যুক্তরাষ্ট্রে ধর্মীয় উৎসব আমেজে পবিত্র ঈদুল আযহা উদযাপিত

0
131

বাংলা খবর ডেস্ক:
করোনামুক্ত পৃথিবী সহ বিশ্ব মানবতার কল্যাণ কামনার মধ্য দিয়ে নিউইয়কসহ সমগ্র উত্তর আমেরিকায় ৩১ জুলাই শুক্রবার নিউইয়র্ক সহ উত্তর আমেরিকায় পবিত্র ঈদুল আযহা উদযাপিত হয়েছে। করোনাকালের এ ঈদে সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখেই অধিকঅংশ মসজিদে জামাত অনুষ্ঠিত হয়। এছাড়া স্থানীয় কর্তৃপক্ষের অনুমতি সাপেক্ষে কোথাও কোথাও খোলা মাঠে এবং সড়কের উপরও ঈদের জামাত হয়েছে। তবে করোনা পরিস্থির কারনে অধিকাংশ মসজিদে একাধিক জামাত অনুষ্ঠিত হয়। ত্যাগের মহিমা নিয়ে যথাযথ ধর্মীয় ভাবগাম্ভীর্য ও উৎসব আমেজে উদযাপিত হয় মুসলমানদের অন্যতম প্রধান এই ধর্মীয় উৎসব। আল্লাহর সন্তুষ্টি লাভের আশায় নিউইয়র্কসহ যুক্তরাষ্ট্রের বিভিন্ন স্টেটে বসবাসরত মুসলমানগণ এদিন স্বপরিবারে পবিত্র ঈদুল আযহার নামাজ আদায় করেন। ঈদের নামাজ শেষে প্রবাসের ধর্মপ্রাণ মুসলমানরা পশু কোরবানীর মধ্যদিয়ে উদযাপন করে এই ধর্মীয় উৎসব। সর্বত্রই শান্তিপূর্ণভাবে ঈদ জামাত অনুষ্ঠিত হয়েছে।
যুক্তরাষ্ট্রে এবার অধিকাংশ ঈদ জামায়াত সকাল ৭ টা থেকে সকাল সাড়ে ১০ টার মধ্যে অনুষ্ঠিত হয়। আল্লাহু আকবার, আল্লাহু আকবার, লা ইলাহা ইল্লাললাহু, আল্লাহু আকবার, আল্লাহু আকবার, ওয়া লিল্লাহিল হামদ ধ্বনিতে মুখরিত হয়ে ওঠে মসজিদ ও ঈদগাহ প্রাঙ্গণ।

জ্যামাইকা মুসলিম সেন্টার:

নিউইয়র্কে বাংলাদেশীদের উদ্যোগে প্রতিষ্ঠিত ও পরিচালিত জ্যামাইকা মুসলিম সেন্টার (জেএমসি)-এ এবার ঈদুল আযহার ৫টি জামাত অনুষ্ঠিত হয়। ঈদের দিন জেএমসি-তে সকাল সাড়ে ৬টায় প্রথম জামাত অনুষ্ঠিত হয়। এতে ইমামতি করেন জেএমসি’র খতিব ও ইমাম মওলানা মির্জাআবু জাফর বেগ। এছাড়াও সকাল সাড়ে ৭টা, সাড়ে ৮টা, সাড়ে ৯টা এবং সকাল সাড়ে ১০টায় আরো ৪টি জামাত অনুষ্ঠিত হয়। এখানে দ্বিতীয় জামাতে ইমামতি করেন ইমাম শামসে আলী আর চতুর্থ জামাতে ইমামতি করেন হাফেজ রফিকুল ইসলাম। জেএমসি ভবন ছাড়াও মসজিদ সংলগ্ন ‘জেএমসি ওয়ে’তে খোলা রাস্তার উপরও মুসল্লীরা নামাজে অংশ নেন।
জেএমসি’র ঈদের জামাত চলাকালীন সময়ে নিউইয়র্ক ষ্টেট সিনেটর জন ল্যু ও স্টেট অ্যাসেম্বলীম্যান ডেভিড ওয়েপ্রিন মসজিদে উপস্থিত হয়ে মুসল্লীদের সাথে শুভেচ্ছা বিনিময় করেন।
জেএমসি পরিচালনা কমিটির সেক্রেটারী মনজুর আহমেদ চৌধুরী জানান, করোনা পরিস্থিতিতে সামাজিক দূরত্ব মেনে ঈদের জামাত অনুষ্ঠিত হয়।

ব্রঙ্কসের বাংলাবাজার জামে মসজিদে ৫টি ঈদ জামাত:

যুক্তরাষ্ট্রে ধর্মীয় ভাবগাম্ভীর্য ও উৎসব আমেজে উদযাপিত হয় মুসলমানদের অন্যতম প্রধান এই ধর্মীয় উৎসব। মহান আল্লাহর সন্তুষ্টি লাভের আশায় বিপুল সংখ্যক মুসল্লী স্বাস্থ্য বিধি মেনে সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে পবিত্র ঈদুল আযহার নামাজ আদায় করেন। নিউইয়র্কে বাঙালী অধ্যুষিত ব্রঙ্কসে বাংলাবাজার জামে মসজিদের উদ্যোগে স্থানীয় সময় ৩১ জুলাই শুক্রবার মসজিদে ৫টি ঈদ জামাত অনুষ্ঠিত হয়। মসজিদের ভিতরে এবং পার্শ¦বর্তী পার্কিং লটে সকাল ৭:৩০ মিনিটে, সকাল ৮:৩০ মিনিটে, সকাল ৯:১৫ মিনিটে, সকাল ৯:৩০ মিনিটে এবং সকাল ১০:০০ মিনিটে এ সকল ঈদ জামাত অনুষ্ঠিত হয়।

বাংলাবাজার জামে মসজিদে সকাল ৭:৩০ মিনিটে ১ম জামাতে ইমামতি, খুৎবা পাঠ ও দোয়া মুনাজাত পরিচালনা করেন বাংলাবাজার জামে মসজিদের খতিব মাওলানা আবুল কাশেম ইয়াহইয়া। বাংলাবাজার জামে মসজিদের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি বিশিষ্ট ব্যবসায়ী আলহাজ গিয়াস উদ্দিন সহ করোনায় নিহতদের আত্মার মাগফেরাত ও বিশ্ব মানবতার শান্তি কামনায় বিশেষ দোয়া মুনাজাত করা হয়।


জামাতের আগে বাংলাবাজার জামে মসজিদের সাধারণ সম্পাদক লালন আহমেদ মসজিদের সংক্ষিপ্ত কার্যক্রম তুলে ধরে বলেন, সকলের সহযোগিতায় মসজিদটি ঋণ মুক্ত হয়েছে। ক্রমবর্ধমান মুসল্লীদের নামাজ আদায়ের সুবিধার্থে মসজিদটিকে আরো বৃহৎ পরিসরে গড়ে তোলার জরুরী হয়ে পড়েছে। মসজিদ কমিটি বিষয়টি নিয়ে কাজ করছে। এজন্য সকলের আর্থিক সহযোগিতা একান্ত প্রয়োজন।

লালন আহমেদ জানান, মসজিদের আগামী ৬ মাসের ইলেক্ট্রিক এবং গ্যাস বিল আল আকসা সুপার মার্কেট ও আল আকসা রেষ্টুরেন্টের স্বত্বাধিকারী শাহীন প্রদান করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন। মসজিদের হোম ইনস্যুরেন্স এবং মসজিদের ইনস্যুরেন্সের এক বছরের প্রিমিয়াম ডা. মুহম্মদ হেলাল উদ্দিন, মসজিদের এক বছরের ফোন বিল এ অ্যান্ড এস ডিসকাউন্ট স্টোরের শামীম উদ্দিন এবং এক বছরের পানির বিল মসজিদ ফান্ডরেজিং কমিটির চেয়ারম্যান ডা. আবদুস সবুর প্রদান করার প্রতিশ্রুতি প্রদান করেছেন।

নামাজ শেষে মুসল্লীদের মাঝে ঈদের মিষ্টি ও পানি বিতরণ করা হয়। মিষ্টি স্পন্সর করেন ডা. আবদুস সবুর। ঈদের নামাজে সার্বিক সহযোগিতায় ছিলেন মসজিদ কমিটির বাংলাবাজার জামে মসজিদের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি ইলিয়াস আলী, সহ সভাপতি মো. এমদাদ, সাধারণ সম্পাদক মো. লালন আহমেদ, সহ সাধারণ সম্পাদক মোতাসিম বিল্লাহ হোসেন তুষার, কোষাধ্যক্ষ ইকবাল হোসেন, সহ কোষাধ্যক্ষ মোহাম্মদ আবু সাঈদ, কার্যকরী সদস্য মো. আহসান রাসুল নাসির, ওয়ালিউর রহমান, মিজানুর রহমান, মোহাম্মদ শাহজাহান, শামিম উদ্দিন ও সোহেল চৌধুরী।

মসজিদ কমিটির দক্ষ ব্যবস্থাপনায় অত্যন্ত সুশৃঙ্খলভাবে ঈদ জামাত অনুষ্ঠিত হয়। দূর-দূরান্ত থেকে বিপুল সংখ্য মুসল্লী সামিল হন এসব ঈদ জামাতে।

ব্রঙ্কসের পার্কচেস্টার জামে মসজিদে তিনটি ঈদ জামাত:

নিউইয়র্কে বাঙালী অধ্যুষিত ব্রঙ্কসের প্রাচীনতম মসজিদ পার্কচেস্টার জামে মসজিদে ৩১ জুলাই শুক্রবার মসজিদে ৩টি ঈদ জামাত অনুষ্ঠিত হয়। স্বাস্থ্য বিধি মেনে সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে সকাল ৮টায়, সকাল ৯ টায় এবং সকাল ১০টায় এসব ঈদ জামাত অনুষ্ঠিত হয়।

মহান আল্লাহর সন্তুষ্টি লাভের আশায় বিপুল সংখ্যক মুসল্লী জামাত তিনটিতে পৃথকভাবে নামাজ আদায় করেন। ১ম জামাতে ইমামতি, খুৎবা পাঠ ও দোয়া মুনাজাত পরিচালনা করেন মসজিদের ভারপ্রাপ্ত ইমাম ও খতিব মাওলানা মো: মাসহুদ ইকবাল। দোয়া মুনাজাতে মহান আল্লাহতায়ালার সন্তুষ্টি লাভ, করোনামুক্ত পৃথিবী সহ বিশ্ব মানবতার কল্যাণ কামনা করা হয়।
জামাতের আগে শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন পার্কচেস্টার জামে মসজিদ কমিটির সভাপতি মোস্তাক আহমদ চৌধুরী।

দ্বিতীয় জামাতে মসজিদের তৃতীয় তলায় মহিলারা নামাজ আদায় করেন।
মসজিদ কমিটির দক্ষ ব্যবস্থাপনায় অত্যন্ত সুশৃঙ্খলভাবে ঈদের জামাত তিনটি অনুষ্ঠিত হয়। তিনটি জামাতেই বিপুল সংখ্য মুসল্লীর সমাগম ঘটে। দূর-দূরান্ত থেকেও মুসল্লীরা সামিল হন এসব ঈদ জামাতে।

ঈদ জামাতের সার্বিক তত্বাবধানে ছিলেন মসজিদ কমিটির সভাপতি মোস্তাক আহমদ চৌধুরী, সহ সভাপতি হারুন আলী, মো: আব্দুল মতিন, সাধারণ সম্পাদক আম্বিয়া মিয়া, সহ সাধারণ সম্পাদক শেখ মজনু মিয়া, কোষাধ্যক্ষ মাজলুল আহমেদ, সহ কোষাধ্যক্ষ আব্দুস

শহিদ, কালচারাল সেক্রেটারী মোহাম্মদ রেজাউল ইসলাম, ফিউনারেল সেক্রেটারী মোঃ নুরুল আহিয়া, মেইনটেনেন্স সেক্রেটারী মোঃ ফটিক মিয়া, এডুকেশন সেক্রেটারী মো: আব্দুল গফুর, কার্যকরী সদস্য : সোহান আহমদ, তারেক আহমদ, কামরুল হাসান ও মোহাম্মদ রুখান খান।

নিউইয়র্ক ঈদগাহ:
ইমাম কাজী কায়্যূম জানান, যেহেতু সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখতে স্বাস্থ্যবিধি পালনের নিয়ম মসজিদের ছফ বা কাতারে প্রয়োগের ক্ষেত্রে ইসলামী শরীয়তের অনুমতি নেই। এ কথাটি প্রায় সকল ইমামেরই জানা যে, ইসলামী ভ্রাতৃত্ব বোধ বজায় রাখতে একই সাথে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে যতক্ষণ না মুসল্লিরা নামাজে দাঁড়াতেন, নবীজী নামাজ শুরুই করাতেন না। নামাজের আগে জোরে বলে দিতেন , কাতার সোজা করে নাও। কাতারের মাঝখানে কোন ফাঁক রাখা যাবেনা। কাতার ঠিক হলেই কেবল নামাজ সুন্দর ও শুদ্ধ হবে। সেজন্য দ্বিতীয় খলিফা হজরত ওমর (রা) নবীজীকে এই ব্যাপারে আপোসহীন দেখার পর নবীজী ও হজরত আবু বাকারের ইন্তেকালের পর মসজিদে একটি ছড়ি নিয়ে যেতেন এবং কেউ কাতারের মাঝখানে একটু খানি ফাঁক রেখেছে দেখলেই ছড়ি দিয়ে জোরে ঠাস ঠাস করে মুসল্লির দুপা’য়ে বেত্রাঘাত করতেন। সেই ধারাবাহিকতাই চলে আসছে আজ থেকে ১৩’শ ৮৮ বছর আগে থেকে। তা ছাড়া সাস্থ্যবিধি পালন করতে গিয়ে ঈদের নামাজ শেষে করমর্দন কিংবা কোলাকুলিও করা যাবেনা এমন কথা বুঝতে পেরে মুসল্লীরা সবাই ভার্চ্যুয়ালী যুক্ত ছিলেন নিজ নিজ ঘরে বসেই। যেহেতু স্বাস্থ্যবিধি পালন করতে সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখার কারনে শরীয়তের বিধি লংঘিত হয়, তাই মাসআলায় পারদর্শী নিউইয়র্ক ঈদগাহর সকল মুসল্লীরা তাদের নতুন প্রজন্ম ও পরিবারের সদস্যদের নিয়ে শুদ্ধভাবে গুরুত্বপূর্ণ ঈদুল আদহার ঐতিহাসিক এই নামাজটি আদায় করে দারুণ আত্মতৃপ্তি লাভ করেছেন বলে জানিয়েছেন। এবারের খুতবায় প্রবাসে কুরবানী করা নিয়ে তিনি ব্যাপক আলোচনা করেন। কেন এ দেশে অন্তত একটি নাম হলেও আমাদের কুরবানী দিতে হবে, খুতবার প্রায় পুরোটা জুড়ে এই আলোচনাই প্রাধান্য পায়। তিনি বলেন ঈদের দিন কুরবানী না করতে পারলেও পরের দিন অথবা তার পরের দিন আসর পর্যন্ত কুরবানীর সময় থাকে। ইমাম কাজী কায়্যূম ১৩ই জিলহজের আসর পর্যন্ত সবাইকে তাকবীরে তাশরীক চালিয়ে যাবার পরামর্শ প্রদান করেন। পূর্বের ঘোষণা অনুযায়ী ৩১শে জুলাই, শুক্রবার সকাল ৯:০০টায় মোহাম্মদী সেন্টার থেকে শুরু হয় ঐতিহাসিক এই এফবি সাইভস্ট্র্ম ঈদুল আদহার নামাজ। শত শত পরিবার তাতে যোগদান করেন। ইমাম কাজী কায়্যূম বলেন,যতদিন পর্যন্ত কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে মসজিদগুলোতে নামাজ পড়া শুরু হবেনা, এফবি লাইভস্ট্র্মে জুমুমা চলতে থাকবে। তিনি ২:০০টার লাইভস্ট্রিম জুমুআয় সকলকে শরীক হতে অনুরোধ জানান।

আরাফা ইসলামিক সেন্টার:
জ্যামাইকার আরাফা ইসলামিক সেন্টারে পবিত্র ঈদুল আযহার ৫টি জামাত অনুষ্ঠিত হয় । মসজিদ সেন্টারেই প্রথম ঈদের জামাত হয় সকাল ৬টায়। এরপর সকাল ৭টা, ৮টা, ৯টা ও ১০টায় আরো ৪টি জামাত অনুষ্ঠিত হয়। এখানে নামাজীদের মধ্যে কে কোন জামাতে ঈদের নামাজ আদায় করবেন তার জন্য মসজিদ কমিটির কাছ থেকে সিরিয়াল নম্বর সংগ্রহ করতে হয় এবং জায়নামাজ সাথে নিয়ে সামাজিক দূরত্ব মেনে ঈদের নাজাজ আদায় করতে হয়।

মসজিদ মিশন:

জ্যামাইকার ‘হাজী ক্যাম্প মসজিদ’ নামে পরিচিত মসজিদ মিশনে পবিত্র ঈদুল আযহার ৩টি জামাত অনুষ্ঠিত হয়। সকাল সাড়ে ৬টায়, সকাল ৮টায় ও ৯টায় এসব জামাত অনুষ্ঠিত হয়। এখানে প্রথম জামাতে ইমামতি করেন মসজিদের ইমাম হাফেজ রফিকুল ইসলাম। দ্বিতীয় জামাতে ইমামমতি করেন মওলানা মঞ্জুরুল করীম। আর তৃতীয় জামাতে ইমামতি করেন হাফেজ তানভির। এই মসজিদে দ্বিতীয় নামাজের আগে নিউইয়র্কের ষ্টেট সিনেটর জন ল্যু মুসল্লীদের সাথে শুভেচ্ছা বিনিময় করেন। এর আগে শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন মসজিদ পরিচালনা কমিটির সভাপতি এম সাব্বির। মসজিদে মিশনের তিনটি জামাতেই উপস্থিত মুসল্লীদের মাঝে ফ্রি মাস্ক বিতরণ করা হয়।
দারুস সালাম মসজিদ
জ্যামাইকার দারুস সালাম মসজিদে ঈদুল আযহার ৬টি জামাত অনুষ্ঠিত হয়। সকাল ৭টায়, পৌনে ৮টায়, সাড়ে ৮টায়, সোয়া ৯টায়, ১০টায় এবং সকাল পৌনে ১১টায় জামাত অনুষ্ঠিত হয়।

আমেরিকান মুসলিম সেন্টার:
জ্যামাইকার আমেরিকান মুসলিম সেন্টার (এএমএস)- উদ্যোগে ঈদুল আজহার চারটি জামাত সকাল সাড়ে ৬টা, সাড়ে ৭টা, সাড়ে ৮টা ও সকাল ১০টায় অনুষ্ঠিত হয়। সকাল সাড়ে ৮টার নামাজের বয়ান করেন এএমএস’র চেয়ারম্যান ও জ্যামাইকা মুসলিম সেন্টারের ইমাম মাওলানা আবু জাফর বেগ।
ইমামতি করেন মদিনা মসজিদের সেক্রেটারী মাওলানা মোহাম্মদ জুলকীফিল।

আল আমীন জামে মসজিদ:
এস্টোরিয়ার আল আমীন জামে মসজিদ এন্ড ইসলামিক সেন্টার-এ ঈদুল আযহার ৪টি জামাত অনুষ্ঠিত হয় সকাল ৭টা, ৮টা, ৯টা ও ১০টায়। করোনা পরিস্থিতিতে স্বাস্থ্য বিধি মেনেই মসজিদের ভিতরে নামাজ আদায়ের ব্যবস্থা করা হয়।

বায়তুল জান্নাহ মুসলিম কমিউনিটি সেন্টার:
ব্রুকলীনের বায়তুল জান্নাহ মুসলিম কমিউনিটি সেন্টারে ঈদুল আযহার ৬টি জামাত অনুষ্ঠিত হয়েছে। সকাল সাড়ে ৬টায় প্রথম জামাত অনুষ্ঠিত হওয়ার পর পরবর্তীতে আধা ঘন্টা বিরতি দিয়ে বাকী আরো ৫টি জামাত অনুষ্ঠিত হয়।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here