‘ভাস্কর্য ভাঙচুরে বিএনপির উসকানি আছে কি না খতিয়ে দেখছি’

0
107

বাংলা খবর ডেস্ক:
কুষ্টিয়ায় বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ভাস্কর্য ভাঙচুর ও সারা দেশে ভাস্কর্যবিরোধী চলমান আন্দোলনে বিএনপির উসকানি থাকতে পারে বলে সন্দেহ পোষণ করেছেন আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। তিনি বলেছেন, বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্যের ওপর হামলা রাষ্ট্রদ্রোহিতার শামিল। এ হামলায় বিএনপি উসকানিতে জড়িত কিনা সেটি খতিয়ে দেখা হচ্ছে।

আজ সোমবার (০৭ ডিসেম্বর) সচিবালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এসব কথা বলেন।

ওবায়দুল কাদের বলেন, বঙ্গবন্ধুর নির্মাণাধীন ভাস্কর্যের কাজ অবশ্যই শেষ হবে। কেউ ভাঙার ধৃষ্টতা দেখালে চরম মূল্য দিতে হবে। ভাস্কর্য ভাঙার ক্ষেত্রে কারও বিরুদ্ধে জড়িত থাকার সুনির্দিষ্ট অভিযোগ পেলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

বঙ্গবন্ধু ভাস্কর্য ভাঙচুরের ঘটনায় একটি নন-পলিটিক্যাল সংগঠন মামলা করেছে। এ বিষয়টি আপনারা কীভাবে দেখছেন এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধু কোনো দলের নয়। তাই অরাজনৈতিক কোনো সংগঠনের মামলা করাটা ইতিবাচক। হুকুমের আসামি হিসেবে নয়, উপযুক্ত প্রমাণ পেলে কাউকে ছাড় দেওয়া হবে না। আমরা সরকারে আছি। হুট করে মাথা গরম করে সিদ্ধান্ত নেওয়া যাবে না। প্রধানমন্ত্রী বিষয়টি নিজেই দেখছেন। আমরা ভেবে চিন্তে যুক্তি দিয়ে সিদ্ধান্ত নিতে চাই।

ওবায়দুল কাদের বলেন,কেউ হুকুম দিয়েছে এমন কোনো সাক্ষ্য প্রমাণ পেলে আমরা ব্যবস্থা নেব। আমরা সরকারে আছি, ক্ষমতায় আছি। আমাদের ঠান্ডা মাথায় এগুতে হবে। কথায় কথায় মাথা গরম করলে চলবে না। বুঝে শুনে আমাদের পরিস্থিতিটা মোকাবেলা করতে হবে। কারও বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে গিয়ে অহেতুক দেশে অশান্তি-বিশৃঙ্খল পরিস্থিতির সৃষ্টি করতে চাই না। আমরা যুক্তি দিয়ে বলতে চাই।

তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী তাদের সাক্ষাৎ দেবেন কি-না সেটি আমি জানি না। আলোচনার সুযোগ আছে কি-না সেটাও প্রধানমন্ত্রী দেখছেন। সব বিষয়েই সরকার প্রধান যদি মনে করেন তাহলে হতে পারে। তিনি যা সিদ্ধান্ত নেবেন সেটাই।

মন্ত্রী বলেন, শাপলা চত্বরে হেফাজতের ব্যানারে একটা আন্দোলন হয়েছিল। সেটা তো দীর্ঘস্থায়ী হয়নি। মুসলিম দেশগুলোতে মাঝে মাঝে এ ধরনের ধর্মীয় ইস্যু চলে আসে, এর পেছনে রাজনৈতিক কারণও আছে। আমরা এগুলো পর্যবেক্ষণ করছি। এখন তো বাংলাদেশের সামাজিক, সাংস্কৃতিকসহ বিভিন্ন সংগঠন প্রতিবাদ করছে। কিছু কিছু বিষয় আমাদের রাজনৈতিকভাবে মোকাবিলা করা উচিত।

হেফাজতের সঙ্গে সরকারের সম্পর্কের বিষয়ে প্রশ্নের জবাবে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, তাদের কওমি মাদরাসার ১৪ লাখ স্টুডেন্ট আছে। তারা মেইনস্ট্রিম থেকে দূরে আছে। তাদের আমাদের শিক্ষা ব্যবস্থার মেইনস্ট্রিমে আনার জন্য দাবিটাকে ন্যায় সম্মত মনে হয়েছে। সে জন্য তাদের দাবি মেনে নেওয়া হয়েছে। তার মানে এই নয় তাদের সাথে সমঝোতা করেছি। হেফাজত কোনো রাজনৈতিক সংগঠন নয়, যে তাদের সাথে রাজনৈতিক সমঝোতা করব বলেও জানান তিনি।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here