নিজ নিজ বিদ্যালয়ে পঞ্চম শ্রেণির সমাপনী পরীক্ষা নেওয়ার প্রস্তাব

0
108
ছবি: সংগৃহীত

বাংলা খবর ডেস্ক:
করোনাভাইরাস মহামারীকালে ক্ষুদে শিক্ষার্থীদের অন্য শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের পরীক্ষা কেন্দ্রে না পাঠিয়ে নিজ নিজ বিদ্যালয়ে প্রাথমিক সমাপনী পরীক্ষা নিতে প্রধানমন্ত্রীর কাছে প্রস্তাব পাঠিয়েছে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়।

পঞ্চম শ্রেণির সমাপনী নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর কাছে বুধবার একাধিক প্রস্তাব পাঠানো হয়েছে বলে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা প্রতিমন্ত্রী জাকির হোসেন জানিয়েছেন।

করোনাভাইরাস মহামারীকালে ক্ষুদে শিক্ষার্থীদের অন্য শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের পরীক্ষা কেন্দ্রে না পাঠিয়ে নিজ নিজ বিদ্যালয়ে প্রাথমিক সমাপনী পরীক্ষা নিতে প্রধানমন্ত্রীর কাছে প্রস্তাব পাঠিয়েছে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়।

পঞ্চম শ্রেণির সমাপনী নিয়ে সরকারপ্রধানের কাছে বুধবার চার থেকে পাঁচটি প্রস্তাব পাঠানো হয়েছে বলে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা প্রতিমন্ত্রী জাকির হোসেন জানিয়েছেন।

সচিবালয়ে তিনি সাংবাদিকদের বলেন, পঞ্চম শ্রেণির সমাপনী পরীক্ষাটা বিদ্যালয়ে নেওয়ার চিন্তাভাবনা করছি, আগে এটা কেন্দ্রভিত্তক নেওয়া হত। এটা না করে স্ব স্ব বিদ্যালয়ে, যাতে করে জমায়েতটা বেশি না হয়, আমাদের ছেলেমেয়েরা আক্রান্ত না হয়, এ রকম চিন্তাভাবনা আমরা করছি।

নিজ নিজ বিদ্যালয়ে পঞ্চম শ্রেণির সমাপনী পরীক্ষা নেওয়ার পাশাপাশি বিকল্প প্রস্তাবও প্রধানমন্ত্রীর কাছে পাঠানো হয়েছে বলে জানান প্রতিমন্ত্রী জাকির।

অন্য বিদ্যালয়ের পরীক্ষা কেন্দ্রে গিয়ে ২০০৯ সাল থেকে প্রাথমিক সমাপনী পরীক্ষায় বসতে হচ্ছে ক্ষুদে শিক্ষার্থীদের। প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর কেন্দ্রীয়ভাবে এই পরীক্ষা আয়োজন করে।

করোনাভাইরাস সংক্রমণের কারণে গত ১৭ মার্চ থেকে দেশের সব ধরনের শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ রয়েছে। আগামী ৩১ অগাস্ট পর্যন্ত সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ছুটি ঘোষণা করা আছে, তবে এরপরও স্বাভাবিক ক্লাসে ফেরার পরিবেশ হবে কি না, সে নিশ্চয়তা নেই।

করোনাভাইরাস বিস্তারের মধ্যে স্কুল ফিডিং প্রকল্পের বিস্কুট নিতে সম্প্রতি ঢাকার গাবতলী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে এসে খেলায় মাতে শিক্ষার্থীরা। ছবি: আসিফ মাহমুদ অভিকরোনাভাইরাস বিস্তারের মধ্যে স্কুল ফিডিং প্রকল্পের বিস্কুট নিতে সম্প্রতি ঢাকার গাবতলী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে এসে খেলায় মাতে শিক্ষার্থীরা। ছবি: আসিফ মাহমুদ অভি
বিদ্যালয় বন্ধ থাকায় সিলেবাস শেষ করা যায়নি জানিয়ে গণশিক্ষা প্রতিমন্ত্রী বলেন, “এজন্য আমরা বলেছিলাম প্রয়োজনে হলে আগামী বছরের জানুয়ারি-ফেব্রুয়ারি মাসে সিলেবাস শেষ করে তখন পরীক্ষা নেওয়ার চিন্তাভাবনা আছে।”

প্রাথমিক সমাপনী পরীক্ষা নেওয়া না গেলে মেধার ভিত্তিতে পঞ্চমের সমাপনী উত্তীর্ণদের যে বৃত্তি দেওয়া হয়, তা এবার দেওয়া হবে না বলে জানান তিনি।

তবে আগেই মতো প্রাথমিকের সব শিক্ষার্থীর জন্য উপবৃত্তি কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে বলে জানান গণশিক্ষা প্রতিমন্ত্রী জাকির।

তিনি বলেন, “চার-পাঁচটি প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে, প্রধানমন্ত্রী যেটি অনুমোদন দেন সেভাবে হবে।”

পাঁচটি প্রস্তাবের মধ্যে এবার প্রাথমিক ও ইবতেদায়ী সমাপনী পরীক্ষা না নেওয়ার প্রস্তাবও রয়েছে বলে একজন কর্মকর্তা জানিয়েছেন।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here