মেসির গোলে ইকুয়েডরকে হারাল আর্জেন্টিনা

0
79

বাংলা খবর ডেস্ক:
নিষেধাজ্ঞা কাটিয়ে আন্তর্জাতিক ফুটবলে ফিরেই গোলের দেখা পেলেন লিওনেল মেসি। পেনাল্টিতে করা তার একমাত্র গোলে কাতার বিশ্বকাপ বাছাইয়ে বলিভিয়াকে হারিয়ে শুভ সূচনা করেছে আর্জেন্টিনা।বাংলাদেশ সময় শুক্রবার সকালে বুয়েন্স আয়ার্সে অনুষ্ঠিত ম্যাচটিতে ১-০ গোলের জয় পায় আর্জেন্টিনা। ১৩তম মিনিটে একমাত্র গোলটি করেন মেসি।
এই জয়ে একুয়েডরের সঙ্গে মুখোমুখি লড়াইয়ে আধিপত্য আরও বাড়াল আর্জেন্টিনা। ৩৬ বারের দেখায় তাদের জয় ২১টি, ড্র ১০টি।

আগের দিনই জানা গিয়েছিল, বিশ্বকাপ বাছাইপর্বের প্রথম ম্যাচে আর্জেন্টিনা কাদের নিয়ে নামতে পারে। মূল একাদশে সেই গুঞ্জনটাই সত্যি হলো। গত কয়েক মাস ধরে আর্সেনাল ও পরে অ্যাস্টন ভিলার হয়ে দুর্দান্ত খেলা গোলরক্ষক এমিলিয়ানো মার্তিনেজ জায়গা পাননি। মূল একাদশে থাকা হয়নি গত মৌসুমে ইতালিয়ান লীগের সেরা খেলোয়াড় পাওলো দিবালা কিংবা আতালান্তার উইঙ্গার আলেহান্দ্রো গোমেজের। ৪-৩-৩ ছকে মাঠে নামা আর্জেন্টিনা গোলপোস্টে ভরসা রেখেছে রিভার প্লেটের অভিজ্ঞ গোলরক্ষক ফ্রাঙ্কো আরমানির ওপর, যে আরমানি গত কোপা আমেরিকায় আর্জেন্টিনার মূল গোলরক্ষক ছিলেন।

ম্যাচের একমাত্র গোলটি এসেছে শুরুর দিকেই।
একদম শুরু থেকেই বল দখলে রেখে প্রতিপক্ষের ওপর চাপ তৈরি করে আর্জেন্টিনা। সাফল্য মেলে ত্রয়োদশ মিনিটে। ডি-বক্সে সেভিয়া মিডফিল্ডার লুকাস ওকাম্পোসকে ডিফেন্ডার পের্ভিস এস্তুপেনার ফাউল করলে পেনাল্টির বাঁশি বাজান রেফারি। জোরালো স্পট কিকে বল জালে পাঠান মেসি।
এগিয়ে যাওয়ার পর হঠাৎ করেই ছন্দ হারিয়ে ফেলে আর্জেন্টিনা। সেই সুযোগে পাল্টা আক্রমণের চেষ্টা করে একুয়েডর, যদিও পুরো ম্যাচেই স্বাগতিক গোলরক্ষক ফ্রাঙ্কো আরমানিকে তেমন কোনো পরীক্ষায় ফেলতে পারেনি তারা। তাদের কোনো শটই লক্ষ্যে ছিল না।

প্রথমার্ধে আর কোনো উল্লেখযোগ্য সুযোগ তৈরি করতে পারেনি আর্জেন্টিনাও। ডান দিক থেকে আক্রমণে ওঠার চেষ্টা করে গেলেও তাদের সব প্রচেষ্টা ভেস্তে যাচ্ছিল ডি-বক্সের বাইরেই। প্রতিপক্ষের সঙ্গে মেসি-মার্তিনেসদের শারীরিক শক্তিতে পেরে না ওঠা এর অন্যতম কারণ।

দ্বিতীয়ার্ধের তৃতীয় মিনিটে গোলের সুবর্ণ সুযোগ নষ্ট করেন ওকাম্পোস। লাউতারো মার্তিনেসের হেডে ফাঁকায় বল পেয়ে তার নেওয়া শট পা বাড়িয়ে ব্যর্থ করে দেন একুয়েডর গোলরক্ষক।

শেষ ১০ মিনিটে খেলা অনেকটাই হয়ে ওঠে মাঝমাঠ কেন্দ্রিক। চার মিনিট যোগ করা সময়ের শেষ মিনিটে মেসির পাস পেয়ে দূরপাল্লার শটে চেষ্টা চালান রদ্রিগে দে পল। অল্পের জন্য তা লক্ষ্যভ্রষ্ট হলে ব্যবধান আর বাড়েনি।

গত কয়েক বছরে আর্জেন্টিনার পারফরম্যান্সে ছিল ওঠানামা। রাশিয়া বিশ্বকাপে খেলতে না পারার শঙ্কাও জেগেছিল তাদের; শেষ পর্যন্ত বাছাইয়ের শেষ রাউন্ডে মেসির হ্যাটট্রিকে এই একুয়েডরকে হারিয়েই পেয়েছিল বিশ্বকাপের টিকেট। কিন্তু মূল পর্বে নিজেদের মেলে ধরতে ব্যর্থ হয়ে বিদায় নিয়েছিল শেষ ষোলো থেকে। পরে গত বছর কোপা আমেরিকায়ও সঙ্গী হয় হতাশা।

আগামী মঙ্গলবার পরের ম্যাচে বলিভিয়ার মাঠে খেলবে সবশেষ ১৯৮৬ সালে বিশ্বকাপ জয়ের স্বাদ পাওয়া আর্জেন্টিনা।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here