয়।
