বাংলা খবর ডেস্ক:
সারা দিনের হৈচৈ সন্ধ্যায় রীতিমতো ভাঙা হাট। সাকিব আল হাসানের ফিটনেস পরীক্ষার ফল নিয়ে পুরো দিনের ঘটনাপ্রবাহের সারসংক্ষেপ আসলে এমনই। সর্বোচ্চ স্কোর করার প্রচারে দিনজুড়ে প্রশংসার জোয়ার চললেও সন্ধ্যায় জানা গেল আইসিসির নিষেধাজ্ঞা কাটিয়ে ফেরা অলরাউন্ডার ফিটনেস পরীক্ষায় বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) বেঁধে দেওয়া মানদণ্ডই ছুঁতে পারেননি!
গত কিছুদিন বিসিবির অনুশীলন সুবিধার বাইরে থাকা ক্রিকেটারদের জন্য ফিটনেস পরীক্ষা বাধ্যতামূলক করা হয়। তাতে উত্তীর্ণ হতে হলে জুড়ে দেওয়া হয় বিপ টেস্টে ন্যূনতম ১১ স্কোর করার শর্তও। মিরপুরের ইনডোরে সাকিব পরীক্ষা দেওয়ার পরপরই ছড়িয়ে পড়ে যে তিনি শতাধিক ক্রিকেটারের মধ্যে সর্বোচ্চ ১৩.৭ স্কোর করেছেন। এমন প্রচারে কিছুটা ভূমিকা রাখেন বিসিবির ট্রেনার তুষার কান্তি হাওলাদারও। নির্দিষ্ট করে স্কোর না বললেও উপস্থিত সংবাদমাধ্যমকে তিনি জানান যে সেটি ১৩-র উপরে, ‘সাকিবের স্কোর ১৩-র উপরে। খুব ভালো অবস্থা সাকিবের। এর আগে আমি সাকিবকে এমন স্কোর করতে দেখিনি। কঠোর পরিশ্রমের ফল পেয়েছে সে। এক বছর সে ক্রিকেটের বাইরে ছিল, কিন্তু ফিটনেস ঠিকই ধরে রেখেছে।’
অথচ সন্ধ্যায় প্রধান নির্বাচক মিনহাজুল আবেদীনের ভিডিও বার্তা জানায় এর পুরো বিপরীত, ‘সাকিবও ফিটনেস পরীক্ষা দিয়েছে। সে আমাদের মানদণ্ডের কাছাকাছিই আছে।’ অর্থাৎ ন্যূনতম ১১ স্কোর সাকিব করতে পারেননি। এরপর তুষারও পাল্টে ফেলেন নিজের বক্তব্য, ‘আমি কিছু বলিনি। আমি তো ওখানে (ইনডোরে) ছিলামই না। সাকিবের ফিটনেস পরীক্ষা নিয়েছে নিক লি (বিসিবির হেড অব ফিজিক্যাল পারফরম্যান্স)।’ না থেকেও সাকিবের ফিটনেসের বর্তমান অবস্থা নিয়ে এত প্রশংসা করলেন কী করে!