বাংলা খবর ডেস্ক:
প্রায় দুই মাস পর নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে গেলেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী। আজ বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ১০টায় তিনি কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে যান। লাঠি হাতে খুব খুব ধীরে সিঁড়ি বেয়ে তিন তলায় নিজের দপ্তরে বসেন রিজভী। কুশল বিনিময় করেন অফিস কর্মীদের সাথে। তাদের শারীরিক অবস্থা, পরিবারের খোঁজ-খবর নেন তিনি।
হঠাৎ করেই রিজভী অফিসে আসায় অফিস কর্মীদের মধ্যে আনন্দের বন্যা বয়ে যায়। কাছাকাছি থাকা কয়েকজন নেতাকর্মীরা ছুটে যান তাদের প্রিয় নেতাকে দেখতে। মাস্ক পরে রুমে ঢুকে সালাম দেন তারা।
অফিস কর্মীদের সাথে উঠোন বৈঠকের মতো বসে নিজের অসুস্থতার সেই দিনগুলো স্মৃতি রোমস্থ করতে দেখা যায়।
রিজভী বলেন, এখন অনেকটাই সুস্থবোধ করছি। রিং পরানোর পর আমাকে অনেক সর্তকতার সাথে চলতে হচ্ছে। যেটা আগে কখনোই আমি করিনি। এই করোনাকালে কত জায়গায় আমি মানুষের কাছাকাছি গিয়েছি তার কোনো হিসাব নেই। প্রতিদিন আসবেন কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন, এখন অফিসে আসার চেষ্টা করবো, যদি শরীরটা এরকম ভালো থাকে।
রিজভী বলেন, মহান সৃষ্টিকর্তা আল্লাহ রাব্বুল আ’লামীনের রহমতে আমি সুস্থ হয়েছি। আমার সুস্থতার জন্য দেশে-বিদেশে কর্মী-সমর্থকসহ দেশবাসী দোয়া করেছেন, মিলাদ পড়েছেন, রোজা রেখেছেন, প্রার্থনা করেছেন আমি তাদের প্রতি কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করছি। সৃষ্টিকর্তা সবাইকে সুস্থ রাখুন, হেফাজতে রাখুন। সর্বশেষ বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব নয়াপল্টনে অফিস করেন গত ১২ই অক্টোবর। এরপর দিন জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে জাতীয়তাবাদী শ্রমিক দলের একটি মানববন্ধন কর্মসূচিতে অংশ নিয়ে নিজের গাড়িতে ওঠার পরই হৃদরোগে আক্রান্ত হয় তিনি। এরপর ল্যাব এইড হাসপাতালে ভর্তি হন রিজভী। তার হৃদযন্ত্রে এনজিওপ্লাস্টের মাধ্যমে রিং পরানো হয়। পরে সুস্থ হয়ে তিনি মোহাম্মদপুরের বাসায় ফেরেন।
গত ৩রা ডিসেম্বর রিজভীর সহধর্মিনী আরজুমান আরা বেগম ও শ্যালিকা তাহমিনা বেগমের করোনা পরীক্ষার ফলাফল পজেটিভ আসে। স্ত্রী করোনায় আক্রান্ত হওয়ার কারণে বর্তমানে তিনি আরেকটি বাসায় আছেন। রিজভী জানান, তার সহধর্মিনী ও শ্যালিকা সুস্থ আছেন, তেমন কোনো উপসর্গ নেই। চিকিৎসকদের নিবিড় পর্যবেক্ষণে আছেন তারা।