১০ দিনের রিমান্ডে সাহেদ

0
93

বাংলা খবর ডেস্ক:
রিজেন্ট হাসপাতালের চেয়ারম্যান সাহেদ ও প্রতিষ্ঠানটির ব্যবস্থাপনা পরিচালক মাসুদ পারভজকে ১০ দিনের রিমান্ড দিয়েছেন আদালত। আর সাহেদের প্রধান সহযোগী তরিকুলের ৭ দিনের রিমান্ড দিয়েছেন আদালত। বৃহস্পতিবার ঢাকা মহানগর হাকিম মো. জসিমের আদালতে এ আদেশ দেয়া হয়। এর আগে ডিবি কার্যালয় থেকে তাকে আদালতে নেয়া হয়।

মামলার তদন্ত কর্মকর্তা তাদের ১০ দিনের রিমান্ডে চাইলে শুনানি শেষে সাহেদ ও মাসুদের ১০ দিনই এবং তরিকুলের ৭ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত ।

সাতক্ষীরার সীমান্তবর্তী এলাকা থেকে বুধবার ভোরে শাহেদকে আটক করা হয়। গত ৬ই জুলাই সাহেদের মালিকানাধীন রিজেন্টের উত্তরা ও মিরপুর শাখায় অভিযান পরিচালনা করে র‍্যাব। জানা যায়, করোনাভাইরাসের ছয় হাজার ভুয়া প্রতিবেদন দিয়েছে এই হাসপাতাল। হাসপাতালের লাইসেন্সও নবায়ন করেনি।

সাহেদকে এক নম্বর আসামি করে মামলা করে র‍্যাব।

কাঠগড়ায় কাঁদলেন সাহেদ

এদিকে করোনা পরীক্ষার নামে প্রতারণার অভিযোগে গ্রেপ্তার রিজেন্ট হাসপাতাল ও রিজেন্ট গ্রুপের চেয়ারম্যান মো. সাহেদকে আদালতে রিমান্ড শুনানিতে হাজির করা হলে কাঠগড়ায় দাঁড়িয়ে কেঁদেছেন তিনি। রিমান্ড শুনানি চলাকালে কাঠগড়া থেকে বিচারকের উদ্দেশে সাহেদ বলেন, আমি কি একটা কথা বলতে পারি? এটি বলেই কাঠগড়ার ভেতরে কান্নাকাটি শুরু করেন সাহেদ।

কান্নাজড়িত কণ্ঠে তিনি বলেন, আমি দেড় মাস ধরে করোনায় আক্রান্ত। আমার বাবা করোনায় মারা গেছেন।

বৃহস্পতিবার সকালে ঢাকা মুখ্য মহানগর হাকিম আদালতে তোলা হলে রিমান্ড শুনানির মাঝখানে বিচারককে তিনি এসব কথা বলেন।

সাহেদ বলেন, আমি মার্চে প্রথম দিন যখন স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ে যাই, তখন তারা আমাকে আমার হাসপাতালের লাইসেন্স নবায়ন করতে বলেন। তখন আমি বলি, আমার লাইসেন্সের ঘাটতি আছে। তখন তারা বলে, লাইসেন্স নবায়নের জন্য সোনালী ব্যাংকে টাকা জমা দেন। আমি তাদের কথা মতো টাকা জমা দিই। সারাদেশে করোনা চিকিৎসার কাজ বেসরকারিভাবে আমরাই শুরু করেছি। তারপরেও আমার সবগুলো প্রতিষ্ঠানকে সিলগালা করা হয়েছে।


আদালত চত্বরে সাহেদ

সাহেদকে আদালতে হাজির করে ১০ দিনের রিমান্ড আবেদন করে ডিবি। শুনানি নিয়ে আদালত ১০ দিনেরই রিমান্ড মঞ্জুর করেন।

রিজেন্ট হাসপাতালে অভিযানের পর এক সপ্তাহ পালিয়ে থাকা সাহেদকে বুধবার ভোরে দেবহাটা উপজেলার কোমরপুর গ্রামের লবঙ্গবতী নদীর তীর সীমান্ত এলাকা থেকে অবৈধ অস্ত্রসহ গ্রেপ্তার করে র‌্যাব। গ্রেপ্তারের সময় সাহেদ বোরকা পরিহিত অবস্থায় ছিলেন। কোমরে ছিল গুলিভর্তি অস্ত্র। তবে অভিযানের সময় র‌্যাবের সঙ্গে তার কোনো গোলাগুলির ঘটনা ঘটেনি।

গ্রেপ্তারের পর ভোরেই তাকে হেলিকপ্টারে ঢাকায় আনা হয়। এরপর সাহেদকে নিয়ে উত্তরায় তার একটি গোপন আস্তানায় অভিযান চালিয়ে জাল মুদ্রা উদ্ধার করে র‌্যাব। প্রতারক সাহেদকে বুধবার সন্ধ্যায় মামলার তদন্তকারী সংস্থা ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here