‘রিপোর্টার থেকে সম্পাদক’ – (পর্ব- ২৫)

0
104

শাহজাহান সরদার:
আমার লেখা ‘রিপোর্টার থেকে সম্পাদক’ বইটি এই ‘করোনাকালের’ অবসরে ধারাবাহিকভাবে একদিন পর পর পোস্ট করা হবে। আশা করি আপনারা বইটি পড়ে দেশের সংবাদপত্র ও রাজনীতির ভেতরের অনেক খবর জানতে পারবেন।

(বইটি ২০১৮ সালের অমর একুশে গ্রন্থমেলায় প্রকাশিত হয়)

(পর্ব- ২৫)

সাংবাদিকতা জীবনে এ পর্যন্ত পেশাগত কারণে এবং ব্যক্তিগতভাবে বহুদেশ সফর করেছি। জাতিসংঘ অধিবেশন, জাতিসংঘ মিলিনিয়াম সামিট, বিশ্বখাদ্য সম্মেলন, বিশ্ববাণিজ্য সম্মেলনসহ গুরুত্বপূর্ণ অনেক সম্মেলনের সংবাদ সংগ্রহ করেছি। যুক্তরাষ্ট্রের সিয়াটলে বিশ্ববাণিজ্য সম্মেলনের সংবাদ সংগ্রহ করতে গিয়ে কার্ফ্যুর মধ্যেও পড়তে হয়েছে। আর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সফরসঙ্গী হয়ে ১৯৯৭ সালে রোমে আন্তর্জাতিক খাদ্য সম্মেলনে গিয়েছিলাম। যাওয়ার সময় বিমানেই দেশের পরিস্থিতি নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর একটি সাক্ষাৎকার নিয়েছিলাম। বিমানে কোন প্রধানমন্ত্রীর সাক্ষাৎকার গ্রহণ কোন রিপোর্টারের জন্য বিরল ঘটনা। বিদেশ সফর নিয়ে এমন অনেক স্মৃতি আছে, অভিজ্ঞতা আছে। বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সম্মেলন, সেমিনারের সংবাদ সংগ্রহের পাশাপাশি সাংবাদিকতায় ফেলোশিপ ও প্রশিক্ষণ গ্রহণেরও সুযোগ হয়েছে। এখানে জাপানে আমার এক মাসের ফেলোশিপের আদ্যোপান্ত উল্লেখ করলাম। এতে কীভাবে আমন্ত্রণ এলো, কীভাবে গেলাম এবং জাপানের রাজধানী টোকিও সর্ম্পকে ছোটখাটো বিষয় অন্তর্ভুক্ত হয়েছে। এ লেখাটি আমার ভ্রমণকাহিনী গ্রন্থ ‘আমার দেখা জাপান’ থেকে হুবহু তুলে ধরা হলো। গ্রন্থটি প্রথম প্রকাশ হয় ১৯৯৪ সালে। দ্বিতীয় সংস্করণ বাজারে আসে ২০০৮ সালে।

আমন্ত্রণ পর্ব (জাপান)

দুপুরে ঘুমানো আমার অভ্যাস। এ নিয়ে বন্ধু-বান্ধব, আত্মীয়-স্বজন অনেকের ভিন্ন ভিন্ন মন্তব্য আছে। দুপুরে একুট সময়ের জন্য হলেও বিছানায় না গেলে
মাথা ঝিম-ঝিম করে। দীর্ঘদিন ধরে সংবাদপত্রে রিপোর্টার হিসেবে কাজ করছি। রাজনৈতিক অনেক উত্থান-পতন, তীব্র আন্দোলন, গুলি-বোমা, সহিংসতার ঘটনাসহ দিনভর রাজনৈতিক কর্মসূচি পালনের সংবাদ যেমন মাঠে থেকে সংগ্রহ করে থাকি, তেমনি সেমিনার-সিম্পোজিয়ামের খবরও কভার করি। ম্যারাথন এসব কর্মসূচির মধ্যেও চেষ্টা করেছি দুপুরে একটু বিশ্রাম নিতে। আর কাজ না থাকলে অল্প সময়ের জন্য ঘুম বা ঝিমুনি অভ্যাসে পরিণত হয়েছে। বরাবরের মত সেদিনও দুপুরে শুয়েছিলাম। দিনটি ৩রা সেপ্টেম্বর ১৯৯২। টেলিফোনের আওয়াজে কিছুটা বিরক্ত হলেও রিসিভার ওঠালাম। জরুরি টেলিফোন হতে পারে। রিপোর্টার মানে সার্বক্ষণিক চাকরি। অফিস থেকে অথবা কোনো সোর্স হতে পারে। বন্ধু-বান্ধব আত্মীয়-স্বজনও হতে পারে। তবে সবকিছুর চাইতে সংবাদপত্রের রিপোর্টারদের সংবাদের দিকেই খেয়াল থাকে বেশি। টেলিফোন বেজে উঠলেই মনে হয় কোনো সংবাদের সন্ধান হয়তো পাওয়া যাবে। কিন্তু না, এসব কিছুই না। অপরপ্রান্ত থেকে যিনি কথা বলছেন, তিনি জাপানি দূতাবাসের তৎকালীন জনসংযোগ কর্মকর্তা মতিন সাহেব। সরাসরি তিনি প্রশ্ন করলেন, আপনার বসয় কত? আমি বিস্মিত হলাম। হঠাৎ বয়সের প্রশ্ন কেন? পরক্ষণেই তিনি বললেন, আপনি কি জাপান যেতে রাজি আছেন? আমার চোখে তখনও ঘুম ঘুম ভাব। বিস্ময় আরো বাড়ে। এবার আমি আড়মোড়া ভেঙে বিছানা থেকে উঠে জানতে চাই, আসলে ব্যাপারটি কী? তিনি বললেন, আপনি জাপান যেতে রাজি থাকলে কালই আমাদের অ্যাম্বাসিতে আসুন। এলে বিস্তারিত আলোচনা হবে। তবে যেতে হবে খুব তাড়াতাড়ি। ১০দিনের সময় পাবেন। মতিন সাহেবের সাথে আমার পরিচয় অনেক দিন। ভদ্রলোক কথা বলেন কম এবং বিনয়ী। বললাম, ঠিক আছে কাল আসব। টেলিফোনে কথা বলাতে আমার স্ত্রী জেগে ওঠেন। রিসিভার রেখে তাকে ঘটনা খুলে বলি। তার কথা সূর্যোদয়ের দেশ সম্পর্কে বইয়ে পড়েছি। দেখার সৌভাগ্য ক’জনের আছে। সুযোগ পেলে অবশ্যই যাবে। আমারও একই কথা। পরদিন সকালেই দূতাবাসে যাই। মতিন সাহেব যেতেই বায়োডাটা নিয়ে ইন্টারকমে কথা বললেন প্রেস কাউন্সিলর তাজিকার সাথে। পরে আমাকে নিয়ে গেলেন তার রুমে। তাজিকাও আমার পূর্বপরিচিত। খুবই খুঁতখুঁতে স্বভাবের লোক। বায়োডাটা দেখে তিনি হতাশ হয়ে বললেনÑনা, বয়স বেশি। তাজিকা মাথার চুল টানছিলেন, এটা তার অভ্যাস। আমি কিন্তু কিছুই বুঝতে পারছিলাম না। কাদের আমন্ত্রণ, কতদিনের সফর, কিসের বয়সের কথা বলছেন সবই তখন পর্যন্ত অজানা। কিছুক্ষণ পর মাথা থেকে হাত নামিয়ে তাজিকা বললেন, আচ্ছা ঠিক আছে। বয়স বেশি হলেও আমি সুপারিশ করব। দেখি কী হয়। দু’দিন পর জানা যাবে। আর মোটামুটি তৈরি থাকবে। এ বলে তাজিকা সাথে সাথে একটি ফরম জাপানি ভাষায় পূরণ করে আমার বায়োডাটাসহ ফ্যাক্স করে দিলেন টোকিওতে। মতিন সাহেবের সাথে আমি তার রুমে ফিরে জিজ্ঞাসা করলাম, ঘটনা কী বলুন তো। তিনি বললেন সব।

আগে একজন সাংবাদিকের নাম পাঠানো হয়েছিল। কিন্তু টোকিও অনুমোদন দেয়নি। বয়স থাকতে হবে ৩৫ বছর। আপনার তো আরও বেশি। যেতে হবে আগামী ১৪ সেপ্টেম্বর, তাই তাড়াহুড়ো। আমি তাকে প্রশ্ন করলাম, কারা আমন্ত্রণ করেছে, সেখানে কেন যাওয়া, কী করতে হবে? পরে জানলাম, জাপানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ফরেন প্রেস সেন্টার এফপিসি আমন্ত্রণ পাঠিয়েছে। ৪ সপ্তাহের এ ফেলোশিপে জাপানি রাজনীতি, অর্থনীতি, সামাজিক অবস্থা সম্পর্কে সে দেশের খ্যাতনামা পণ্ডিতরা বিশদ বর্ণনা দিয়ে থাকেন। আর বিভিন্ন শহর ঘুরিয়ে দেখানো হয়। খুব ভাল সুযোগ। এ ফেলোশিপে আমার আগে বাংলাদেশ থেকে তিনজন সিনিয়র সাংবাদিক অংশ নিয়েছেন। তাদের নাম পরে শুনেছি। তাদের প্রত্যেকেরই বয়স আমার চাইতে কমপক্ষে ৬ থেকে ১০ বছর পর্যন্ত বেশি হবে। মতিন সাহেব বলেন, আশা করি সমস্যা হবে না। তাজিকা সবকিছু লিখে দিয়েছে, আপনি প্রস্তুত থাকেন। আমি কিন্তু সংশয়মুক্ত হতে পারিনি। বাসায় এসে স্ত্রীকে সব খুলে বললাম। আমার বড় ছেলের এসএসসি টেস্ট পরীক্ষা শুরু হবে ১৪ সেপ্টেম্বর থেকে। আমার স্ত্রী খুবই ব্যস্ত ছিলেন। এ সময় বাইরে যাওয়া ছেলের জন্য ক্ষতিকর হবে এমন চিন্তাও দু’জনে করেছি। কিন্তু সূর্যোদয়ের দেশ জাপান যাওয়ার সুযোগ ছাড়া ঠিক হবে কি-না তাও ভাবছি। এমনি সংশয়ের মধ্যে মতিন সাহেব ৬ সেপ্টেম্বর সকালে আবার টেলিফোন করে জানালেন ‘আপনারটা হয়ে গেছে। কাল আসেন, সব কিছু ঠিকঠাক করতে হবে। পাসপোর্ট নিয়ে আসবেন।’ এটুকু বলেই তিনি ফোন রেখে দিলেন। চিন্তাভাবনা করে ঠিক করলাম সুযোগটা গ্রহণই করি। পরদিন দূতাবাসে গেলাম। ফ্যাক্সে আসা এফপিসি’র চিঠি আমার হাতে তুলে দিয়ে তাজিকা বললেন, ‘ইউ আর লাকি’। আমি তাকে জিজ্ঞাসা করলাম, এ-কথা কেন বলছে? তাজিকার উত্তর, আগের একটি নাম টোকিও আমাদের অনুমোদনের পরও বাতিল করে দিয়েছে। আর তোমার বয়স বেশি দেখানো সত্ত্বেও গ্রহণ করেছে। তুমি তৈরি হতে থাক। আমি জাপানের মৌলিক তথ্য সম্বলিত কিছু বই-পুস্তক নিয়ে বাসায় ফিরে খবর জানালে সবাই খুশি হয়। দ্রুত তৈরি হতে থাকি। পুরো একমাস দেশের বাইরে থাকতে হবে। তাই গোছগাছের প্রয়োজন।সংবাদ পাঠানোর জন্য আই টি ইউ কার্ড ম্যানেজ করে দিলেন ইত্তেফাকের তৎকালীন বার্তা সম্পাদক গোলাম সারওয়ার। তখন টেলেক্সে বিদেশ থেকে খবর পাঠানো হতো। এজন্য এই কার্ড প্রয়োজন। সবকিছু ঠিকঠাক হয়ে গেল। টিকিট এল ঢাকা থেকে বাংলাদেশ বিমানযোগে ব্যাংককে একরাত থেকে পরদিন টোকিও-এর নারিতা বিমানবন্দর। ব্যাংকক থেকে যেতে হবে জাপান এয়ারলাইন্স-এ (জাল)। ১৪ সেপ্টেম্বর সকাল ৬টায় বাসা থেকে রওয়ানা দিতে হবে। তাই সব গোছগাছ করে ১৩ তারিখ রাতের খাবারের টেবিলে পারিবারিক বিভিন্ন কথা হচ্ছিল। স্ত্রী হাসিনাকে বিমর্ষ মনে হচ্ছিল। বড় ছেলে ড. সাজেদুল হাসান (নাসিম) তখন এসএসসি পরীক্ষার্থী (বর্তমানে যুক্তরাষ্ট্রের জেনারেল ইলেকট্রিক (জি-ই)-এর গবেষক)। মন কিছুটা খারাপ মনে হয়। মেজো ছেলে ড. শামীমুল হাসান (আজিম) (বর্তমানে যুক্তরাষ্টের বৃহত্তম কম্পিউটার ল্যাব ও একে চিজ ল্যাবরেটরিতে গবেষক হিসেবে কর্মরত) বেশ উচ্ছ্বসিত। কি আনতে হবে তার বিবরণ দিচ্ছিল। আর ছোট ছেলে ডা. ফাহিম হাসানের বয়স তখন এক বছর ৫ মাস (এমবিবিএস পাশ করে বর্তমানে সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজে ইন্টার্নি করছে)। সে তেমন কিছু বোঝে না, স্পষ্ট করে কথাও বলতে পারে না। আমার কিন্তু তার জন্য চিন্তা হচ্ছিল বেশি। কেননা রাতে অফিস থেকে ফিরে এলে আমাকে দেখার পরই সে ঘুমায়। যাহোক কোনো অসুবিধা হলে অফিসে যোগাযোগ করার জন্য স্ত্রীকে পরামর্শ দেই। আমি তখন ইত্তেফাকের সিনিয়র রিপোর্টার। এপাশ-ওপাশ করে কাটিয়ে দিলাম, রাতে ঘুম হয়নি। স্ত্রীরও একই অবস্থা।

১৪ সেপ্টেম্বর ভোর সাড়ে ৪টার দিকে বিছানা থেকে উঠে তৈরি হতে থাকি। সাড়ে ৫টার মধ্যে আমার গোসল, শেভ, কাপড় পরা হয়ে গেছে। গরম ভাত, তরকারি স্ত্রী টেবিলে সাজিয়ে ফেলেছে ততক্ষণে। সবাই এক সঙ্গে খেলাম। আমার শ্যালক রেজাউল করিম আর ভাইয়ের শ্যালক আনোয়ার এসে গেছে। স্ত্রী-ছেলেরা বিমানবন্দরে কেউ যেতে পারবে না। বড় ছেলের টেস্ট পরীক্ষা আজই শুরু হচ্ছে। ছোট ছেলে পেঁৗঁনে ৬টা পর্যন্ত ঘুমাচ্ছিল। আমি তাকে কোলে তুলে নিলাম। চোখে ঘুম-ঘুম ভাবই ছিল। সব তৈরি। গাড়ি নিয়ে ড্রাইভার নিচে অপেক্ষা করছে। স্যুটকেস-ব্যাগ নিয়ে টিকিট, পাসপোর্ট, প্রয়োজনীয় কাগজপত্র পরীক্ষা করে এবার বের হওয়ার পালা। সবাই নিচে নেমে এলাম। ছোট ছেলেকে স্ত্রীর কোলে দিয়ে আমি যখন গাড়িতে উঠি তখন সকাল ৬টা। কাঁটায় কাঁটায় সাড়ে ৬টায় বিমানবন্দরে পৌঁছি। প্রথম শ্রেণির টিকিট, তাই কোথাও কোন সমস্যা হয়নি। বিমানবন্দরে সব আনুষ্ঠানিকতা সেরে দোতলায় হোটেলে কিছুক্ষণ বসতেই প্রথম শ্রেণির যাত্রীদের আলাদা একটা গাড়িতে করে সোজা বিমানের কাছে নিয়ে বয়ে উঠানো হল। সে সময় বিমানবন্দরে হ্যাংগার ছিল না।

বাংলাদেশ বিমানের সময়নিষ্ঠা সম্পর্কে অভিযোগ থাকলেও আথিতেয়তার সুনাম আছে। বিমানে উঠার পরপরই ফলের রস দেয়া হয়। ছাড়ার পর নাস্তা। খাবার খুবই সুস্বাদু। আর গিফটও আছে। আড়াই ঘণ্টা বিমান ভ্রমণ শেষে ব্যাংকক বিমানবন্দরে নামি বাংলাদেশ সময় ১১.১৫ মিনিটে। ব্যাংকক সময় তখন ১২টা ১৫ মিনিট। ঘড়ির সময় ঠিক করে নেই বিমান থেকেই। ব্যাংককের ভিসা নিয়ে যাইনি। বিমানবন্দরে সহজেই ভিসা পাওয়া যায়। (এখন বাঙালিদের জন্য বিমানবন্দরে ভিসা দেয়া দূরের কথা ঢাকার দূতাবাস থেকেও ভিসা নেয়া কঠিন)। বিশাল বিমানবন্দর। চিহ্ন দেখে দেখে ভিসা অফিসের সামনে হাজির হতেই দেখি অনেক বাঙালি লাইন ধরে দাঁড়িয়ে আছে। দেখলেই বোঝা যায় এদের বেশিরভাগ চাকরির আশায় কোনো আদম ব্যাপারীর সাথে এখানে এসেছেন। সোনালি ভবিষ্যৎ তাদের প্রত্যাশা। কিন্তু চোখে-মুখে অনেকেরই ভয়ের ছাপ। আমি ভিসা অফিসের সামনের মুদ্রা পরিবর্তনকারী বুথ থেকে ডলার ভাঙিয়ে বাথ করিয়ে নিয়ে ভিসার লাইনে দাঁড়াই। আধঘণ্টার মধ্যে ভিসা হয়ে যায়।

(সুপ্রিয় পাঠক, সময়ের অভাবে যদি কেউ পূর্বের পোস্টকৃত কোন পর্ব পড়তে না পারেন, তাহলে ফেসবুকের এই আইডি থেকে অথবা বাংলাদেশ জার্নাল অনলাইনের ‘অন্যান্য’ ক্যাটাগরি থেকে ‘রিপোর্টার থেকে সম্পাদক’ বইটি পড়তে পারবেন।)

বইটি সংগ্রহ করতে চাইলে অর্ডার করুন #www.rokomari.com/utso
#www.porua.com.bd
#www.boimela.com

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here