বাংলা খবর ডেস্ক:
দেশে ২৪ ঘণ্টায় করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে আরও ৪২ জনের মৃত্যু হয়েছে। এনিয়ে মোট মারা গেলেন ৪ হাজার ২৪৮ জন।
এই সময়ে ১১ হাজার ৯৩৪টি নমুনা পরীক্ষা করে সংক্রমণ ধরা পড়েছে ১ হাজার ৮৯৭ জনের শরীরে। এনিয়ে আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৩ লাখ ১০ হাজার ৮২২ জন।
আজ বিকালে সংবাদমাধ্যমে বিজ্ঞপ্তি পাঠিয়ে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের পক্ষ থেকে দেশে করোনাভাইরাস পরিস্থিতির এই সবশেষ তথ্য জানানো হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, গত ২৪ ঘণ্টায় করোনা আক্রান্তদের মধ্যে সুস্থ হয়েছেন ৩ হাজার ৪৪ জনসহ মোট সুস্থ হয়েছেন ২ লাখ ১ হাজার ৯০৭ জন।
বাংলাদেশে করোনাভাইরাসের প্রথম সংক্রমণ ধরা পড়ে ৮ মার্চ, ২৬ আগস্ট তা তিন লাখ পেরিয়ে যায়। এর মধ্যে ২ জুলাই ৪ হাজার ১৯ জন কভিড-১৯ রোগী শনাক্ত হয়, যা এক দিনের সর্বোচ্চ শনাক্ত।
প্রথম রোগী শনাক্তের ১০ দিন পর ১৮ মার্চ দেশে প্রথম মৃত্যুর তথ্য নিশ্চিত করে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। ২৫ আগস্ট সেই সংখ্যা চার হাজার ছাড়িয়ে যায়। এর মধ্যে ৩০ জুন এক দিনেই ৬৪ জনের মৃত্যুর খবর জানানো হয়, যা এক দিনের সর্বোচ্চ মৃত্যু।
বিশ্ব পরিস্থিতি:
জন্স হপকিন্স বিশ্ববিদ্যালয়ের (জেএইচইউ) দেয়া তথ্য অনুযায়ী, রবিবার সকাল পর্যন্ত বিশ্বব্যাপী করোনাভাইরাসে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ২ কোটি ৪৯ লাখ ১৭ হাজার ১৫১ জনে। এ পর্যন্ত কোভিড-১৯ আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন ৮ লাখ ৪১ হাজার ৫৪৯ জন।
জেএইচইউর তথ্য অনুসারে, করোনায় ক্ষতিগ্রস্ত দেশের তালিকায় যুক্তরাষ্ট্রের পর দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে ব্রাজিল। এ পর্যন্ত দেশটিতে আক্রান্ত হয়েছেন ৩৮ লাখ ৪৬ হাজার ১৫৩ জন এবং মৃত্যু হয়েছে এক লাখ ২০ হাজার ২৬২ জনের।
এদিকে সবচেয়ে বেশি আক্রান্ত দেশের তালিকায় তৃতীয় অবস্থানে রয়েছে ভারত। দক্ষিণ এশিয়ার এ দেশটিতে শনাক্ত করোনা রোগীর সংখ্যা ৩৪ লাখ ৬৩ হাজার ৯৭২ জন এবং মৃত্যু হয়েছে ৬২ হাজার ৫৫০ জনের।
করোনায় সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত যুক্তরাষ্ট্রে এ পর্যন্ত ৫৯ লাখের বেশি করোনা রোগী শনাক্ত হয়েছে এবং মারা গেছেন ১ লাখ ৮২ হাজার ৭৬০ জন।
গত বছরের ডিসেম্বরে চীন থেকে সংক্রমণ শুরু হওয়ার পর বিশ্বব্যাপী এ পর্যন্ত ২১৩টিরও বেশি দেশে ছড়িয়েছে প্রাণঘাতী করোনাভাইরাস। গত ১১ মার্চ করোনাভাইরাস সংকটকে মহামারি ঘোষণা করে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও)।