বাংলা খবর ডেস্ক:
আপাতত সিঙ্গাপুর থেকে দেশে ফিরছেন না বরেণ্য সংগীতশিল্পী এন্ড্রু কিশোর। তার শারীরিক অবস্থা এখন আগের থেকে ভালো। আাজ বুধবার তার দেশে ফেরারও কথা ছিল। কিন্তু আপাতত ফিরছেন না তিনি। সিঙ্গাপুর থেকে শিল্পীর ঘনিষ্ঠ সূত্রে জানা গেছে, সব ঠিকঠাক থাকার পরও মঙ্গলবার রাতে এন্ড্রু কিশোর করোনার এই পরিস্থিতিতে এখব দেশে ফিরবেন না বলে সিদ্ধান্ত নেন। কবে ফিরবেন সেটা এখনই বলা যাচ্ছে না। এদিকে এরইমধ্যে শেষ হয়েছে তার প্রয়োজনীয় কেমোথেরাপি। এন্ড্রু কিশোর ৮ মাসের বেশি সময় ধরে সিঙ্গাপুরে চিকিৎসাধীন।
শিল্পীকে এই সময়ে ছয়টি ধাপে মোট ২৪টি কেমোথেরাপি দেওয়া হয়েছে। তার শারীরিক অবস্থা এখন কিছুটা উন্নতির দিকে। শরীরে নানা ধরনের জটিলতা নিয়ে এন্ড্রু কিশোর অসুস্থ অবস্থায় গত বছরের ৯ই সেপ্টেম্বর উন্নত চিকিৎসার জন্য সিঙ্গাপুরের উদ্দেশে দেশ ছেড়েছিলেন। বিভিন্ন পরীক্ষা-নিরীক্ষার পর গত ১৮ই সেপ্টেম্বর তার শরীরে নন-হজকিন লিম্ফোমা নামের ব্লাড ক্যানসার ধরা পড়ে। সিঙ্গাপুর জেনারেল হাসপাতালের চিকিৎসক লিম সুন থাইয়ের অধীনে তার চিকিৎসা শুরু হয়। এই কয়েক মাস ধরে সিঙ্গাপুরে তার চিকিৎসা চলে। এন্ড্রু কিশোরের চিকিৎসায় সহায়তার হাত বাড়ান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ব্যয়বহুল এই চিকিৎসার খরচ জোগাতে এন্ড্রু কিশোর বিক্রি করে দেন রাজশাহী শহরে তার কেনা ফ্ল্যাটটি। শিল্পীর পরিবারের পাশাপাশি সংগীতশিল্পী, মিডিয়া ব্যক্তিত্ব, বেশ কিছু প্রতিষ্ঠান এবং প্রবাসীরা এগিয়ে এসেছেন। এন্ড্রু কিশোরের এক ছেলে ও এক মেয়ে। তারা দুজনেই অস্ট্রেলিয়া থাকেন। মেয়ে মিনিম এন্ড্রু সংজ্ঞা সিডনিতে গ্রাফিকস ডিজাইন ও ছেলে জে এন্ড্রু সপ্তক মেলবোর্নে ফ্যাশন ডিজাইনিংয়ে পড়াশোনা করছেন। সংগীতজীবনের শুরুতে আবদুল আজিজ বাচ্চুর অধীনে প্রাথমিকভাবে সংগীতচর্চা শুরু করেন এন্ড্রু কিশোর। চলচ্চিত্রে তার প্লেব্যাক শুরু হয় ১৯৭৭ সালে আলম খান সুরারোপিত ‘মেইল ট্রেন’ চলচ্চিত্রের ‘অচিনপুরের রাজকুমারী নেই যে তার কেউ’ গানের মধ্য দিয়ে। এরপর তার গাওয়া অসংখ্য গান জনপ্রিয় হয়। বাংলা চলচ্চিত্রের গানে অবদান রাখার জন্য তিনি কয়েকবার জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার পেয়েছেন।