সিবিআইয়ের সামনে রিয়ার বাবা ও মা

0
78
রিয়া চক্রবর্তী।—ছবি পিটিআই।

বাংলা খবর ডেস্ক:
সুশান্ত সিংহ রাজপুতের মৃত্যু-তদন্তে নেমে অভিনেত্রী রিয়া চক্রবর্তীর বাবা-মাকে জিজ্ঞাসাবাদ করলেন সিবিআইয়ের তদন্তকারীরা। আজই প্রথমবার তাঁদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হল। এ দিনই আর এক তদন্তকারী সংস্থা এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট(ইডি)-এর মুম্বইয়ের দফতরে তলব করা হয়েছিল গোয়ার দু’টি হোটেলের মালিক গৌরব আর্যকেও।

সুশান্তের অস্বাভাবিক মৃত্যু নিয়ে রিয়া ও তাঁর ভাই শৌভিক চক্রবর্তীকে গত কয়েকদিন ধরে জিজ্ঞাসাবাদ করেছেন সিবিআইয়ের তদন্তকারীরা। গত ৪ দিনে প্রায় ৩৫ ঘণ্টা বিভিন্ন প্রশ্নের জবাব দিতে হয়েছে রিয়াকে। পাঁচ দিন ধরে শৌভিকের থেকেও তথ্য নেওয়ার চেষ্টা করছেন সিবিআইয়ের তদন্তকারীরা। কিন্তু রিয়ার বাবা ইন্দ্রজিৎ চক্রবর্তী ও তাঁর মা সন্ধ্যা চক্রবর্তী আজই প্রথমবার সিবিআইয়ের তদন্তকারীদের মুখোমুখি হলেন। আজ সকাল ১১টা নাগাদ মুম্বইয়ের ডিআরডিও গেস্ট হাউসে তাঁরা সিবিআই তদন্তকারীদের সামনে পৌঁছন। মুম্বই পুলিশ তাঁদের পাহারা দিয়ে নিয়ে আসে।

সুশান্তের মৃত্যুতে মদত দেওয়া ও অভিনেতার টাকাপয়সা নয়ছয়ের অভিযোগে পটনা পুলিশের এফআইআরে রিয়া ও তাঁর বাবা-মায়ের নাম রয়েছে। সুশান্তের বাবা রিয়ার পরিবারের বিরুদ্ধে এই অভিযোগ এনেছিলেন। সূত্রের দাবি, তার ভিত্তিতেই ইন্দ্রজিৎ চক্রবর্তীদের আজ জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে।

পাশাপাশি, অভিনেতার মৃত্যুর পরে আর্থিক লেনদেনের যে অভিযোগ উঠেছে, তার তদন্তে নেমে ইডি ইতিমধ্যেই রিয়াকে জিজ্ঞাসাবাদ করেছে। ইডি সূত্রের দাবি, ২০১৭ সালে রিয়া ও গৌরবের মধ্যে মোবাইলে কিছু বার্তা বিনিময়ের কারণেই হোটেল ব্যবসায়ীকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। সেই বার্তায় মাদক নিয়ে কিছু কথাবার্তা ছিল। গৌরব অবশ্য দাবি করেছেন, মাদক চক্রের সঙ্গে তাঁর কোনও যোগ নেই। তিন বছর আগে শেষবারের মতো রিয়ার সঙ্গে তাঁর কথাবার্তা হয়েছিল। আর সুশান্তের সঙ্গে কোনও দিন দেখাই হয়নি তাঁর। ইডির তদন্তকারীরা গত কালও গৌরবকে আট ঘণ্টা ধরে জিজ্ঞাসাবাদ করেছেন। আজও তাঁকে ডেকে পাঠানো হয়।

আজই নারকোটিক্স কন্ট্রোল বুরো(এনসিবি) এক ব্যক্তিকে আটক করেছে। যার সঙ্গে সুশান্তের মৃত্যু তদন্তের যোগ রয়েছে বলেই তদন্তকারীদের দাবি। ওই ব্যক্তি মুম্বইয়ের বিভিন্ন পার্টিতে মাদক সরবরাহ করে থাকে। আগামিকাল ওই ব্যক্তিকে গ্রেফতার করা হতে পারে। তদন্তকারীদের দাবি, রিয়াকে জিজ্ঞাসাবাদের সময়ে মাদক জগতের যে কথা উঠে আসছে, ওই ব্যক্তি সে বিষয়ে অনেক তথ্য দিতে পারবে বলে মনে করা হচ্ছে। গত সপ্তাহেই মাদক চক্রে যোগ থাকার অভিযোগে দু’জনকে গ্রেফতার করা হয়। তাদের জিজ্ঞাসাবাদের সময়ে আজ আটক হওয়া ব্যক্তির প্রসঙ্গ উঠে এসেছিল। দিল্লি থেকে এনসিবি-র একটি বিশেষ দল এই মুহূর্তে মুম্বইয়ে ঘাঁটি গেড়ে বসে রয়েছে। রিয়ার ফোনে থাকা মাদক প্রসঙ্গ ইডির তরফে সিবিআই ও এনসিবি-কে জানানো হয়েছে।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here