মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস পরিবর্তনকারী গবেষণা

0
159

আহম্মেদ শরীফ:

বাংলাদেশ ২০২১ সালে স্বাধীনতার ৫০ বছর পূরণ করতে যাচ্ছে। কিন্তু যে মুক্তিযুদ্ধের মধ্য দিয়ে বাংলাদেশের স্বাধীনতা অর্জন, তার বহুমাত্রিকতা এখনো স্পষ্ট নয়। এ লেখায় সার্বিক বিষয় আলোচনা না করে শুধু মুক্তিযুদ্ধে সংঘটিত গণহত্যা ও নির্যাতন নিয়ে আলোচনা করব। কারণ মুক্তিযুদ্ধে অন্যতম বড় অপরাধ হলো ‘গণহত্যা’ ও ‘নির্যাতন’। এই বিষয়টি সামনে নিয়ে আসেন বিশিষ্ট ঐতিহাসিক মুনতাসীর মামুন কর্তৃক খুলনায় প্রতিষ্ঠিত ১৯৭১ : গণহত্যা-নির্যাতন আর্কাইভ ও জাদুঘর। প্রতিষ্ঠানটিতে পরিচালিত হচ্ছে জেলাভিত্তিক গণহত্যা জরিপ, যা বাংলাদেশে প্রথম। প্রথমবারের মতো প্রতিটি গ্রাম ধরে ধরে মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক প্রশিক্ষিত দক্ষ তরুণ গবেষকদের দ্বারা পরিচালিত হচ্ছে এই জরিপ। জরিপের মাধ্যমে উঠে এসেছে গণহত্যার ভয়াবহতা। কিন্তু প্রশ্ন ওঠে এ ধরনের গবেষণা কেন এত দিন হয়নি? কারণ, বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধে যে গণহত্যা হয়েছে, তা ভুলিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করা হয়েছে। ৭৫-পরবর্তী বাংলাদেশে বেশির ভাগ সময় স্বাধীনতার বিরোধীপক্ষ ক্ষমতায় ছিল। তারা পাকিস্তানি শাসকগোষ্ঠীর অ্যাজেন্ডা বাস্তবায়নে নিজেদের নিয়োজিত রাখে। মুক্তিযুদ্ধে গণহত্যার কথা পাকিস্তানিরা অস্বীকার করেছে, এখানকার বিভিন্ন পাকিস্তানপন্থী রাজনৈতিক দল তাদের বক্তব্যই বাস্তবায়ন করতে চেয়েছিল।

যদিও জেনারেল রাও ফরমান আলী এক সাক্ষাৎকারে ঐতিহাসিক মুনতাসীর মামুনের কাছে প্রথমে গণহত্যার কথা অস্বীকার করেন। কিন্তু পরবর্তীতে স্বীকার করেন ৫০ হাজারের মতো মানুষ একাত্তরে নিহত হতে পারে। মুনতাসীর মামুন রাও ফরমান আলীকে আবারও জিজ্ঞেস করেন, ‘৫০ হাজার লোক হত্যা যদি গণহত্যা না হয়, তাহলে গণহত্যা কাকে বলে?’

একাত্তরে বাংলাদেশে যে মানবতার বিরুদ্ধে বড় ধরনের অপরাধ সংঘটিত হয়েছিল, সেটা নিয়ে কোনো বিতর্কের অবকাশ নেই। বিশ্ববাসীর জন্য বাংলাদেশের ঘটনা ছিল ভৌগোলিকভাবে অনেক দূরের। অর্থনৈতিক বা সামাজিকভাবেও বাংলাদেশ প্রান্তিক দেশ, বিশ্বসভায় জায়গা করে নেওয়ার ক্ষমতা তখন ছিল না। মুক্তিযুদ্ধের সময় বাঙালির দুর্গতি ও প্রতিরোধ স্পৃহা পশ্চিমা গণমাধ্যমের সুবাদে বিশ্ববাসীর নজর কাড়লেও এর জন্য দায়ীদের বিচার করা নিয়ে বিশ্বের সরকারসমূহের কোনো মাথাব্যথা ছিল না। অন্যদিকে বাংলাদেশের একটি শ্রেণি এটা অনেক দূরের ঘটনা এবং সমাজে বিভাজন সৃষ্টির উপাদান হিসেবে চিহ্নিত করতে থাকে। তাই বাংলাদেশের গণহত্যাকে বিস্মৃত অধ্যায় করে তুলতে সামাজিক সমর্থন মিলেছে নানাভাবে।

গণহত্যা আর্কাইভ কর্তৃক পরিচালিত গণহত্যা-বধ্যভূমি ও গণকবর : জেলা জরিপ বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস পুনর্গঠন করছে। তুলে ধরেছে একাত্তরের গণহত্যার ইতিহাস। কারণ, এই জরিপের পূর্বে গণহত্যা-বধ্যভূমি, গণকবর ও নির্যাতন কেন্দ্রের হিসাব ছিল ৯০৫টি। যার ভিত্তিতে বলা হতো বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধে শহীদের সংখ্যা ৩০ লাখ।

গণহত্যা আর্কাইভ কর্তৃক পরিচালিত জরিপে দেশের ৩২টি জেলায় গণহত্যা ও গণহত্যার নিদর্শনের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১৫ হাজার ৭৩১টি। অর্থাৎ প্রতিটি জেলায় গড়ে প্রায় ৪৯২টির মতো গণহত্যা সংঘটিত হয়েছে। ৬৪ জেলায় যদি এই গড় ৪৯২টি করে গণহত্যা সংঘটিত হয়ে থাকে তাহলে মোট গণহত্যার সংখ্যা দাঁড়ায় ৩১,৪৮৮টি।

Sarakhon

গণহত্যা আর্কাইভ পরিচালিত ৩২ জেলার জরিপের ফলাফল:

নীলফামারী: নীলফামারী জেলা জরিপ করেছেন জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী অধ্যাপক আহম্মেদ শরীফ। জরিপ অনুযায়ী, নীলফামারীতে গণহত্যা হয়েছে ১১, বধ্যভূমি ৩৭, গণকবর ১৭, নির্যাতনকেন্দ্র ২৪; মোট= ৮৯।

বগুড়া: আহম্মেদ শরীফ বগুড়া জেলায় জরিপও করেছেন। তার জরিপের ফল হলো- গণহত্যা ৪৫, বধ্যভূমি ৩৩, গণকবর ২০, নির্যাতনকেন্দ্র ৪১; মোট= ১৩৯।

নাটোর: উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী অধ্যাপক সুমা কর্মকার জরিপ করেছেন নাটোর। তার জরিপের ফলাফল- গণহত্যা ৬৩, বধ্যভূমি ১৮, গণকবর ২২, নির্যাতনকেন্দ্র ৪; মোট = ১০৭।

কুড়িগ্রাম: কুড়িগ্রামে এই জরিপ করেছেন আক্তার বানু। তার ফলাফলে গণহত্যা হয়েছে ১৫, বধ্যভূমি ১৫, গণকবর ২১, নির্যাতনকেন্দ্র ৪২; মোট=৮৪।

পাবনা: পাবনায় জরিপ করেছেন রোকনুজ্জামান বাবুল ও শিউলি খাতুন। জনাব বাবুল ও শিউলির জরিপে গণহত্যা হয়েছে ৭৫, বধ্যভূমি ২৬, গণকবর ১০, নির্যাতনকেন্দ্র ৮; মোট= ১১৯।

রাজশাহী: রাজশাহী জেলার জরিপ করেছেন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক মো. মাহবুবর রহমান ও তাহসিনা শরমিন। জনাব মাহবুব ও তাহসিনার জরিপের ফলাফল- গণহত্যা ১২৭, বধ্যভূমি ৯, গণকবর ২৬, নির্যাতনকেন্দ্র ৯৪, মোট= ২৫৬।

সাতক্ষীরা: সাতক্ষীরায় জরিপ করেছেন গবেষক ফাহিমা খাতুন। তার জরিপে গণহত্যা ১৫, বধ্যভূমি ১১, গণকবর ৮, নির্যাতনকেন্দ্র ৭; মোট= ৪১।

নারায়ণগঞ্জ: সাংবাদিক ও মুক্তিযুদ্ধ গবেষক রীতা ভৌমিক জরিপ করেছেন নারায়ণগঞ্জে। তিনি চারটি ক্ষেত্রে পেয়েছেন- গণহত্যা ২০৯, বধ্যভূমি ২৩, গণকবর ১০, নির্যাতনকেন্দ্র ৪৬; মোট = ২৮৮।

ভোলা: ভোলায় জরিপ করেছেন গবেষক রেহানা পারভীন। তিনি পেয়েছেন গণহত্যা ৩৭, বধ্যভূমি ৫, গণকবর ১৭, নির্যাতনকেন্দ্র ১৫; মোট= ৭৪।

খুলনা: খুলনা জেলার জরিপ করেছেন বিএল (বজ্রমোহন) কলেজের অধ্যাপক অমল কুমার গাইন। তিনি চারটি ক্ষেত্রে পেয়েছেন : গণহত্যা ১ হাজার ১৫৫, বধ্যভূমি ২৭, গণকবর ৭, নির্যাতনকেন্দ্র ৩২, মোট= ১ হাজার ২২৭।

গাইবান্ধা: গাইবান্ধার জরিপ করেছেন জহুরুল কাইয়ুম। তার জরিপের ফলাফল : গণহত্যা ১৩৬, বধ্যভূমি ৯, গণকবর ১০, নির্যাতনকেন্দ্র ৯; মোট= ১৬৪।

জামালপুর: জামালপুরের জরিপ করেছেন মামুন তরফদার। তার জরিপের ফলাফল গণহত্যা ১৯২, বধ্যভূমি ২২, গণকবর ৩৩, নির্যাতনকেন্দ্র ২১, মোট= ২৬৮।

নড়াইল: নড়াইলে জরিপ করেছেন অনুপ কুমার মন্ডল। অনুপের জরিপের ফলাফল গণহত্যা ১৪৯, বধ্যভূমি ৩, গণকবর ৪, নির্যাতনকেন্দ্র ৫; মোট= ১৬১।

পঞ্চগড়: পঞ্চগড়ে জরিপ করেছেন দিনাজপুর মহিলা কলেজের সহকারী অধ্যাপক আলী ছায়েদ। তার ফলাফল গণহত্যা ৬৪৯, বধ্যভূমি ৪, গণকবর ১৭, নির্যাতনকেন্দ্র ২৩, মোট= ৬৯৩।

মৌলভীবাজার: জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী অধ্যাপক তপন পালিত মৌলভীবাজারে জরিপ করেছেন। তিনি ফলাফল পেয়েছেন গণহত্যা ৩১৭, বধ্যভূমি ২৬, গণকবর ১৫, নির্যাতনকেন্দ্র ১৮, মোট= ৩৭৬।

যশোর: যশোরে জরিপ করেছেন বিএল কলেজের অধ্যাপক শংকর মল্লিক। তার ফলাফল গণহত্যা ৫৮৯, বধ্যভূমি ৩৯, গণকবর ৩৩, নির্যাতনকেন্দ্র ৩৪, মোট= ৬৯৫।

লালমনিরহাট: লালমনিরহাটে জরিপ কার্যক্রম করেছেন গবেষক আজহারুল আজাদ জুয়েল। তিনি জানাচ্ছেন গণহত্যা হয়েছে ৫৬২, বধ্যভূমি ১৮, গণকবর ৮, নির্যাতনকেন্দ্র ১৩; মোট= ৬০১।

ব্রাহ্মণবাড়িয়া: ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় জরিপ করেছেন জয়দুল হোসেন। তার জরিপের ফলাফল গণহত্যা ৩৪৩, বধ্যভূমি ৩৫, গণকবর ১৮০, নির্যাতনকেন্দ্র ৯১; মোট= ৬৪৯।

কক্সবাজার: কক্সবাজার জরিপ করেছেন জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের পালি বিভাগের সহকারী অধ্যাপক জগন্নাথ বড়ুয়া। তার জরিপের ফলাফল গণহত্যা ১৯৫, বধ্যভূমি ২০, গণকবর ২৯, নির্যাতনকেন্দ্র ২৩; মোট= ২৬৭।

বরিশাল: বরিশাল জেলায় জরিপ করেছেন জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাসের অধ্যাপক মনিরুজ্জামান শাহীন। তার হিসাবে গণহত্যা ২৪০, বধ্যভূমি ২০, গণকবর ২৩, নির্যাতনকেন্দ্র ২৩, মোট= ৩০৬।

দিনাজপুর: দিনাজপুরে জরিপ করেছেন অধ্যক্ষ মোজাম্মেল বিশ্বাস। তার জরিপের ফলাফল গণহত্যা ১৭২৬, বধ্যভূমি ৩২, গণকবর ৩৪, নির্যাতনকেন্দ্র ৬৫; মোট= ১৮৫৭।

ঠাকুরগাঁও: ঠাকুরগাঁওয়ে জরিপ করেছেন প্রভাষক ড. মো. আব্দুস সালাম। তার জরিপের ফলাফল গণহত্যা ৪০৯, বধ্যভূমি ১৩, গণকবর ১৪, নির্যাতনকেন্দ্র ১১; মোট= ৪৪৭।

মুন্সিগঞ্জ: মুন্সিগঞ্জে জরিপ করেছেন সাংবাদিক সাহাদাত পারভেজ। তার জরিপের ফলাফল গণহত্যা ১৪৫, বধ্যভূমি ৭, গণকবর ৬৫, নির্যাতনকেন্দ্র ১৭; মোট= ২৩৪।

চট্টগ্রাম: চট্টগ্রামে জরিপ করেছেন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাসের সহযোগী অধ্যাপক ড. চৌধুরী শহীদ কাদের। তার জরিপের ফলাফল গণহত্যা ৬০৩, বধ্যভূমি ৯৫, গণকবর ৬২, নির্যাতনকেন্দ্র ৮৮; মোট= ৮৪৮।

চাঁপাইনবাবগঞ্জ: চাঁপাইনবাবগঞ্জে জরিপ করেছেন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তন অধ্যাপক ড. মো. মাহবুবর রহমান। তার জরিপের ফলাফল গণহত্যা ৪৫৪, বধ্যভূমি ১১, গণকবর ৪৪, নির্যাতনকেন্দ্র ৩৩; মোট= ৫৪২।

নওগাঁ: নওগাঁ জরিপ করেছেন গবেষক আজহারুল আজাদ জুয়েল। তার জরিপের ফলাফল গণহত্যা ১৬০১, বধ্যভূমি ৫১, গণকবর ১৮, নির্যাতনকেন্দ্র ১৫৪; মোট= ১৮২৪।

ময়মনসিংহ: ময়মনসিংহে জরিপ করেছেন ড. আমিনুর রহমান সুলতান। তার জরিপের ফলাফল গণহত্যা ২৩০, বধ্যভূমি ৩৩, গণকবর ১৩, নির্যাতনকেন্দ্র ২৩; মোট= ৩১৭।

গাজীপুর: গাজীপুরে জরিপ করেছেন দিনাজপুর মহিলা কলেজের সহকারী অধ্যাপক আলী ছায়েদ। তার জরিপের ফলাফল গণহত্যা ৬৮৯, বধ্যভূমি ২৩, গণকবর ২৯, নির্যাতনকেন্দ্র ২৮; মোট= ৯৬৯।

টাঙ্গাইল: টাঙ্গাইল জরিপ করেছেন সাংবাদিক মামুন তরফদার। তার জরিপের ফলাফল গণহত্যা ৫২৯, বধ্যভূমি ১৮, গণকবর ৫১, নির্যাতনকেন্দ্র ২২; মোট= ৬২০।

কুমিল্লা: কুমিল্লা জরিপ করেছেন বাংলা একাডেমির কর্মকর্তা গবেষক মামুন সিদ্দিকী। তার জরিপের ফলাফল গণহত্যা ৮৭০, বধ্যভূমি ৩০, গণকবর ৪১, নির্যাতনকেন্দ্র ১৯; মোট= ৯৬০।

ঝিনাইদহ: ঝিনাইদহে জরিপ করেছেন খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী অধ্যাপক হৈমন্তী শুক্লা। তার জরিপের ফলাফল গণহত্যা ২২৮, বধ্যভূমি ১৬, গণকবর ৯৪, নির্যাতনকেন্দ্র ১৬; মোট= ৩৫৪।

মাগুরা: মাগুরায় জরিপ করেছেন গবেষক শামসুন নাহার। তার জরিপের ফলাফল গণহত্যা ৩২৪, বধ্যভূমি ৭, গণকবর ৪, নির্যাতনকেন্দ্র ১৩; মোট= ৩৪৮।

বাংলাদেশের এই ৩২টি জেলায় একাত্তরের বীভৎসতা ও চরম অন্যায়ের একনজরে ফলাফল গণহত্যা হয়েছে মোট : ১২ হাজার ৯৩২, বধ্যভূমি আছে : ৭৩৬, গণকবর আছে : ৯৯২, নির্যাতনকেন্দ্র আছে: ১০৭১; মোট রয়েছে = ১৫ হাজার ৭৩১। অর্থাৎ জরিপের যে ফলাফল দেখা যাচ্ছে তা শিউরে ওঠার মতো। গণহত্যার এই ব্যাপকতা সত্ত্বেও এখনো শহীদের সংখ্যা নিয়ে সমাজের একটি অংশ প্রশ্ন তুলে এটাকে রাজনৈতিক স্বার্থে অস্বীকার করার চেষ্টা করে। তাই মুক্তিযুদ্ধকে বিতর্কের ঊর্ধ্বে রাখার জন্য প্রয়োজন Denial Act করে তা কঠোরভাবে কার্যকর করা, যা ইউরোপে প্রচলিত আছে। পৃথিবীর অনেক দেশে গণহত্যাকে অস্বীকার করা অবৈধ। যেমন, এখনো ইউরোপীয় দেশে ইহুদি গণহত্যা এবং আর্মেনীয় গণহত্যাকে মিথ্যা আখ্যা দেয়া নিষেধ ও দণ্ডনীয় অপরাধ। স্বাধীন বাংলাদেশে মুক্তিযুদ্ধের কোনো পক্ষ-বিপক্ষ থাকতে পারে না। মুক্তিযুদ্ধ সারা বাংলাদেশের, বাঙালির।

লেখক: সহকারী অধ্যাপক, ইতিহাস বিভাগ, জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here