বাংলা খবর ডেস্ক:
বরগুনার আলোচিত রিফাত শরীফ হত্যা মামলায় আয়েশা সিদ্দিকা মিন্নিসহ মৃত্যুদণ্ড প্রাপ্ত ৬ আসামির ডেথরেফারেন্স (মৃত্যুদণ্ড অনুমোদন) হাইকোর্টে পৌঁছেছে। আজ রোববার পৌনে ১১টায় হাইকোর্টের আদান-প্রদান শাখায় এসে পৌঁছায়।
সুপ্রিম কোর্টের স্পেশাল অফিসার ব্যারিস্টার মোহাম্মদ সাইফুর রহমান গণমাধ্যমকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। মামলার রায়ের কপিসহ চার শতাধিক পৃষ্ঠার নথিপত্র হাইকোর্টে নিয়ে আসেন বরগুনা আদালতের জারিকারক জাহাঙ্গীর আলম পিকু। হাইকোর্টের আদান-প্রদান শাখার প্রশাসনিক কর্মকর্তা কে এম ফারুক হোসেন নথি গ্রহণ করেন।
নিয়ম অনুযায়ী সাধাণত মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামিদের ফাঁসির রায় কার্যকরের পূর্বে হাইকোর্টের অনুমতির প্রয়োজন হয়। সে হিসেবে মামলার ডেথ রেফারেন্স হাইকোর্টে পাঠানো হয়। এরই আলোকে এ মামলার রায়ের কপি, সাক্ষীদের বক্তব্যসহ মামলার যাবতীয় নথি হাইকোর্টে এলো।
ডেথ রেফারেন্সের পাশাপাশি বিচারিক আদালতের ফাঁসির রায়ের বিরুদ্ধে আসামিরা আপিল দায়ের করে থাকেন। এরপর নিয়ম অনুযায়ী এ মামলার পেপারবুক তৈরি হবে। এরপর প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেন মামলাটি শুনানির জন্য যে বেঞ্চ নির্ধারণ করে দেবেন সেই বেঞ্চে মামলাটি শুনানি হবে।
বরগুনার আলোচিত রিফাত শরীফ হত্যা মামলায় ৩০শে সেপ্টেম্বর তার স্ত্রী আয়শা সিদ্দিকা মিন্নিসহ ছয়জনের মৃত্যুদণ্ডের আদেশ দেন আদালত।
মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন, রিফাতের স্ত্রী আয়শা সিদ্দিকা মিন্নি, রাকিবুল হাসান ওরফে রিফাত ফরাজী (২৩), আল কাইয়ুম ওরফে রাব্বি আকন (২১), মোহাইমিনুল ইসলাম সিফাত (১৯), রেজোয়ান আলী খান হৃদয় ওরফে টিকটক হৃদয় (২২), হাসান বন্ড (১৯)। এছাড়া মুসা বন্ড (২২), রাফিউল ইসলাম রাব্বি (২০), সাগর (১৯) ও কামরুল হাসান সায়মুনকে (২১) খালাস দেওয়া হয়েছে।
উল্লেখ্য, ২০১৯ সালের ২৬শে জুন সকাল সাড়ে ১০টার দিকে বরগুনা সরকারি কলেজের সামনে নয়ন বন্ডের নেতৃত্বে সন্ত্রাসীরা প্রকাশ্যে রামদা দিয়ে কুপিয়ে গুরুতর আহত করে রিফাত শরীফকে। গুরুতর আহত রিফাতকে ওইদিন বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হলে বিকেলে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান।