বাংলা খবর ডেস্ক:
দেশে করোনাভাইরাসে আরো ৩৯ জনের মৃত্যু হয়েছে। মৃত্যুর হার ১.৩২ শতাংশ।
মারা যাওয়া ব্যক্তিদের মধ্যে পুরুষ ৩২ জন ও নারী সাতজন। এ নিয়ে মোট মারা গেছেন ৩ হাজার ৩০৬ জন। তাদের মধ্যে মারা গেছেন পুরুষ ২ হাজার ৬০৬ জন (৭৮.৮৩%) ও নারী ৭০০ জন (২১.১৭%)।
গত ২৪ ঘণ্টায় মারা গেছেন ঢাকা বিভাগে ১৭ জন, চট্টগ্রাম বিভাগে সাতজন, রাজশাহী বিভাগে তিনজন, খুলনা বিভাগে চারজন, বরিশাল বিভাগে দুইজন, রংপুর বিভাগে তিনজন, সিলেট বিভাগে দুইজন এবং ময়মনসিংহ বিভাগে একজন।
বয়স বিশ্লেষণে দেখা যায়, সবচেয়ে বেশি মারা গেছেন ৬১ থেকে ৭০ বছরের মধ্যে (১৩ জন), এরপর ৫১ থেকে ৬০ (৯ জন) ও ৭১ থেকে ৮০ বছরের মধ্যে মারা গেছেন সাতজন।
হাসপাতালে মারা গেছেন ৩০ জন এবং বাড়িতে ৯ জন।
আজ বৃহস্পতিবার দুপুর আড়াইটায় স্বাস্থ্য অধিদফতরের নিয়মিত অনলাইন স্বাস্থ্য বুলেটিনে এ তথ্য জানানো হয়। আজ ব্রিফিং করেন জাতীয় প্রতিষেধক ও সামাজিক চিকিৎসা প্রতিষ্ঠানের (নিপসম) পরিচালক ডা: বায়েজিদ খুরশিদ রিয়াজ।
ডা: বায়েজিদ খুরশিদ রিয়াজ
তিনি জানান, এ সময়ে আক্রান্ত হয়েছেন আরো ২ হাজার ৯৭৭ জন। এ নিয়ে দেশে মোট আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়ালো ২ লাখ ৪৯ হাজার ৬৫১ জন।
গত ২৪ ঘণ্টায় নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে ১২ হাজার ৭০৮টি। শনাক্তের হার ২৩.৪৩ শতাংশ।
গত ২৪ ঘণ্টায় সুস্থ হয়েছেন ২ হাজার ৭৪ জন এবং এ পর্যন্ত সুস্থ হয়েছেন ১ লাখ ৪৩ হাজার ৮২৪ জন। সুস্থতার হার ৫৭.৬১ শতাংশ।
২৪ ঘণ্টায় আইসোলেশনে নেয়া হয়েছে ৯৫৫ জনকে এবং আইসোলেশন থেকে ছাড় দেয়া হয়েছে ৭৩৬ জনকে।
৮ মার্চ বাংলাদেশে প্রথম করোনাভাইরাসে আক্রান্ত ব্যক্তি শনাক্ত হওয়ার কথা জানায় সরকার।
১৮ মার্চ কোভিড-১৯ এ আক্রান্ত হয়ে প্রথম ব্যক্তির মৃত্যু হয়।
বিশ্ব পরিস্থিতি:
ওদিকে চীনের উহান থেকে মহামারি আকারে ছড়িয়ে পড়া করোনা ভাইরাসে বিশ্বে মোট মৃত্যুর সংখ্যা ৭ লাখ ছাড়িয়ে গেছে। গত দুই সপ্তাহ ধরে কোভিড-১৯ এ গড়ে প্রতিদিন প্রায় ৫ হাজার ৯০০ মানুষের মৃত্যু হচ্ছে বলে বার্তা সংস্থা রয়টার্সের খবরে বলা হয়েছে।
রয়টার্স জানায়, প্রতি ঘণ্টায় করোনা ভাইরাস ২৪৭ জনের প্রাণ কেড়ে নিচ্ছে। আর গড়ে প্রতি ১৫ সেকেন্ডে একজনের মৃত্যু হচ্ছে। এর মধ্যে যুক্তরাষ্ট্র, ব্রাজিল, ভারত ও মেক্সিকোতেই এখন প্রতিদিন সবচেয়ে বেশি মৃত্যু হচ্ছে।
কোভিড-১৯ এ যুক্তরাষ্ট্রে এখন পর্যন্ত এক লাখ ৫৫ হাজারের বেশি মানুষের মৃত্যু হয়েছে। অন্যদিকে শনাক্ত রোগী ও মৃত্যুতে দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে ব্রাজিল।
জাতিসংঘের মানব বসতি কর্মসূচির হিসাব অনুযায়ী, লাতিন আমেরিকা ও ক্যারিবীয় অঞ্চলের ১০ কোটিরও বেশি মানুষ বিভিন্ন বস্তিতে থাকেন। দরিদ্র এ মানুষদের অধিকাংশই বিভিন্ন অপ্রাতিষ্ঠানিক খাতে কাজ করায় লকডাউনের বিধিনিষেধে এদের বেঁধে রাখা যায়নি। যে কারণে লাতিনের দেশগুলোতে প্রথম দিকে সংক্রমণের ঊর্ধ্বগতি দেখা না গেলেও এখন আক্রান্ত ও মৃত্যু বাড়ছে।
এদিকে অস্ট্রেলিয়া, জাপান, হংকং, বলিভিয়া, সুদান, ইথিওপিয়া, বুলগেরিয়া, বেলজিয়াম, উজবেকিস্তান ও ইসরায়েলে দৈনিক শনাক্তে নিত্যনতুন রেকর্ড হচ্ছে। অস্ট্রেলিয়াতে বুধবার করোনা ভাইরাসে একদিনে সর্বোচ্চ মৃত্যু হয়েছে। দেশটিতে এখন পর্যন্ত ২৪৭ জনের মৃত্যু হয়েছে।