বাংলা খবর ডেস্ক:
করোনাভাইরাস পরিস্থিতি মোকাবেলায় ব্যাপক অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগ করেছে ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ (টিআইবি)। একইসঙ্গে সুশাসনের অভাব রয়েছে বলেও উল্লেখ করেছে সংস্থাটি।
আজ মঙ্গলবার (১০ নভেম্বর) সকালে ‘করোনা ভাইরাস সংকট মোকাবিলায় সুশাসনের চ্যালেঞ্জ (দ্বিতীয় পর্ব)’ শীর্ষক গবেষণা প্রতিবেদন প্রকাশকালে এ অভিযোগ করা হয় সংস্থার পক্ষ থেকে। জুম ওয়েবিনারে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য প্রকাশ করা হয়।
সংবাদ সম্মেলনে টিআইবি’র নির্বাহী পরিচালক ড. ইফতেখারুজ্জামান বলেন, কভিড-১৯ নিয়ন্ত্রণের বিভিন্ন খাতে ব্যাপক অনিয়ম-দুর্নীতি সংঘটিত হয়েছে। জড়িতরা দুর্নীতিকে মহোৎসবে পরিণত করেছে। সরকার দুর্নীতি নিয়ন্ত্রণের চেয়ে তথ্য নিয়ন্ত্রণে বেশি তৎপর ছিল। বদলি ছাড়া দুর্নীতি নিয়ন্ত্রণে তেমন কোনো তৎপরতা লক্ষ্য করা যায়নি।
টিআইবির উপস্থাপিত গবেষণায় সুশাসনের সাতটি নির্দেশক যথা: আইনের শাসন, দ্রুত সাড়াদান, সক্ষমতা ও কার্যকরতা, অংশগ্রহণ ও সমন্বয়, জবাবদিহিতা, স্বচ্ছতা এবং অনিয়ম ও দুর্নীতির আলোকে গবেষণায় আওতাভুক্ত বিষয়সমূহকে বিশ্লেষণ করা হয়েছে। এতে ১৬ জুন থেকে ৩১ অক্টোবর ২০২০ পর্যন্ত সময়ের তথ্য সংগ্রহ করা হয়েছে।
গবেষণা প্রতিবেদনে পরীক্ষাগার ও নমুনা পরীক্ষার সম্প্রসারণ: সাড়া প্রদানে ঘাটতি, করোনা পরীক্ষার ক্ষেত্রে সংকোচনমূলক নীতি গ্রহণ, পরীক্ষাগার সম্প্রসারণ: কৌশলগত ঘাটতি এবং এলাকা ও শ্রেণিভিত্তিক বৈষম্য, পরিকল্পনা ও কৌশল প্রণয়নে ঘাটতি, নমুনা পরীক্ষায় সক্ষমতায় ঘাটতি, নমুনা পরীক্ষার ক্ষেত্রে সেবাগ্রহীতার অভিজ্ঞতা: হয়রানি, অনিয়ম ও দুর্নীতি, নমুনা পরীক্ষায় দুর্নীতি, প্রবাসীদের পরীক্ষার ক্ষেত্রে হয়রানি, করোনা আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা সেবা সম্প্রসারণ: সাড়া প্রদানে ঘাটতি, জেলা পর্যায়ে চিকিৎসা সেবায় সক্ষমতার ঘাটতি, চিকিৎসা সেবায় সক্ষমতার ঘাটতি: কোভিড স্বাস্থ্যসেবা গ্রহণে সেবাগ্রহীতাদের সমস্যা বা হয়রানি, চিকিৎসা ব্যবস্থায় অনিয়ম-দুর্নীতি, সংক্রমণ প্রতিরোধ ব্যবস্থায় সক্ষমতার ঘাটতি, হাসপাতালের সংক্রমণ প্রতিরোধে মানসম্মত সুরক্ষা সামগ্রীর ঘাটতি প্রভতি বিষয়ে তথ্য উপস্থাপন করা হয়েছে।
এছাড়া, সুরক্ষা সামগ্রী সরবরাহে অনিয়ম-দুর্নীতি: মানহীন সুরক্ষা সামগ্রী সরবরাহ, কমিউনিটি পর্যায়ে সংক্রমণ বিস্তার রোধে গৃহীত পদক্ষেপসমূহে ঘাটতি, করোনা ভাইরাস মোকাবিলায় সরকারি ক্রয়: আইন অনুসরণে ঘাটতি, বিভিন্ন দাতা সংস্থার আর্থিক সহায়তা প্রকল্পের ক্রয়: দুর্নীতি ও আইন অনুসরণে ঘাটতি, বিভিন্ন হাসপাতালের ক্রয়ে অনিয়ম ও দুর্নীতি, একটি প্রকল্পের অধীনে ৮৩টি হাসপাতালে অক্সিজেন ট্যাংক স্থাপনে দুর্নীতি, কভিড নির্ধারিত হাসপাতাল: করোনা চিকিৎসা ব্যয়ে দুর্নীতি, প্রণোদনা বিতরণ: সাড়া প্রদানে ঘাটতি, স্বাস্থকর্মীদের প্রণোদনা প্রদানে দীর্ঘসূত্রিতা, সরকারি সহায়তায় তালিকাভুক্তি: অনিয়ম-দুর্নীতি, সহায়তা পেতে অনিয়ম ও দুর্নীতি, ওএমএস (চাল) সহায়তার ক্ষেত্রে অনিয়ম-দুর্নীতি, প্রাসঙ্গিক আইন অনুসরণ না করা, স্বচ্ছতার ঘাটতির বিষয়গুলোও আলোকপাত করা হয়েছে।