ব্যাংকে সকাল ১০টা থেকে বেলা আড়াইটা পর্যন্ত লেনদেন : রোববার থেকে কার্যকর

0
149

বাংলা খবর ডেস্ক:
ঈদ-উল ফিতরকে সামনে রেখে বিভিন্ন ক্ষেত্রে লকডাউনের বিধিনিষেধ শিথিল করার ধারাবাহিকতায় ব্যাংকগুলোতে লেনদেনের সময় বাড়ানো হয়েছে। বাংলাদেশ ব্যাংক গতকাল মঙ্গলবার এক সার্কুলারে ব্যাংক লেনদেনের এই নতুন সময়সূচি ঠিক করে সব ব্যাংকের প্রধান নির্বাহীদের জানিয়ে দিয়েছে।

আগামী ১০ মে রোববার থেকে ব্যাংকগুলোতে সকাল ১০টা থেকে বেলা আড়াইটা পর্যন্ত লেনদেন করা যাবে। তবে আনুষঙ্গিক অন্যান্য কাজের জন্য বেলা সাড়ে ৩টা পর্যন্ত ব্যাংক খোলা রাখা যাবে।

বর্তমানে সীমিত আকারের ব্যাংকিং সেবার আওতায় যেসব ব্যাংক শাখা খোলা রয়েছে, সেগুলোতে সকাল ১০টা থেকে বেলা ১টা পর্যন্ত লেনদেন চলছে। আনুষঙ্গিক কার্যক্রম সম্পাদনের জন্য বেলা ২টা পর্যন্তই ব্যাংক খোলা রাখা হচ্ছে।

তবে দেশের গুরুত্বপূর্ণ দুই নগরীর বাণিজ্যিক এলাকা ঢাকার মতিঝিল-দিলকুশা এবং চট্টগ্রামের খাতুনগঞ্জ ও আগ্রাবাদ এলাকায় অবস্থিত সব তফসিলি ব্যাংকের শাখাগুলোতে ২৬ এপ্রিল থেকে সকাল ১০টা থেকে বেলা ২টা পর্যন্ত লেনদেন হচ্ছে। আনুষঙ্গিক কার্যক্রম সম্পাদনের জন্যে এ শাখাগুলো বেলা সাড়ে ৩টা পর্যন্ত খোলা থাকছে।

সার্কুলারে বলা হয়েছে, করোনাভাইরাস সংক্রমণ রোধকল্পে সরকার ঘোষিত সাধারণ ছুটির পরিপ্রেক্ষিতে রমজান, ঈদুল ফিতর এবং ব্যবসা বাণিজ্যের সুবিধায় ব্যাংক লেনদেনের সময় বাড়ানোসহ কিছু সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

কোনো উপজেলায় অনলাইন সুবিধা সম্বলিত একটি ব্যাংকের একাধিক শাখা থাকলে, ন্যূনতম একটি শাখা প্রতি কার্যদিবসে খোলা রাখলেই চলবে। ব্যাংক কর্তৃপক্ষ চাইলে পর্যায়ক্রমে একেক দিন একেকটি শাখা খোলা রাখতে পারবে। তবে এ ক্ষেত্রে গ্রাহকদেরকে সে তথ্য ভালোভাবে অবহিত করতে হবে।

জেলা সদর ও জেলার গুরুত্বপূর্ণ জায়গায় অবস্থিত ব্যাংক শাখার মধ্যে প্রতি কার্যদিবসে কমপক্ষে একটি শাখা খোলা রাখতে হবে। মহানগর ও বিভাগীয় পর্যায়ে সব এডি শাখা এবং শুধু বৈদেশিক লেনদেন সম্পাদনের জন্য অন্যান্য স্থানে ব্যাংকের নিজ বিবেচনায় নির্বাচিত গুরুত্বপূর্ণ এডি শাখা খোলা রাখতে হবে।

ঢাকার মতিঝিল ও দিলকুশা এবং চট্টগ্রামের আগ্রাবাদ ও খাতুনগঞ্জে সব ব্যাংকের সব শাখা প্রতি কার্যদিবসে খোলা রাখতে হবে। শ্রমঘন শিল্প এলাকায় সব ব্যাংকের সব শাখা প্রতি কার্যদিবসে খোলা রাখতে হবে।

সমুদ্র, স্থল, বিমানবন্দর এলাকায় শাখা খোলা রাখতে হলে স্থানীয় প্রশাসন ও বন্দর কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলোচনা করে ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে। অবরুদ্ধ এলাকায় প্রশাসনের সঙ্গে আলোচনা করে একটি শাখা খোলা রাখার ব্যবস্থা করতে হবে।

এটিএম ও কার্ডভিত্তিক লেনদেন চালু রাখার সুবিধার্থে এটিএম বুথগুলোতে পর্যাপ্ত নোট সরবারহ ও সার্বক্ষণিক চালু রাখার প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিশ্চিত করতে হবে। এছাড়া ব্যাংকিং লেনদেনের জন্য খোলা রাখা শাখা ও প্রধান কার্যালয়ে নির্দিষ্ট দূরত্ব বজায় রাখতে হবে।

তবে ব্যাংকে অনলাইন সুবিধা না থাকলে উপজেলা-জেলাসহ সকল পর্যায়ে সব শাখা প্রতি কার্যদিবসে খোলা রাখতে হবে।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here