বাংলা খবর ডেস্ক:
দ্বিতীয় ঢেউয়ে ভয়াবহ বিস্তার লাভ করছে এ মহামারী। গত ২৪ ঘণ্টায় সারা বিশ্বে আক্রান্ত হয়েছেন ৬ লাখ ৯ হাজার ২০৭ জন। মারা গেছেন ১২ হাজার ৭ জন। খবর বিবিসি ও আলজাজিরার।
এ পর্যন্ত বিশ্বে করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন ৬ কোটি ৭ লাখ ৪ হাজার ৬৫২ জন এবং মারা গেছেন ১৪ লাখ ২৫ হাজার ৯১৪ জন।
গত ২৪ ঘণ্টায় সবচেয়ে বেশি ২ হাজার ৩০২ জন মারা গেছেন যুক্তরাষ্ট্রে, ব্রাজিলে ৬২০ জন এবং ভারতে মারা গেছে ৫১৮ জন।
করোনা পরিস্থিতি সংকটজনক থেকে অতিসংকটজনক হয়ে উঠছে আমেরিকায়। একদিনে দেশটিতে আক্রান্ত হয়েছেন ১ লাখ ৮০ হাজার ৯০৩ জন।
বড় বড় শহরের সীমানা ছাড়িয়ে করোনা থাবা বসাচ্ছে প্রত্যন্ত অঞ্চল এবং গ্রামীণ এলাকাগুলোতেও। ফলে যুক্তরাষ্ট্রের হাসপাতালগুলোতে আর তিল ধারণের জায়গা নেই। হন্যে হয়ে এক হাসপাতাল থেকে অন্য হাসপাতালগুলোতে ঘুরে বেড়াতে হচ্ছে কোভিড রোগীদের।
বিশেষজ্ঞরা আগেই সতর্ক করেছিলেন নভেম্বর থেকে ফেব্রুয়ারি এ কয়েকটা মাস অতিরিক্ত সাবধানতা অবলম্বন করতে হবে। শীতের এ সময়ে কোভিডের সংক্রমণ মারাত্মক পর্যায়ে পৌঁছতে পারে।
হচ্ছেও তাই। আমেরিকায় সংক্রমণ বাড়ছে, আর তার সঙ্গে সঙ্গে হাসপাতালগুলোতে শয্যা, চিকিৎসক, নার্স এবং চিকিৎসা পরিষেবার সঙ্গে যুক্ত কর্মীদের আকাল দেখা দিয়েছে।
আমেরিকার মিডওয়েস্টে ওহায়ো এবং ডাকোটার মাঝে যেসব অঞ্চল রয়েছে সেখানে পরিস্থিতি ক্রমে খারাপ হচ্ছে। ওই সব অঞ্চলে প্রতি দিন দ্বিগুণেরও বেশি সংক্রমণ ধরা পড়ছে। জুনের মাঝামাঝি থেকে নভেম্বরের মাঝামাঝি সময়ের মধ্যে মিডওয়েস্টের ওই অঞ্চলগুলোতে কোভিডের সংখ্যা ২০ গুণ বেড়েছে। কোভিড ট্র্যাকিং প্রজেক্ট নামে এক সমীক্ষায় এই তথ্য উঠে এসেছে।
আমেরিকায় ইতিমধ্যে আড়াই লাখেরও বেশি মানুষ মারা গেছে। সংক্রমণের হার বেড়েই চলেছে। ছোট ছোট হাসপাতালগুলোতে রেমডেসিভির এবং ডেক্সামেথাসোনের মতো ওষুধ প্রয়োগ করা হচ্ছে। কিন্তু আইসিইউর সুবিধা না থাকার কারণে অনেক সমস্যার মুখে পড়তে হচ্ছে বলে এক স্বাস্থ্যকর্মী জানান।
করোনায় দেশে আরও ৩৭ জনের প্রাণহানি:
ওদিকে করোনা মহামারীতে গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে ৩৭ জনের মৃত্যু হয়েছে। তাদের নিয়ে এ পর্যন্ত মৃতের সংখ্যা বেড়ে হয়েছে ছয় হাজার ৫২৪ জন।
বৃহস্পতিবার কোভিড রোগ নিয়ে হালনাগাদ তথ্য জানাতে স্বাস্থ্য অধিদফতরের প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এমন তথ্য জানিয়েছে।
এতে বলা হয়, এ সময় দুই হাজার ২৯২ জন নতুন করে ভাইরাসটিতে সংক্রমিত হয়েছেন। তাতে দেশে এ পর্যন্ত শনাক্ত রোগীর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে চার লাখ ৫৬ হাজার ৪৩৮ জনে।
দেশে প্রথম কোভিড-১৯ রোগী শনাক্তের ১০ দিন পর ১৮ মার্চ প্রথম মৃত্যুর তথ্য নিশ্চিত করেছিল স্বাস্থ্য অধিদফতর। ৪ নভেম্বর তা ছয় হাজার ছাড়িয়েছিল।
এর মধ্যে ৩০ জুন এক দিনেই ৬৪ জনের মৃত্যুর খবর জানানো হয়। যা এক দিনের সর্বোচ্চ মৃত্যু। করোনার প্রথম সংক্রমণ ধরা পড়েছিল গত ৮ মার্চ, তা সাড়ে চার লাখ পেরিয়ে যায় ২৪ নভেম্বর।
এর মধ্যে গত ২ জুলাই ৪ হাজার ১৯ জন কোভিড-১৯ রোগী শনাক্ত হয়, যা এক দিনের সর্বোচ্চ শনাক্ত।
স্বাস্থ্য অধিদফতরের হিসাবে, বাসা ও হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আরও দুই হাজার ২৭৪ জন রোগী সুস্থ হয়ে উঠেছেন গত ২৪ ঘণ্টায়। তাতে সুস্থ রোগীর মোট সংখ্যা বেড়ে তিন লাখ ৭১ হাজার ৪৫৩ জন হয়েছে।
জনস হপকিন্স বিশ্ববিদ্যালয়ের তথ্যে বিশ্বে শনাক্তের দিক থেকে ২৫তম স্থানে বাংলাদেশ, আর মৃতের সংখ্যায় ৩৩তম অবস্থানে।