বাংলা খবর,ঢাকা:
দেশে গত ২৪ ঘণ্টায় করোনাভাইরাসে (কভিড-১৯) আক্রান্ত হয়ে আরো ৩৫ জন প্রাণ হারিয়েছেন। এ নিয়ে ভাইরাসটিতে এখন পর্যন্ত মোট ৮৪৬ জনের মৃত্যু ঘটল। মৃতদের ২৩ জন পুরুষ এবং বাকি ৭ জন নারী। বয়স বিশ্লেষণে জানা যায়, ১১ থেকে ২০ বছরের মধ্যে দুইজন, ২১-৩০ তিনজন, ৩১-৪০ দুইজন, ৪১-৫০ তিনজন, ৫১-৬০ ১০ জন, ৬১-৭০ পাঁচজন, ৭১-৮০ ৯ জন এবং ৮১ থেকে ৯০ বছরের মধ্যে একজন। এছাড়া হাসপাতালে মারা গেছেন ২৫ জন, বাড়িতে ৯ জন এবং হাসপাতালে আনার পথে একজন।
আজ শনিবার (৬ জুন) দুপুরে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের করোনাভাইরাস বিষয়ক নিয়মিত হেলথ বুলেটিনে এসব তথ্য জানান স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (মহাপরিচালকের দায়িত্বপ্রাপ্ত) অধ্যাপক ডা. নাসিমা সুলতানা।
ডা. নাসিমা করোনাভাইরাস সংক্রমণের ঝুঁকি এড়াতে সবাইকে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর ও বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার পরামর্শ-নির্দেশনা মেনে চলার অনুরোধ জানান বুলেটিনে।
তিনি জানান, ৫০টি ল্যাবে ২৪ ঘণ্টায় নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে ১২ হাজার ৯০৯টি। এর মধ্যে পরীক্ষা করা হয়েছে ১২ হাজার ৪৮৬টি। পরীক্ষা করা নমুনার মধ্যে ২ হাজার ৬৩৫ জনের দেহে করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ পাওয়া যায়। মোট আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়ালো ৬৩ হাজার ২৬ জন।
ডা. নাসিমা বলেন, ২৪ ঘণ্টায় সুস্থ হয়েছেন ৫২১ জন এবং এ পর্যন্ত সুস্থ হয়ে হাসপাতাল ছেড়েছেন ১৩ হাজার ৩২৫ জন। সুস্থতার হার ২১.১৪ শতাংশ এবং মৃত্যুর হার ১.৩৪ শতাংশ। এছাড়া ২৪ ঘণ্টায় আইসোলেশনে নেয়া হয়েছে ৩১৪ জনকে। আইসোলেশন থেকে ছাড় দেয়া হয়েছে ৯৮ জনকে।
গত ডিসেম্বরে চীনের উহান শহরে প্রথম শনাক্ত হলেও এখন করোনাভাইরাসের কবলে গোটা বিশ্বই। বর্তমানে সবচেয়ে বেশি ভুগছে ইউরোপ-আমেরিকা-এশিয়াসহ বিশ্বের অন্যান্য অঞ্চল। এখন পর্যন্ত গোটা বিশ্বে আক্রান্তের সংখ্যা ৬২ লাখ ছাড়িয়েছে। মৃতের সংখ্যা ছাড়িয়েছে ৩ লাখ ৭৮ হাজার বেশি। অবশ্য ৩ লাখ ৭৭ হাজারের বেশি সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন।
বাংলাদেশে করোনাভাইরাস প্রথম শনাক্ত হয়েছে গত ৮ মার্চ। এরপর দিন গড়ানোর সঙ্গে সঙ্গে লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে এ সংখ্যা। লম্বা হচ্ছে মৃত্যুর মিছিলও।
অবশ্য প্রাণঘাতী এ ভাইরাস প্রতিরোধে সামাজিক দূরত্ব নিশ্চিতে মানুষকে ঘরে রাখার লক্ষ্যে সরকার নানা পদক্ষেপ নিয়েছে। এর মধ্যে দফায় দফায় ছুটি বাড়িয়ে তা ৩০ মে পর্যন্ত করা হয়। এরপর স্বাস্থ্যবিধি মেনে নির্দিষ্ট সময়ের জন্যে গণপরিবহন ও অফিস-আদালত খুলে দেওয়া হয়েছে।