জাতিসংঘের ৭৫তম ভার্চুয়াল অধিবেশন: প্রধানমন্ত্রী বক্তব্য ২৬ সেপ্টেম্বর

0
92
ফাইল ছবি

বাংলা খবর ডেস্ক:
ইতিহাসে এবারই প্রথম ভিন্নভাবে আয়োজন করা হয়েছে জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের অধিবেশন। ১৫ সেপ্টেম্বর মঙ্গলবার থেকে শুরু হয়েছে ৭৫তম ভার্চুয়াল এই অধিবেশন। বিশ্বজুড়ে চলা করোনা মহামারির কারণে বিশ্বনেতারা এবার সরাসরি অংশ নিচ্ছেন না জাতিসংঘের অধিবেশনে।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবারের ভার্চুয়াল আয়োজনে বাংলাদেশ প্রতিনিধি দলের নেতৃত্ব দেবেন। অধিবেশনটির উচ্চ পর্যায়ের বিতর্ক পর্বটি শুরু হবে ২২ সেপ্টেম্বর থেকে। নিজ নিজ দেশ থেকে সদস্য রাষ্ট্রগুলোর উচ্চ পর্যায়ের প্রতিনিধিরা এবারের সভায় অংশ নেবেন।

জাতিসংঘে বাংলাদেশ মিশনের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, আগামী ২৬ সেপ্টেম্বর শুক্রবার জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের বিতর্ক পর্বে বক্তব্য রাখবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। বরাবরের মতো এবারও তিনি বাংলায় ভাষণ দেবেন বলে জানা গেছে।

মিশন কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, এই ভাষণে কভিড-১৯ প্রতিরোধে বিশ্ববাসীর সম্মিলিত প্রচেষ্টার প্রয়োজনীতা, ভ্যাক্সিনের প্রাপ্যতা নিশ্চিত করা এবং জনগণের সুরক্ষা নিশ্চিত করার বিষয়টি প্রাধান্য পাবে। পাশাপাশি জলবায়ূ পরিবর্তন, প্রযুক্তির আদান প্রদান, অভিবাসী শ্রমিকদের অধিকার, লিঙ্গ সমতা নিশ্চিত করা, শিশু স্বাস্থ্য ও তাদের অধিকার, শান্তিরক্ষা এবং নারীর ক্ষমতায়নের মতো বিষয়গুলো নিয়েও কথা বলবেন প্রধানমন্ত্রী। অন্যবারের মতো রোহিঙ্গা সমস্যা ও তাদের প্রত্যাবাসনের বিষয়টিও প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্যে প্রাধান্য পাবে মিশনের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পূর্বধারণকৃত ভিডিও বক্তব্য উপস্থাপন করা হবে। বাংলাদেশ প্রতিনিধিদলের সদস্য হিসেবে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ও পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রীও বেশ কিছু সভায় অংশগ্রহণ করবেন।

এবারের অধিবেশনে জাতিসংঘ প্রতিষ্ঠার ৭৫ বছর পূর্তি ও মহামারি কভিড-১৯ এর প্রাদুর্ভাবকে উপজীব্য করে প্রতিপাদ্য ঠিক করা হয়েছে।

এদিকে জাতিসংঘে বাংলাদেশ মিশনের পক্ষ থেকে একটি সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এবারের অধিবেশনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কর্মসূচিগুলো তুলে ধরা হয়েছে। ২১ সেপ্টেম্বর জাতিসংঘের ৭৫ বছর পূর্তি উপলক্ষ্যে আয়োজিত একটি অনুষ্ঠানে অংশ নেবেন প্রধানমন্ত্রী। ২৩ সেপ্টেম্বর আরেকটি সভায় অংশ নেবেন তিনি। যেখানে ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য নিরাপদ প্রযুক্তি নির্ভর পৃথিবী নিশ্চিতকরণ বিষয়ক আলোচনা অনুষ্ঠিত হবে। জাতিসংঘ মহাসচিবের উদ্যোগে ২৪ সেপ্টেম্বর একটি সভায় অংশগ্রহণ করে “ক্লাইমেট ভলান্টারি ফোরামে”র সভাপতি হিসেবে প্রধানমন্ত্রী জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে তৈরি ঝুঁকি মোকাবেলায় বৈশ্বিক অংশীদারিত্ব বাড়ানোর বিষয়ে কথা বলবেন। এছাড়া বৈশ্বিক তাপমাত্রা বৃদ্ধি ১.৫ ডিগ্রি এর মধ্যে সীমাবদ্ধ রাখা, জলবায়ু পরিবর্তনের ঝুঁকির মুখে থাকা দেশগুলোকে প্রতিশ্রুত তহবিল দেয়া, জলবায়ু শরণার্থীদের পুনর্বাসনের মতো জরুরি বিষয় তুলে ধরবেন।

২৯ সেপ্টেম্বর অনুষ্ঠিত আরেকটি সভায় অর্থনৈতিক উন্নয়নে কভিড-১৯ এর ক্ষতিকর প্রভাব নিয়ে কথা বলবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এ সময় তিনি উত্তরণের পথে থাকা দেশগুলোর জন্য প্রণোদনা প্যাকেজ ঘোষণা, সরকারি অর্থের পাশাপাশি বেসরকারি খাতের অর্থায়ন, নর্থ সাউথ ট্রায়াঙ্গুলার কো-অপারেশন এবং অভিবাসী ও রেমিট্যান্স বিষয়ে জোরালো দাবি তুলে ধরবেন। ৩০ সেপ্টেম্বর সামিট অন বায়ো ডাইভারসিটি অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী জীব বৈচিত্র্যের হুমকির কারণ এবং এ হুমকি মোকাবেলায় আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে একযোগে কাজ করার আহবান জানাবেন। ১ অক্টোবর আয়োজিত একটি অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নারীর ক্ষমতায়ন ও নারীর প্রতি বৈষম্য নিরসনে বাংলাদেশের সাফল্যের বিষয়টি তুলে ধরবেন। একইসাথে এ বিষয়ে বিদ্যমান চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় অংশীদারিত্ব ও পারস্পরিক সহযোগিতার ভিত্তিতে কাজ করে যাওয়ার বিষয়ে গুরুত্বারোপ করবেন।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here