রাষ্ট্রকে এগিয়ে নিতে গণমাধ্যমের ভূমিকা গুরুত্বপূর্ণ: তথ্যমন্ত্রী

0
68

নিউজ ডেস্ক: রাষ্ট্রকে এগিয়ে নিতে এবং বহুমাত্রিক সমাজ বিনির্মাণে মুক্ত, স্বাধীন এবং দায়িত্বশীল গণমাধ্যমের ভূমিকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বলেছেন তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ।

রোববার বিশ্ব মুক্ত গণমাধ্যম দিবস উপলক্ষে সচিবালয়ে নিজ দপ্তর থেকে অনলাইনে দেওয়া সংক্ষিপ্ত বক্তব্যে মন্ত্রী এ কথা বলেন।

গণমাধ্যমের স্বাধীনতা সঙ্গে সম্মিলিত দায়িত্বশীলতাও অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ উল্লেখ করে তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘আমরা মনে করি, মুক্ত, স্বাধীন ও একইসাথে দায়িত্বশীল গণমাধ্যম রাষ্ট্রকে এগিয়ে নেওয়া ও একটি বহুমাত্রিক সমাজ বিনির্মাণে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।’

বিশ্ব মুক্ত গণমাধ্যম দিবসে সব সাংবাদিক এবং গণমাধ্যমের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট সবাইকে আন্তরিক অভিনন্দন জানিয়ে ড. হাছান মাহমুদ বলেন, ‘বাংলাদেশে সাংবাদিকরা এবং গণমাধ্যমের সঙ্গে যারা যুক্ত আছেন তারা, এই বৈশ্বিক দুর্যোগ করোনো পরিস্থিতির মধ্যে অত্যন্ত ঝুঁকি নিয়ে কাজ করছেন। ইতিমধ্যেই আমাদের একজন সাংবাদিক বন্ধু হুমায়ুন কবীর খোকন দায়িত্ব পালন করতে গিয়ে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মর্মান্তিকভাবে মৃত্যুবরণ করেছেন। আমি তার বিদেহী আত্মার শান্তিকামনা করছি। একইসাথে অনেক সাংবাদিক বন্ধু যারা করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন তারা যাতে দ্রুত আরোগ্য লাভ করেন, মহান সৃষ্টিকর্তার কাছে সেই প্রার্থনা করছি।’

তথ্যমন্ত্রী এ সময় পরিসংখ্যান দিয়ে বলেন, ‘আমাদের সরকার গণমাধ্যমের স্বাধীনতা ও অবাধ এবং মুক্ত গণমাধ্যমে বিশ্বাস করে। সে কারণে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ২০০৯ সালে তৃতীয়বারের মতো প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পাওয়ার পর বাংলাদেশে গণমাধ্যমের ব্যাপক বিস্তৃতি ঘটেছে। ২০০৯ সালে দৈনিক পত্রিকার সংখ্যা ছিল ৪৪৫টি। ২০২০ সালে এখন দৈনিক পত্রিকার সংখ্যা ১ হাজার ২৯৪টি। ২০০৯ সালে সাপ্তাহিক পত্রিকার সংখ্যা ছিল ২০৮টি, এখন সেটি ১ হাজার ২০৮টি।’

ইলেকট্রনিক গণমাধ্যমের খতিয়ান দিয়ে ড. হাছান মাহমুদ বলেন, ‘রাষ্ট্রীয় টেলিভিশন ২০০৯ সালে ছিল দুটি, এখন রাষ্ট্রীয় টেলিভিশন চারটি। বেসরকারি টেলিভিশন ২০০৯ সালের শুরুতে ১০টি আর এখন ৪৫টি বেসরকারি টেলিভিশনের অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। এফএম বেতার ২০০৯ সালে একটিও ছিল না, এখন ২৪টি এফএম বেতার কেন্দ্রের অনুমোদন দেওয়া হয়েছে, যার মধ্যে বেশির ভাগ সম্প্রচারে আছে। কমিউনিটি রেডিও ২০০৯ সালে একটিও ছিল না, এখন ৩২টি কমিউনিটি রেডিও অনুমোদন দেওয়া আছে, তার মধ্যে অনেকগুলো সম্প্রচারে আছে।’

তিনি বলেন, ‘এই পরিসংখ্যানেই বলে যে, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা এবং তার সরকার গণমাধ্যমের অবাধ বিস্তৃতি এবং স্বাধীনতায় বিশ্বাস করে এবং সেই কারণেই গত ১১ বছরে বাংলাদেশে গণমাধ্যমের ব্যাপক বিস্তৃতি ঘটেছে।’

সাম্প্রতিক বিএনপি নেতা রুহুল কবির রিজভী মন্তব্য করেন এমপি-মন্ত্রীরা লোক দেখানো কাঁচা ধান কাটছেন এবং আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমে আওয়ামী লীগ নেতাদের দুর্নীতির খবর প্রকাশ হচ্ছে। রিজভীর এমন মন্তব্য নিয়ে তথ্যমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘তিনি যেভাবে বক্তব্য রাখছেন, এগুলো আমার কাছে উদভ্রান্তের প্রলাপের মতো মনে হয়’ উল্লেখ করে ড. হাছান বলেন, ‘এই মহাদুর্যোগের সময় আসলে রিজভী আহমেদসহ বিএনপি নেতারা ফটোসেশন এবং বিষোদগার এবং মিথ্যাচারের রাজনীতি নিয়েই ব্যস্ত।’

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here