দেশে করোনায় মৃত্যু বেড়ে ২২৩৮, মোট শনাক্ত ১৭৫৪৯৪ জন

0
82

বাংলা খবর ডেস্ক:
বাংলাদেশে গত ২৪ ঘণ্টায় করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন ৪১ জন। এদের মধ্যে পুরুষ ২৯ এবং নারী ১২ জন। এ নিয়ে মোট মারা গেলেন ২,২৩৮ জন।

আজ বৃহস্পতিবার স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের করোনাভাইরাস সংক্রান্ত নিয়মিত হেলথ বুলেটিনে এ তথ্য জানানো হয়। অনলাইনে বুলেটিন উপস্থাপন করেন স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (প্রশাসন) অধ্যাপক ডা. নাসিমা সুলতানা।

অধ্যাপক নাসিমা সুলতানা বলেন, এখন পর্যন্ত মৃত্যুবরণকারীদের মধ্যে পুরুষ এক হাজার ৭৭০ জন এবং নারী ৪৬৮ জন।

বয়স বিশ্লেষণে দেখা যায়, ৮১ থেকে ৯০ বছরের মধ্যে ২ জন, ৭১ থেকে ৮০ বছরের মধ্যে ৯ জন, ৬১ থেকে ৭০ বছরের মধ্যে ১২ জন, ৪১ থেকে ৫০ বছরের মধ্যে ৩ জন, ৫১ থেকে ৬০ বছরের মধ্যে ১১ জন, ৩১ থেকে ৪০ বছরের মধ্যে ২ জন, ১১ থেকে ২০ বছরের মধ্যে ১ জন, ০ থেকে ১০ বছরের মধ্যে ১ জন রয়েছেন।

২৪ ঘণ্টায় মৃত্যুবরণকারীদের মধ্যে ঢাকা বিভাগে ১২ জন, চট্টগ্রাম বিভাগে ১৪ জন, রাজশাহী বিভাগে ২ জন, খুলনা বিভাগে ৬ জন, সিলেটে ২ জন, রংপুরে ৩ জন এবং ময়মনসিংহ বিভাগে ২ জন রয়েছেন। এদের মধ্যে হাসপাতালে মারা গেছেন ৩৮ জন এবং বাসায় মৃত্যুবরণ করেছেন ৩ জন।

তিনি জানান, গত একদিনে ১৫ হাজার ৬৩২টি নমুনা পরীক্ষা হয়েছে। যাদের মধ্যে তিন হাজার ৩৬০ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। এতে সর্বমোট আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে এক লাখ ৭৫ হাজার ৪৯৪ জনে গিয়ে দাঁড়িয়েছে।

এখন পর্যন্ত ৯ লাখ চার হাজার ৭৮৪টি নমুনা পরীক্ষা হয়েছে জানিয়ে এই চিকিৎসক বলেন, গত ২৪ ঘণ্টায় শনাক্তের হার ২১ দশমিক ৪৯ শতাংশ। আর এ পর্যন্ত শনাক্তের হার ১৯ দশমিক ৪০ শতাংশ।

গত একদিনে তিন হাজার ৭০৬ রোগী সেরে উঠেছেন বলেও জানিয়েছেন নাসিমা সুলতানা। তিনি বলেন, এ পযন্ত ৮৪ হাজার ৫৪৪ জন সুস্থ হয়েছেন। অর্থাৎ ৪৮ দশমিক ১৭ শতাংশ রোগী কোভিড-১৯ থেকে সেরে উঠেছেন।

বাংলাদেশে করোনাভাইরাসের প্রথম সংক্রমণ ধরা পড়েছিল ৮ মার্চ, তা দেড় লাখ পেরিয়ে যায় গত ২ জুলাই। সেদিন ৪ হাজার ১৯ জন কোভিড-১৯ রোগী শনাক্ত হয়, যা এক দিনের সর্বোচ্চ।

আর ১৮ মার্চ বাংলাদেশে করোনাভাইরাসে প্রথম মৃত্যুর খবর নিশ্চিত করে স্বাস্থ্য অধিদফতর। ৫ জুলাই তা দুই হাজার ছাড়িয়ে যায়।

এর মধ্যে ৩০ জুন এক দিনেই ৬৪ জনের মৃত্যুর খবর জানানো হয়, যা এক দিনের সর্বোচ্চ মৃত্যু।

গত বছরের শেষ দিকে চীনের উহানে প্রথম করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ধরা পড়ে। ক্রমে সেটা বৈশ্বিক মহামারীর রূপ নিয়ে ছড়িয়ে পড়ে। চীন দুই মাসের মধ্যে তাদের দেশে সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে নিয়ে আসে।

ইউরোপের অনেক দেশেও তিন থেকে চার মাসের মধ্যে সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে এনেছে। সে তুলনায় এশিয়া ও আমেরিকা মহাদেশের বেশির ভাগ দেশে সংক্রমণের ঊর্ধ্বগতি বেশি দীর্ঘস্থায়ী হচ্ছে।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here