তামিমের কাছে প্রশ্ন: মুশফিক না মাশরাফি

0
113

বাংলা খবর ডেস্ক:
কী এক ঝামেলাতেই না পড়লেন তামিম ইকবাল! তাঁর নিজের লাইভ শো, এর মধ্যে বাংলাদেশ ওপেনারকে প্যাঁচে ফেলে দিলেন মাহমুদউল্লাহ। দুই পছন্দের মানুষের মধ্যে একজন বেছে নিতে হলে কে-ই বা স্বচ্ছন্দ হবে?

করোনাভাইরাসের এই সময়ে ভক্তদের পাশে থাকতে একের পর এক লাইভ সেশন করে যাচ্ছেন তামিম ইকবাল। তার শেষ ধাপে আজ চেয়েছিলেন মাশরাফি বিন মুর্তজা, মুশফিকুর রহিম, মাহমুদউল্লাহ ও সাকিব আল হাসানকে একসঙ্গে আনতে। ব্যক্তিগত কাজে সাকিব আসতে না পারায় পঞ্চপান্ডব পূর্ণ হয়নি। তবে এই চারজনেরই আড্ডাটা হয়েছে অনেক প্রাণবন্ত। সতীর্থ পরিচয় ছাপিয়েও তাঁরা যে কত কাছের বন্ধু, সেটিই প্রমাণিত হয়েছে আরেকবার।
বন্ধুত্বের আবেশেই হঠাৎ গ্যাড়াকলে পড়ে গেলেন তামিম। হঠাৎ তামিমকেই প্রশ্ন করা হলো, বাংলাদেশ দলে তাঁর সবচেয়ে প্রিয় বন্ধু কে, সেই নামটি বলতে। তামিম প্রথমে উত্তর দিলেন, ‘মুশফিক আছে। মাশরাফি ভাইরা আছেন। সাকিব আছে…।’

কিন্তু এই পর্যায়ে আবার মাহমুদউল্লাহর দিক থেকে চাপ এল, এত নাম নয়, কোনো একটি নাম বেছে নিতে হবে! তামিম যাতে তা করেন, সেটি নিশ্চিত করতেই মাহমুদউল্লাহ আরও কঠিন এক প্রশ্ন করে বসলেন। প্রশ্নটা এই, ‘একটা নৌকায় দুজন আছে—মাশরাফি ভাই আর মুশি (মুশফিক)। একজনকেই বাঁচাতে পারবি। কাকে বাঁচাবি?’ কদিন আগে তাসকিন আহমেদ আর রুবেল হোসেনের সঙ্গে আলাপে একই ধরণের প্রশ্ন করে তাঁদের বিপাকে ফেলেছিলেন তামিম। মাহমুদউল্লাহ না মাশরাফি – কাকে বাঁচাবেন রুবেল-তাসকিন, এই ছিল সেদিন তামিমের প্রশ্ন। এবার মাহমুদউল্লাহ যেন পাল্টা নিলেন!
কী উত্তর দেবেন তামিম? কিছুক্ষণ সময় নিয়ে বললেন, ‘যদি মাশরাফি ভাইর নাম না বলি মানুষ গালি দিবে…।’ এই পর্যায়ে আবার মাহমুদউল্লাহর চাপ, কোনো একজনকে বেছে নিতে হবে। তাতে তামিমের উত্তর, ‘মুশফিক।’ অনূর্ধ্ব-১৯ পর্যায় থেকেই যাঁর সঙ্গে বন্ধুত্ব, সেই মুশফিকের একটা আলাদা আবেদন তো থাকতেই পারে!

মুশফিকুর রহিম: শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ১৪৪ রান আমার কাছে স্পেশাল

২০০৫ সালের ২৬ মে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে লর্ডসে টেস্টের মধ্য দিয়ে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে পা রাখেন জাতীয় দলের উইকেটরক্ষক ব্যাটসম্যান মুশফিকুর রহীম। এরপর কেটে গেছে প্রায় ১৫ টি বছর। কিছুদিনের ভেতর মুশফিক অতিক্রম করবেন বাংলাদেশ দলের হয়ে খেলার ১৫তম বছর। এই দীর্ঘ সময়ে মুশফিক খেলেছেন ৭০টি টেস্ট, ২১৮টি ওয়ানডে এবং ৮৬টি টি-টোয়েন্টি ম্যাচ। ঝুলিতে পুরেছেন ১৪টি শতক এবং ৫৯টি অর্ধশতক। যার ভেতর রয়েছে টেস্টে ২১৯ এবং ওয়ানডেতে ১৪৪ রানের দুর্দান্ত দুটি ইনিংস।

এতো সব ইনিংসের ভেতর মুশফিক আত্মতুষ্টি পেয়েছেন কেবলমাত্র একটি ইনিংসেই। ২০১৮ সালের এশিয়া কাপে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ১৫০ বলে ১৪৪ রানের ইনিংসটিতে। সেই ম্যাচে মুশফিকের ১৪৪ রানে ভর করে লঙ্কানদের ২৬২ রানের লক্ষ্য ছুড়ে দিয়েছিল বাংলাদেশ। সেই সঙ্গে ১৩৭ রানের বড় জয় দিয়ে এশিয়া কাপের আসর শুরু করেছিল টাইগাররা। সম্প্রতি জাতীয় দলের ওয়ানডে ওপেনার তামিম ইকবালের সঙ্গে ফেসবুক লাইভে মুশফিক এ কথা জানান।

মুশফিক বলেন, ১৪৪, যেটা আমি শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে করেছিলাম। ওটা আসলে অন্যরকম স্পেশাল আমার কাছে। অনেক প্রতিকূলতা ছিলো, আমার শরীরও ঠিক ছিলো না। ইনজুরি ছিলো। কন্ডিশন ভালো ছিল না। আসলে সব কিছু মিলিয়ে ওটা আমার কাছে অন্যরকম স্পেশাল একটি ইনিংস। কিন্তু জাতীয় দলের ওয়ানডে দলপতির মতে মুশি তাঁর সেরা ইনিংসটি খেলেছিলেন ২০১২ সালে এশিয়া কাপে ভারতের বিপক্ষে। তামিম এ প্রসঙ্গে বলেন, ‘আমি যদি বলতাম তোর (মুশফিক) হয়ে, সেটা হতো ২০১২ সালের এশিয়া কাপে ভারতের বিপক্ষে খগেলা ইনিংসটি। ওই যে তুই দুইটা ছয়, তিনটা চারটা চার মারলি। আমার কাছে মনে হয় ওটা অন্যরকম ইনিংস ছিলো তোর।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here