আজ থেকে খুচরা বাজারে আলুর কেজি ৩৫ টাকা

0
123
ছবি: সংগৃহীত

বাংলা খবর ডেস্ক:
আজ বুধবার থেকে বাজারে প্রতি কেজি আলু খুচরায় সর্বোচ্চ ৩৫ টাকা দরে বিক্রি হবে। গতকাল মঙ্গলবার পণ্যটির দাম নিয়ে ব্যবসায়ী ও সরকারের প্রতিনিধিদের বৈঠকে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।

বাজারে সরকার নির্ধারিত দামে আলু বিক্রি হচ্ছে কি না তা পর্যবেক্ষণে এরই মধ্যে জেলা প্রশাসকদের কাছে চিঠি দিয়েছে সরকারের কৃষি বিপণন অধিদপ্তর। এ ছাড়া আজ থেকে রাজধানীতে ২৫ টাকা কেজি দরে খোলাবাজারে আলু বিক্রি করবে ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশ (টিসিবি)।

কৃষি বিপণন অধিদপ্তরের পরিচালক দেওয়ান আশরাফ হোসেন বলেন, ‘আমরা আলুর বিষয়ে বিস্তর খোঁজ-খবর নিয়েছি। সেই অনুযায়ী আগের দাম নির্ধারণ করা ছিল। কিন্তু ওরা (ব্যবসায়ী) যখন বাজারে আলু সরবরাহ বন্ধ করে দিল তখন ওদের সঙ্গে বৈঠকে বসি। সেখানে আমরা আমাদের বক্তব্য তুলে ধরেছি। ব্যবসায়ীরাও কথাবার্তা বলেছেন। উভয়পক্ষের সম্মতিতেই নতুন দাম নির্ধারণ করা হয়েছে। সঙ্গে সঙ্গেই আমরা এই দামের বিষয়ে জেলা প্রশাসকদের অবগত করে চিঠি দিয়েছি। যেহেতু ব্যবসায়ীদের প্রতিনিধিদের উপস্থিতি ও সম্মতিতে নতুন দাম নির্ধারণ করা হয়েছে তাই এই দামের বাইরে যাওয়ার কোনো সুযোগ নেই।’

আজ বুধবার থেকেই এই দাম কার্যকর হবে জানিয়ে তিনি বলেন, ‘শ্যামবাজার-কারওয়ান বাজারের বিক্রেতারা গণমাধ্যম ও আমাদের জানিয়েছেন, তাদের কাছে আলু নেই। খুচরা বিক্রেতাদের কাছেও সামান্য পরিমাণে আলু আছে। সুপারশপগুলোতে হয়তো কিছু বেশি আলু আছে। তবে সে পরিমাণও সামান্য। তাই আগামীকাল থেকেই নতুন দাম কার্যকর হচ্ছে। এ ক্ষেত্রে কোনো অজুহাত চলবে না। কেউ এই দাম না মানলে প্রশাসন ব্যবস্থা নেবে।’

হঠাৎ করেই চলতি মাসের শুরুতে বাজারে আলুর দাম বেড়ে যায়। কেজিপ্রতি ৩৫ টাকায় বিক্রি হওয়া পণ্যটি বাজারে ৫৫-৬০ টাকা দরে বিক্রি হতে শুরু করে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে কৃষি বিপণন অধিদপ্তর গত ৭ অক্টোবর হিমাগার পর্যায়ে ২৩ টাকা, পাইকারিতে ২৫ টাকা ও খুচরায় ৩০ টাকা দাম নির্ধারণ করে। ওইদিন রাতেই এই দাম বাস্তবায়নে জেলা প্রশাসকদের কাছে চিঠি দেওয়া হয়। একইসঙ্গে আলুর দাম বাড়ার কারণ খতিয়ে দেখতে শুরু করে তারা। অনুসন্ধানে অধিদপ্তর দেখতে পায়, বর্তমানে দেশে চাহিদার অতিরিক্ত পরিমাণে আলু মজুদ রয়েছে। তবুও হিমাগার মালিকরা বাড়তি দামে পণ্যটি বিক্রি করছেন।

আলুর দাম নির্ধারণ করে দেওয়ার পরও হিমাগার মালিক ও আড়তদাররা দাম না কমানোয় অভিযানে নামে প্রশাসন। এছাড়া সরকারের বিপণন সংস্থা টিসিবির মাধ্যমে ২৫ টাকা কেজিদরে আলু বিক্রির সিদ্ধান্ত হয়। এরপর গত সোমবার থেকে আড়তদার ও হিমাগার মালিকরা বাজারে আলু সরবরাহ বন্ধ করে দেওয়ায় সংকট চরমে পৌঁছায়। সমস্যা সমাধানে গতকাল কৃষি মন্ত্রণালয়, বাণিজ্য মন্ত্রণালয়, বাংলাদেশ ট্রেড অ্যান্ড ট্যারিফ কমিশন, জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর এবং ব্যবসায়ীদের বিভিন্ন সংগঠনের প্রতিনিধিদের উপস্থিতিতে বৈঠকের আয়োজন করে কৃষি বিপণন অধিদপ্তর। সেখানে সিদ্ধান্ত হয়, হিমাগারে প্রতি কেজি আলু ২৭ টাকা, পাইকারি পর্যায়ে ৩০ টাকা ও খুচরা কেজিপ্রতি ৩৫ টাকা দরে বিক্রি হবে। এ দাম বাস্তবায়নে মাঠে থাকবে জেলা প্রশাসন ও সরকারের ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর।

এছাড়া গত ১৮ অক্টোবর বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশির দেওয়া ঘোষণা অনুযায়ী, আজ থেকে খোলা বাজারে আলু বিক্রি করবে টিসিবি। প্রতি কেজি ২৫ টাকা দরে একজন ক্রেতা দৈনিক সর্বোচ্চ ২ কেজি আলু কিনতে পারবেন। তবে আপাতত কেবল রাজধানীতেই পণ্যটি বিক্রি হবে। আলুর বাইরেও ওইসব ট্রাকে পেঁয়াজ, সয়াবিন তেল, চিনি ও মসুর ডাল বিক্রি হবে।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here