করোনা: দেশে আরো ১৯ জনের মৃত্যু, শনাক্ত ১৬০৪

0
91

বাংলা খবর ডেস্ক:
নভেল করোনাভাইরাসে (কোভিড-১৯) আক্রান্ত হয়ে দেশে গত ২৪ ঘণ্টায় ১৯ জনের মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে করোনায় দেশে ৫ হাজার ৯০৫ জনের প্রাণহানি হলো। গত ২৪ ঘণ্টায় করোনায় শনাক্ত হয়েছেন ১ হাজার ৬০৪ জন। এ নিয়ে দেশে করোনায় শনাক্তের সংখ্যা দাঁড়ালো ৪ লাখ ৬ হাজার ৩৬৪ জন।

দেশে করোনা শনাক্ত হওয়ার ২৩৭তম দিনে আজ বৃহস্পতিবার (৩০ অক্টোবর), করোনা পরিস্থিতি নিয়ে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর থেকে পাঠানো বিজ্ঞপ্তিতে এ সকল তথ্য জানানো হয়। বিজ্ঞপ্তিতে প্রাপ্ত তথ্যমতে, গত ২৪ ঘণ্টায় সারা দেশে নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে ১৪ হাজার ৩৩১টি। আর দেশের মোট ১১২টি ল্যাবে নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে ১৪,১৪১টি। এর মধ্যে ১,৬০৪ জনের দেহে করোনার উপস্থিতি পাওয়া গেছে। যেখানে পরীক্ষা বিবেচনায় শনাক্তের হার ১১.৩৪ শতাংশ। এ পর্যন্ত মোট নমুনা পরীক্ষা হয়েছে ২৩ লাখ ২৪ হাজার ৭৩০টি। এ পর্যন্ত পরীক্ষা বিবেচনায় শনাক্তের হার ১৭.৪৮ শতাংশ।

বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, গত ২৪ ঘণ্টায় মারা যাওয়া ১৯ জনের মধ্যে ১২ জন পুরুষ ও ৭ জন নারী। শনাক্ত বিবেচনায় মৃত্যুর হার ১.৪৫ শতাংশ। এ পর্যন্ত মৃত্যুবরণ করা ৫,৯০৫ জনের মধ্যে ৪ হাজার ৫৪১ জন পুরুষ ও ১,৩৬৪ জন নারী। আর গত ২৪ ঘণ্টায় সুস্থ হয়েছেন আরো ১ হাজার ৪২২ জন। শনাক্ত বিবেচনায় সুস্থতার হার ৭৯.৪১ শতাংশ। এ নিয়ে মোট সুস্থ রোগীর সংখ্যা দাঁড়ালো ৩ লাখ ২২ হাজার ৭০৩ জন। বর্তমানে মোট কোয়ারেন্টিনে রয়েছেন ৩৯ হাজার ৪৩৪ জন ব্যক্তি। আর, আইসোলেশনে রয়েছেন ১২ হাজার ৯৫ জন।

বিশ্বে একদিনে ৫ লাখের বেশি রোগী শনাক্ত:

ওদিকে উত্তর গোলার্ধের দেশগুলোতে সংক্রমণের ঊর্ধ্বগতির মধ্যে বিশ্বজুড়ে একদিনে ৫ লাখের বেশি কোভিড-১৯ রোগী শনাক্ত হয়েছে।

গত ১৫ অক্টোবর বিশ্বে প্রথমবারের মতো দৈনিক শনাক্ত ৪ লাখ অতিক্রম করেছিল।

তার দুই সপ্তাহেরও কম সময়ের মধ্যে বুধবার এ সংখ্যা ৫ লাখ ছাড়ায় বলে এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে বার্তা সংস্থা রয়টার্স।

বেশিরভাগ পশ্চিমা দেশ এবং লাতিন আমেরিকার একাংশে গত কয়েক সপ্তাহ ধরেই প্রাণঘাতী এ ভাইরাসের সংক্রমণের নতুন ঊর্ধ্বগতি দেখা যাচ্ছে। কোথাও কোথাও দৈনিক শনাক্তে নিত্যনতুন রেকর্ডও হচ্ছে।

পরিস্থিতি মোকাবেলায় অনেক দেশের সরকারকেই কঠোর বিধিনিষেধ আরোপ নিয়ে কথা বলতে হচ্ছে।

যুক্তরাষ্ট্রে গত শুক্রবারও ৮৪ হাজারের বেশি নতুন রোগী শনাক্ত হয়েছে। দেশটির প্রায় সব অঞ্চলে সংক্রমণের ঊর্ধ্বগতি দেখা গেলেও ডনাল্ড ট্রাম্প প্রশাসন বিধিনিষেধ কঠোর করে অর্থনৈতিক কার্যক্রম সীমিত করতে নারাজ।

প্রায় ৯০ লাখ শনাক্ত রোগীর যুক্তরাষ্ট্রে এখন প্রতিদিন গড়ে ৭৫ হাজার নতুন রোগী শনাক্ত হচ্ছে; দেশজুড়ে মাস্ক বাধ্যতামূলক না করা হলে দেশটিতে ফেব্রুয়ারির মধ্যে মৃত্যু ৫ লাখ ছাড়িয়ে যেতে পারে বলে গবেষকরা সতর্কও করেছেন।

গত বছরের ডিসেম্বরে চীনের উহানে আবির্ভূত হওয়ার পর এরই মধ্যে বিশ্বজুড়ে প্রায় সাড়ে ৪ কোটি মানুষের দেহে ভাইরাসের উপস্থিতি শনাক্ত হয়েছে; মৃত্যু পেরিয়েছে ১১ লাখ ৮০ হাজার।

শনাক্ত রোগীর দুই-তৃতীয়াংশই মিলেছে ইউরোপ, উত্তর আমেরিকা ও লাতিন আমেরিকায়। এই তিন অঞ্চল বিশ্বে কোভিড-১৯ এ মোট মৃত্যুর ৭৬ শতাংশের সাক্ষী হয়েছে।

দুই সপ্তাহের ব্যবধানে ইউরোপে দৈনিক শনাক্ত রোগীর সংখ্যা দ্বিগুণ হয়ে গেছে। রয়টার্সের হিসাবে বুধবারই মহাদেশটিতে প্রথমবার ২৪ ঘণ্টায় আড়াই লাখের বেশি রোগী শনাক্ত হয়েছে।

মহামারী শুরু হওয়ার পর থেকে এখন পর্যন্ত ইউরোপের দেশগুলোতে সরকারি হিসাবেই আক্রান্তের সংখ্যা এক কোটির কাছাকাছি পৌঁছে গেছে। মৃত্যু পেরিয়েছে দুই লাখ ৬০ হাজার।

ফ্রান্সে রবিবার রেকর্ড ৫০ হাজারের বেশি মানুষের দেহে ভাইরাসের উপস্থিতি মিলেছে। স্পেন, ইতালি, নেদারল্যান্ডসসহ ওই অঞ্চলের প্রায় সর্বত্রই সংক্রমণের দ্বিতীয় ঢেউয়ের কারণে আক্রান্তের পরিমাণ বাড়তে দেখা যাচ্ছে।

পরিস্থিতি মোকাবেলায় বিভিন্ন দেশ নানান বিধিনিষেধ দেওয়ায় চলতি মাসে ইউরো জোনের অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ডও অনেকখানি সীমিত হয়ে পড়েছে।

এশিয়ায় শনাক্ত কোভিড-১৯ রোগীর সংখ্যা শনিবারই এক কোটি পেরিয়ে গেছে বলে জানিয়েছে রয়টার্স। তবে ভারতসহ মহাদেশটির প্রায় সর্বত্রই দৈনিক শনাক্ত রোগীর সংখ্যা ধারাবাহিকভাবে কমছে।

মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোর মধ্যে কোভিড-১৯ এ সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত ইরানে করোনাভাইরাস প্রতি তিন মিনিটে একজনের প্রাণ কেড়ে নিচ্ছে বলে বুধবার দেশটির রাষ্ট্রীয় টেলিভিশন জানিয়েছে।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here