বাংলা খবর ডেস্ক:
মানব উন্নয়ন সূচকে বাংলাদেশের অবস্থান দুই ধাপ এগোলেও ‘আত্মতুষ্টিতে’ না ভুগে উন্নতির ধারা অব্যাহত রাখার ওপর জোর দিয়েছেন পরিকল্পনামন্ত্রী এমএ মান্নান।
তিনি বলেন, মোটা দাগে জাতিসংঘ উন্নয়ন কর্মসূচির (ইউএনডিপি) সূচকে আমরা ভালো করেছি। তবে কিছু জায়গায় প্রত্যাশামাফিক ভালো করতে পারিনি। এটি দোষের কিছু না, সে ক্ষেত্রে আমাদের উন্নতি করতে হবে।
সোমবার এনইসি সম্মেলনকক্ষে ইউএনডিপির মানব উন্নয়ন শীর্ষক বার্ষিক প্রতিবেদনটির বাংলাদেশ অংশের মোড়ক উন্মোচন অনুষ্ঠানে পরিকল্পনামন্ত্রী এসব কথা বলেন। ইউএনডিপির জ্যেষ্ঠ অর্থনৈতিক উপদেষ্টা বালাজ হোবার্থ এবারের প্রতিবেদনের বিভিন্ন দিক তুলে ধরেন।
গত বছরের তথ্য-উপাত্ত বিশ্লেষণ করে ইউএনডিপি গত ১৫ ডিসেম্বর যে ‘মানব উন্নয়ন প্রতিবেদন-২০২০’ প্রকাশ করেছে, তাতে দেখা গেছে– এবার ১৮৯ দেশের মধ্যে বাংলাদেশ রয়েছে ১৩৩তম স্থানে। ২০১৮ সালে প্রতিবেদনে বাংলাদেশ ১৩৫তম অবস্থানে ছিল।
তার আগে ২০১৬, ২০১৭ ও ২০১৮ সালে বাংলাদেশের অবস্থান ছিল যথাক্রম ১৪২, ১৩৯ এবং ১৩৬তম স্থানে। অর্থাৎ ধীরগতিতে হলেও ধারাবাহিকভাবে উন্নতি করে যাচ্ছে বাংলাদেশ।
পরিকল্পনামন্ত্রী মান্নান বলেন, সার্বিকভাবে আমরা উন্নতি করেছি, তবে এটি যথেষ্ট নয়। আমাদের আত্মতুষ্ট না হয়ে বহির্মুখী হওয়ার প্রয়োজন রয়েছে।
কিছু ক্ষেত্রে নীতি সহায়তা দেয়ার প্রয়োজন রয়েছে মন্তব্য করে তিনি বলেন, সেই সহায়তা অবশ্যই সরকার দেবে।
সূচকে অগ্রগতির সঙ্গে বৈষম্য দূরীকরণে কার্যকর পদক্ষেপ নেয়া প্রয়োজন মন্তব্য করে ইউএনডিপির জ্যেষ্ঠ অর্থনৈতিক উপদেষ্টা বালাজ হোবার্থ বলেন, ২০১৯ সালের তথ্যানুযায়ী বাংলাদেশের ২৪ দশমিক ৬ শতাংশ মানুষ বহুমুখী দারিদ্র্যের শিকার (মাল্টিডাইমেনশনাল পুওর)। ১৮ দশমিক ২ শতাংশ বহুমুখী দারিদ্র্যের দিকে যাওয়ার ঝুঁকিতে রয়েছে। এতে নীতিনির্ধারকদের মনোযোগ দেয়া দরকার। তবে দারিদ্র্যের ক্ষেত্রে এটিও গত কয়েক দশক থেকে অনেক অগ্রগতি।
প্রসঙ্গত প্রতিটি দেশের স্বাস্থ্য, শিক্ষা, আয় ও সম্পদের উৎস, বৈষম্য, লৈঙ্গিক সমতা, দারিদ্র্য, কর্মসংস্থান, নিরাপত্তা, বাণিজ্য ও আর্থিক প্রবাহ, যোগাযোগ, পরিবেশের ভারসাম্য ও জনমিতির তথ্য বিশ্লেষণ করে এই মানব উন্নয়ন সূচক তৈরি করে ইউএনডিপি।
এসব মাণদণ্ডে এবার বাংলাদেশের এইচডিআই স্কোর দাঁড়িয়েছে শূন্য দশমিক ৬৩২, যা গতবার শূন্য দশমিক ৬১৪ ছিল।
গতবারের মতো এবারও সূচকে সবচেয়ে ভালো অবস্থানে রয়েছে নরওয়ে। ইউরোপের এ দেশটির এইচডিআই স্কোর শূন্য দশমিক ৯৫৪ থেকে বেড়ে শূন্য দশমিক ৯৫৭ হয়েছে।
