রান তাড়া করতে মুশফিকই সাহায্য করে – কোহলি

0
101

বাংলা খবর ডেস্ক:
সীমিত ওভারের ক্রিকেটে রান তাড়া করার বিষয়টি ছেলে খেলা বানিয়ে ফেলেছেন ভারতের অধিনায়ক। গত রাতে তামিমের সঙ্গে ফেসবুক আড্ডায় নিজের রহস্য জানিয়েছেন কোহলি।

লাইভের মাঝপথে এসে কোহলির কাছে প্রশ্ন রেখেছেন তামিম, রান তাড়া করার সময় লক্ষ্য কীভাবে স্থির করেন কোহলি? মানসিকভাবে কীভাবে প্রস্তুতি নেন? প্রাথমিক জবাবটা চমকে দিতে পারে যে কাউকে, ‘মানসিক প্রস্তুতি খুবই সোজা। মাঝে মাঝে তো মুশফিকই সাহায্য করে। স্টাম্পের পেছন থেকে কিছু একটা বলে বসে। তাতে আমি বাড়তি অনুপ্রাণিত হয়ে পড়ি।’

রসিকতার পর্ব শেষ করেই সিরিয়াস হয়ে গেলেন কোহলি। জানালেন রান তাড়া করার এমন ক্ষমতার পেছনে দুটি বিষয় কাজ করছে, আত্মবিশ্বাস ও ছোটবেলার প্রেরণা, ‘ছোটবেলা থেকেই মানসিকতা গড়ে নিয়েছি। তরুণদেরও বলি, এই বিশ্বাস রাখতে হবে “আমি পারব।” ছোটবেলায় যখন টিভিতে ম্যাচ দেখতাম, তখন ভারত যদি রান তাড়া করতে গিয়ে কোনো ম্যাচ হারত আমি দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করতাম যে আমি থাকলে ঠিকই জিতে ফিরতাম। রাতে এই বিশ্বাস নিয়েই ঘুমাতে যেতাম। সত্যি বলছি, একদম ছোটবেলা থেকেই এ স্বপ্ন দেখতাম।’

ছোটবেলা থেকে নিজের ওপর বিশ্বাস রাখার এই যে অভ্যাস এটাই কোহলিকে বদলে দিয়েছে। ফলে রান তাড়া করার অসীম চাপে যেখানে অনেক ব্যাটসম্যানই ভেঙে পড়েন, কোহলি সে চাপ অনায়াসে জয় করেন, ‘যখনই এ ধরণের কোনো পরিস্থিতিতে পড়ি, ওই আনন্দটা বেড়িয়ে আসে আমার মাঝে। ওই যে বিশ্বাস যে ইচ্ছা, আমি পারব সেই অনুভূতিটা আবারও ফিরে আসে। আমার মনে হয়, রান তাড়া করা এমন একটা পরিস্থিতি যখন আপনি জানেন ঠিক কত রান করতে হবে এবং এ জন্য আপনাকে কী কী করতে হবে। আমার মতে এর চেয়ে পরিস্কার সমীকরণ আর হতে পারে না। আপনি কোন পরিস্থিতি কীভাবে দেখছেন, সেটা আপনার ইচ্ছা। আমি এসব পরিস্থিতিকে কখনো চাপ হিসেবে দেখি না, বরং সুযোগ হিসেবে দেখি। আমার জন্য জেতা সবচেয়ে জরুরি, জেতার জন্যই তো দল মাঠে নামে। এটাই তো সুযোগ যেখানে আমি অপরাজিত থেকে ফিরতে পারব। ফলে আমার কাছে এর চেয়ে নিশ্চিত কোনো পরিস্থিতি নেই, যেখানে আমি দলের জয় দেখতে পাই।’

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here