বাংলা খবর ডেস্ক,ঢাকা:
যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগের উপ প্রচার সম্পাদক তৈয়বুর রহমান টনি আর নেই (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহী রাজিউন)। ২৫ অক্টোবর ঢাকায় তার নিজ বাসভবনে তাকে মৃত অবস্থায় উদ্ধার করে পুলিশ।
তৈয়বুর রহমান টনির মৃত্যুর কারণ এখনো জানা যায়নি। ডাক্তারি পরীক্ষা নিরীক্ষা পোস্টমর্টেম রিপোর্ট পাওয়ার পর তাঁর মৃত্যুর সঠিক কারণ জানা যাবে। সম্প্রতি টনি নিউইয়র্ক থেকে ঢাকায় আসেন। এলাকাবাসী জানান, তিনি থাকতেন জিগাতলা পোস্ট অফিসের কাছে একটি ভাড়া বাড়িতে। নিজেদের পৈত্রিক সম্পত্তিতে একটি বহুতল ভবন নির্মাণে তিনি ব্যস্ত ছিলেন। সকালে বন্ধুদের সাথে ধানমন্ডি মাঠে নিয়মিত ব্যাডমিন্টন খেলতেন। তারা জানান, দুদিন ধরে টনি মাঠে আসা বন্ধ করে দিয়েছিল। ফোনে কল করে কেউ পাচ্ছিলেননা। ওদিকে টনি প্রতিদিন বোনের দেয়া খাবার খেতেন। শনিবার দুপুরে বোন খাবার নিয়ে টনির ফ্ল্যাটের সামনে বেশ কিছুক্ষণ অপেক্ষা করেছেন। দরজা ধাক্কা দিয়েছেন, ফোন করেছেন কোন সাড়া পাননি। ভাই ঘুমাচ্ছেন ভেবে বোন খাবার কেয়ার টেকারের কাছে দিয়ে যান। কেয়ারেটেকার রাতে চেষ্টা করেও খাবার দিতে ব্যর্থ হয়েছেন বলে প্রতিবেশিরা জানান। এরপর রোববার পুলিশে খবর দিলে দরজা ভেঙ্গে তারা টনির মৃতদেহ দেখতে পান। টনির মৃত্যুতে ঢাকা এবং নিউইয়র্কয়ে শোক নেমে এসেছে।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার যুক্তরাষ্ট্র সফরকালে পাশে তৈয়বুর রহমান টনি।
এদিকে যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগের উপ প্রচার সম্পাদক তৈয়বুর রহমান টনির মৃত্যুতে শোক জানিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগ সভাপতি ড. সিদ্দিকুর রহমান এবং ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক আব্দুস সামাদ আযাদ। তারা এক বিবৃতিতে তৈয়বুর রহমান টনির বিদেহী আত্মার মাগফেরাত কামনা এবং শোকসন্তপ্ত পরিবারের প্রতি সমবেদনা জ্ঞাপন করেন।
এদিকে অপর এক বিবৃতিতে মোড়লগঞ্জ উপজেলা সোসাইটি ইউএসএ ইন্ক’র সাধারণ সম্পাদক তৈয়বুর রহমান টনির মৃত্যুতে গভীর শোক প্রকাশ ও তার বিদেহী আত্মার মাগফেরাত কামনা করেছে মোড়লগঞ্জ উপজেলা সোসাইটি ইউএসএ ইন্ক। সংগঠনটি শোকসন্তপ্ত পরিবারের প্রতিও সমবেদনা জ্ঞাপন করে।
রাজনীতির পাশাপাশি টনি সাংবাদিকতা ও অভিনয় শিল্পের সাথে জড়িত ছিলেন। এছাড়া তিনি নিউইয়র্কয়ে স্থায়ীভাবে বসবাসের আগে ঢাকায়ে একাধিক ক্লাবের হয়ে ক্রিকেট খেলেছেন।