সিনহা হত্যা: ফের র‌্যাবের রিমান্ডে পুলিশের ৩ সাক্ষী

0
92
মেজর (অব.) সিনহা মো. রাশেদ খান।

বাংলা খবর ডেস্ক:
মেজর (অব.) সিনহা মো. রাশেদ খান হত্যার ঘটনায় পুলিশের দায়ের করা মামলার ৩ সাক্ষীর বিরুদ্ধে পাওয়া চার দিনের রিমান্ডে আদেশের অনুবলে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আবারো নিজেদের হেফাজতে নিয়েছে র‌্যাপিড এ্যাকশান ব্যাটালিয়ান (র‌্যাব)।

শনিবার (২৯ আগস্ট) বেলা সাড়ে ১১ টার দিকে তাদের কক্সবাজার জেলা কারাগার থেকে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। কারাগার থেকে বের করে কক্সবাজার সদর হাসপাতালে স্বাস্থ্য পরীক্ষার পর র‌্যাবের একটি দল তাদের হেফাজতে নিয়ে গেছে। জেলা কারাগারের সুপার মো. মোকাম্মেল হোসেন বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

রিমান্ডে নেয়া তিন আসামি হলেন, টেকনাফ মারিশবুনিয়া এলাকার নুরুল আমিন, নিজাম উদ্দিন ও মো. আয়াছ।

প্রথম দফা ৭দিনের রিমান্ড শেষে গত ২৫ আগস্ট তদন্ত কর্মকর্তা র‌্যাবের জ্যেষ্ঠ সহকারী পুলিশ সুপার মোহাম্মদ খায়রুল ইসলাম তাদেরকে সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে হাজির করে পুনরায় সাতদিনের রিমান্ড আবেদন করেন। শুনানী শেষে দ্বিতীয় দফায় চার দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন বিচারক তামান্না ফারাহ্।

মেজর সিনহা খুনের ঘটনায় জড়িত সন্দেহে পুলিশের করা মামলার তিন সাক্ষীকে ১১ আগস্ট মারিশবুনিয়া এলাকা থেকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য নিয়ে পরে তাদের গ্রেফতার করে র‌্যাব।

গত ৩১ জুলাই মেজর (অব.) সিনহা নিহত হওয়ার পর সিনহা ও তার সঙ্গে থাকা সিফাতের বিরুদ্ধে মাদক ও পুলিশকে দায়িত্ব পালনে বাধা দেয়ার অভিযোগে টেকনাফ থানায় মামলা করে পুলিশ। উপ-পরিদর্শক নন্দ দুলাল রক্ষিতের দায়ের করা ওই মামলায় এই তিন জনকে সাক্ষী দেখানো হয়েছিল।

উল্লেখ্য, গত ৩১শে জুলাই রাতে টেকনাফের পাহাড়ে ভিডিওচিত্র ধারণ করে কক্সবাজার মেরিন ড্রাইভ দিয়ে হিমছড়ি এলাকার নীলিমা রিসোর্টে ফেরার পথে শামলাপুর তল্লাশি চৌকিতে পুলিশের গুলিতে নিহত হন মেজর (অব.) সিনহা মো. রাশেদ খান। এ ঘটনায় পুলিশের পক্ষ থেকে ৩টি মামলা হয়। ২টি মামলা হয় টেকনাফ থানায়। সরকারি কাজে বাধা দানের মামলার আসামি করা হয় সিফাতকে। হত্যাচেষ্টা মামলায় সিফাত ও নিহত সিনহাকে আসামি করা হয়।

অপরদিকে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে রামু থানায় দায়ের করা মামলায় আসামি করা হয় শিপ্রা দেবনাথকে।

একই ঘটনায় ৫ আগস্ট নিহত সিনহার বড় বোন শারমিন শাহরিয়া ফেরদৌস বাদী হয়ে কক্সবাজার সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে টেকনাফ থানার বরখাস্ত ওসি প্রদীপ কুমার দাশ, বাহারছড়া পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ পুলিশ পরিদর্শক লিয়াকত আলী, থানার এসআই নন্দলাল রক্ষিতসহ নয় পুলিশ সদস্যের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা করেন। পরের দিন ৭ পুলিশ সদস্য আদালতে আত্মসমর্পণ করেন।

এ মামলার অপর দুই আসামি এসআই টুটুল ও মো. মোস্তফা আদালতে হাজির হননি। পুলিশের দাবি, এই নামে জেলা পুলিশে কেউ নেই। তবে আদালত তাদের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেছেন।

সিনহা হত্যার ঘটনায় এ পর্যন্ত সাত পুলিশ সদস্য, আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়নের (এপিবিএন) তিন সদস্য ও টেকনাফ পুলিশের করা মামলার তিন সাক্ষীসহ ১৩ জনকে গ্রেপ্তার করেছে র‌্যাব। তাদের মাঝে প্রথম দফা রিমান্ড শেষ হবার আগেই গ্রেফতার এপিবিএনের তিন সদস্য আদালতে স্বীকারোক্তিমুলক জবানবন্দি দিয়েছেন। তারা কারাগারে রয়েছেন। বাকীদের বিভিন্ন মেয়াদে রিমান্ড চলছে।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here