বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লীগও (বিপিএল) অনিশ্চিত

0
85

বাংলা খবর ডেস্ক:
করোনা মহামারি চলছে বিশ্বজুড়েই। এরমধ্যেই সুরক্ষিত আয়োজনে ক্রিকেটে ব্যস্ত রয়েছে খেলুড়ে দেশগুলো। তবে ব্যতিক্রম বাংলাদেশ। ঘরোয়া ক্রিকেট মাঠে ফেরানোর কোনো তোড়জোড়ই নেই বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি)। বন্ধ রয়েছে ঘরোয়া লিস্ট ‘এ’ আসর ঢাকা প্রিমিয়ার লীগ। আর ফ্র্যাঞ্চাইজিভিত্তিক টি-টোয়েন্টি টুর্নামেন্ট বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লীগও (বিপিএল) অনিশ্চিত। এবারের বিপিএল নাও হতে পারে, এমন ইঙ্গিত বিসিবি কর্তা ইসমাঈল হায়দার মল্লিকের কণ্ঠে।
গত জুলাই থেকে টানা আন্তর্জাতিক ক্রিকেট খেলছে ইংল্যান্ড।

পাশাপাশি চলেছে ইংলিশ কাউন্টি চ্যাম্পিয়নশিপ এবং টি-টোয়েন্টি ব্লাস্টের খেলাও। আয়ারল্যান্ডেও হচ্ছে ঘরোয়া ক্রিকেট। ওয়েস্ট ইন্ডিজে জৈব সুরক্ষাবলয়ে সফল আয়োজন হলো ক্যারিবিয়ান প্রিমিয়ার লীগের (সিপিএল)। ভারতীয় প্রিমিয়ার লীগেরও (আইপিএল) প্রস্তুতি সম্পন্ন। শ্রীলঙ্কায় দুই মাস ধরে ঘরোয়া ক্রিকেট চলছে। পাকিস্তানে ৩০শে সেপ্টেম্বর থেকে শুরু হবে ঘরোয়া ক্রিকেট। স্থগিত হওয়া পাকিস্তান সুপার লীগের (পিএসএল) সেমিফাইনাল এবং ফাইনালেরও সূচি ঘোষিত হয়েছে ইতিমধ্যে। আইসিসির নবীন সদস্য আফগানিস্তানও তাদের ঘরোয়া টি-টোয়েন্টি লীগ চালু করে দিয়েছে। অথচ বাংলাদেশের অবস্থা ব্যতিক্রম। ঘরোয়া ক্রিকেট মাঠে ফেরানোর কোনো তোড়জোড়ই নেই বিসিবির।

আপাতত বিসিবির লক্ষ্য-বয়সভিত্তিক ক্রিকেট, হাই পারফরম্যান্স দল, বাংলাদেশ ‘এ’ দল ও জাতীয় দলকে বিদেশ সফরে ব্যস্ত রাখা। প্রাধান্যের ক্ষেত্রে ঘরোয়া ক্রিকেট পেছনের দিকে। অন্যান্য বছর সেপ্টেম্বর-অক্টোবর থেকেই শুরু হয় ঘরোয়া ক্রিকেটের সবচেয়ে বড় আকর্ষণ বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লীগের (বিপিএল) কার্যক্রম। কিন্তু এ বছর করোনা পরিস্থিতির কারণে বিসিবি বিপিএল আয়োজনের সাহস পাচ্ছে না বিসিবি। গত মার্চে স্থগিত হয়ে যাওয়া ঢাকা প্রিমিয়ার লীগ ঠিকমতো হলেই নাকি বিপিএল আয়োজনের কথা ভাববে ক্রিকেটের নিয়ন্ত্রক সংস্থাটি। কিন্তু সেই ঢাকা প্রিমিয়ার লীগেরও কোনো খবর নেই।
বিপিএল গভর্নিং কাউন্সিলের সদস্যসচিব ইসমাইল হায়দার মল্লিক বলেছেন, ‘বোর্ডের ইচ্ছা ঢাকা প্রিমিয়ার লীগ দিয়ে ঘরোয়া ক্রিকেট আবার শুরু করা। প্রিমিয়ার লীগ যদি সফলভাবে করতে পারি, তাহলে বিপিএল করার চিন্তা করা যাবে।’ কিন্তু প্রিমিয়ার লীগ আয়োজনের দায়িত্বে থাকা ঢাকা মহানগর ক্রিকেট কমিটি (সিসিডিএম) এ বছর লীগ আয়োজনের কোনো সম্ভাবনা দেখছে না। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক সিসিডিএমের এক কর্মকর্তা জানালেন, ‘এ বছর আর লীগ হচ্ছে না। সব আলোচনা বন্ধ।’ আর প্রিমিয়ার লীগ না হওয়ার অর্থ-এ বছর হবে না বিপিএলও। অক্টোবর-নভেম্বরে জাতীয় লীগ আয়োজনের চেষ্টার কথা শোনা যাচ্ছিল। সেই প্রক্রিয়াও থেমে গেছে করোনা পরিস্থিতিতে ঘরোয়া ক্রিকেট নিয়ে বিসিবির অনীহায়।

পরিস্থিতির উন্নতি হলে প্রিমিয়ার লীগই আগে শুরু হবে, এরপর বিপিএল। বিপিএল হওয়ার অর্থ বিদেশি ক্রিকেটার, কোচ ও সাপোর্ট স্টাফের সঙ্গে বাংলাদেশে আসবেন বিদেশি সমপ্রচারকর্মীরাও। সঙ্গে স্থানীয় খেলোয়াড় এবং টুর্নামেন্ট-সংশ্লিষ্টরা তো আছেই। একসঙ্গে এত মানুষের স্বাস্থ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করাটা অসম্ভবই মনে করে বিসিবি। জৈব সুরক্ষাবলয় তৈরি করা যে বিশাল ব্যয়সাপেক্ষ ব্যাপার, সেটিও বিসিবির পক্ষে করা সম্ভব নয় বলে আগেই জানিয়েছেন বোর্ড সভাপতি নাজমুল হাসান। ইসমাইল হায়দার বলেন, ‘বিপিএলে অনেক বিদেশি লোকের এখানে আসার ব্যাপার আছে। কিন্তু অনেকেই হয়তো এখন বাংলাদেশে আসতে চাইবেন না।’

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here