২৫ বছরে পা রাখলো ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটি

0
100

বাংলা খবর ডেস্ক:
২৫ বছরে পা রাখলো ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটি (ডিআরইউ)। দীর্ঘ এ সময়ে সদস্যদের পেশাগত উন্নয়ন ও কল্যাণে নানা কর্মপরিকল্পনা বাস্তবায়ন করেছে সংগঠনটি। প্রতিষ্ঠাতা সদস্যরা মনে করছেন, এই দীর্ঘ পথ-পরিক্রমায় ডিআরইউর বড় অর্জন পেশাদার সাংবাদিকদের ‘ঐক্য’। এ উপলক্ষে ‘কর্মের গৌরবে প্রাণের সৌরভে বিপুল শক্তি একসাথে শতপ্রাণে’ স্লোগানকে সামনে রেখে ৪ দিনব্যাপী রজতজয়ন্তী উদযাপনের নানা কর্মসূচি গ্রহণ করেছে ডিআরইউ। আজ রোববার ২৫শে অক্টোবর এর উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। রজতজয়ন্তী উপলক্ষে আয়োজিত চার দিনব্যাপী অনুষ্ঠানের প্রথম পর্ব রাজধানীর পাঁচ তারকা হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টালে অনুষ্ঠিত হবে। এ অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান ও তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ। দ্বিতীয় পর্ব অনুষ্ঠিত হবে আগামী ২৯শে অক্টোবর বৃহস্পতিবার।

এদিন রজতজয়ন্তীর শোভাযাত্রার পাশাপাশি আইডিইবি ভবনে ‘বাংলাদেশে সাংবাদিকতার সংকট ও সম্ভাবনা: বর্তমান প্রেক্ষিত’ শীর্ষক একটি স্মারক বক্তৃতা অনুষ্ঠিত হবে। এ ছাড়া একই দিন ‘নারী সাংবাদিকতার চ্যালেঞ্জ’ ও ‘গণমাধ্যমের স্বাধীনতা ও গণমাধ্যমের আইন’ শীর্ষক দুটি সেমিনার অনুষ্ঠিত হবে। তৃতীয় পর্ব অনুষ্ঠিত হবে ৩০শে অক্টোবর শুক্রবার আইডিইবি ভবনে। এদিন ‘রিপোর্টার্স চ্যালেঞ্জ: রিয়েল নিউজ ভার্সেস ফেক নিউজ’ শীর্ষক একটি সেমিনার ও ‘বঙ্গবন্ধু-ডিআরইউ বেস্ট রিপোর্টিং অ্যাওয়ার্ড’ প্রদান অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হবে। এ ছাড়া ‘ভিউ এক্সচেঞ্জ: রিপোর্টার্স অ্যাক্রস দ্য গ্লোব’ শীর্ষক অনলাইনে একটি সেমিনার অনুষ্ঠিত হবে। শেষ পর্ব অনুষ্ঠিত হবে ৩১শে অক্টোবর শনিবার। এদিন মওলানা ভাসানী হকি স্টেডিয়ামে ডিআরইউর সাবেক সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক বনাম বর্তমান কমিটির সঙ্গে একটি প্রীতি ফুটবল ম্যাচ অনুষ্ঠিত হবে। এ ছাড়া এদিনের দ্বিতীয় পর্বে সমাপনী ও সাংস্কৃতিক পর্ব অনুষ্ঠিত হবে। ডিআরইউর রজতজয়ন্তী উদযাপন কমিটির চেয়ারম্যান ও সাবেক সভাপতি শাহজাহান সরদার বলেন, ২৫ বছরে ডিআরইউর সব চেয়ে বড় সাফল্য হচ্ছে ইউনিটি বা একতা। এটি ডিআরইউ করতে পেরেছে। এই সংগঠন সকল রিপোর্টারদের একমাত্র সংগঠন হিসেবে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করছে। এই সংগঠন রিপোর্টারদের আবেগের সংগঠন। রিপোর্টারদের আবেগ হচ্ছে ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটি। আমরা যে যেখানেই থাকি না কেন এই আবেগটা আমরা ধারণ করি। তিনি আরো বলেন, আমরা রিপোর্টারদের কল্যাণে বিভিন্ন কাজ করে যাচ্ছি। আমাদের সদস্যদের জন্য কল্যাণ তহবিল আছে, বেস্ট রিপোর্টিং অ্যাওয়ার্ড আছে, ফ্যামিলি ডে, সদস্যদের সন্তানদের জন্য শিক্ষা বৃত্তি, প্রশিক্ষণ, খেলাধুলাসহ নানা পদক্ষেপ রয়েছে। ডিআরইউ শুধু তার সদস্যদের জন্য নয়, বরং সদস্যদের স্ত্রী-সন্তানদের জন্যও কাজ করছে। শুরু থেকে এটা এখনও অব্যাহত আছে। আমি বিশ্বাস করি আমাদের ঐক্য ও সংহতি অব্যাহত থাকবে। ডিআরইউ সভাপতি রফিকুল ইসলাম আজাদ বলেন, রিপোর্টারদের দক্ষতা বৃদ্ধি, মান উন্নয়ন, মর্যাদা প্রতিষ্ঠা এবং বস্তুনিষ্ঠ সাংবাদিকতাকে সমুন্নত কার জন্যই ২৫ বছর আগে ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটি প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। শুরু থেকে আজ পর্যন্ত যারা ডিআরইউকে আজকের এই মর্যাদায় নিয়ে এসেছেন আমরা আশা করি আরো ২৫ বছর পর যখন সুবর্ণজয়ন্তী পালন হবে তখন ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটি আরো বড় মাপের এবং বড় মর্যাদার আসনে প্রতিষ্ঠিত হবে। ডিআরইউ আমাদের প্রাণের এবং আবেগের সংগঠন। আমরা আশা করি আমাদের এই ঐক্যকে ধারণ করে আগামী নেতৃত্ব ডিআরইউর কার্যক্রম ও মর্যাদাকে ভিন্ন উচ্চতায় নিয়ে যাবে। তিনি আরো বলেন, ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটি পেশাগত দক্ষতা বৃদ্ধির পাশাপাশি সদস্যদের মানোন্নয়নে প্রশিক্ষণ কর্মসূচি ছাড়াও কল্যাণধর্মী অনেকগুলো কাজ করেছে। আমরা আশা করি রিপোর্টার্স ইউনিটি সাংবাদিকদের সুখে-দুখে সব সময় আছে এবং থাকবে। আমি স্বপ্ন দেখি, আগামী ২৫ বছরে ডিআরইউর সদস্যদের জন্য নিজস্ব স্কুল থাকবে, কলেজ থাকবে এবং একটি জার্নালিজম ইনিস্টিটিউট থাকবে। রজতজয়ন্তী উপলক্ষে শনিবার ডিআরইউর নসরুল হামিদ মিলনায়তনে এক সংবাদ সম্মেলনে বিস্তারিত কর্মসূচি তুলে ধরেন রজতজয়ন্তী উদযাপন কমিটির চেয়ারম্যান ও সাবেক সভাপতি শাহজাহান সরদার। এ সময় বর্তমান সভাপতি রফিকুল ইসলাম আজাদ, সহ-সভাপতি নজরুল কবীর, সাধারণ সম্পাদক রিয়াজ চৌধুরী, সাবেক সভাপতি সাখাওয়াত হোসেন বাদশা, জামাল উদ্দিন, প্রতিষ্ঠাকালীন সাধারণ সম্পাদক মোস্তফা ফিরোজ, প্রতিষ্ঠাকালীন সদস্য মুফতি আহমেদ উপস্থিত ছিলেন।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here