করোনায় একদিনে আরো ২০ জনের মৃত্যু

0
83

বাংলা খবর ডেস্ক:
গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে আরো ২০ জনের মৃত্যু হয়েছে। ফলে মোট মৃতের সংখ্যা ৭ হাজার ৩৯৮ জনে দাঁড়িয়েছে। এ ছাড়া নতুন রোগী শনাক্ত হয়েছে আরো ১ হাজার ১৬৩ জন। ফলে মোট আক্রান্তের ৫ লাখ ৭ হাজার ২৬৫ জন হয়েছে।

আজ শুক্রবার বিকালে সংবাদমাধ্যমে বিজ্ঞপ্তি পাঠিয়ে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের পক্ষ থেকে দেশে কভিড-১৯ পরিস্থিতির এই সবশেষ তথ্য জানানো হয়।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের তথ্য অনুযায়ী ২ হাজার ১১৩ জন রোগী সুস্থ হয়ে উঠেছেন গত এক দিনে। তাতে এ পর্যন্ত সুস্থ রোগীর মোট সংখ্যা বেড়ে ৪ লাখ ৪৮ হাজার ৮০৩ জন হয়েছে।

গণহারে করোনার টিকা দিচ্ছে তিন দেশ

ওদিকে যুক্তরাষ্ট্রের পর দক্ষিণ আমেরিকার তিন দেশ- মেক্সিকো, চিলি ও কোস্টারিকায় গণহারে করোনাভাইরাসের টিকা দেওয়া শুরু হয়েছে। গতকাল বৃহস্পতিবার দেশটিতে প্রথমবারের মতো এ টিকাদান কর্মসূচি শুরু হয়। লাতিন আমেরিকায় প্রথম করোনার টিকা নিয়েছেন মেক্সিকোর একজন নার্স।

মার্কিন ওষুধ প্রস্তুতকারী প্রতিষ্ঠান ফাইজার-বায়োএনটেকের টিকা দেওয়া হচ্ছে লাতিন আমেরিকার দেশ তিনটির জনগণকে। জার্মান জৈবপ্রযুক্তি প্রতিষ্ঠান বায়োএনটেকের সঙ্গে এ টিকা উদ্ভাবন করে ফাইজার।

গত বুধবার মেক্সিকোর কেনা যুক্তরাষ্ট্র-জার্মানির ফাইজার-বায়োএনটেকের ৩ কোটি ৪০ লাখ ডোজ টিকার প্রথম চালানের ৩ হাজার ডোজ বেলজিয়াম থেকে এসে পৌঁছায়। চালান এসে পৌঁছানোর দৃশ্য স্থানীয় গণমাধ্যমে সম্প্রচার করা হয়। একই দিন সকালে এক সংবাদ সম্মেলনে টিকা নিয়ে কথা বলেন প্রেসিডেন্ট আন্দ্রেজ ম্যানুয়েল লোপেজ আব্রাডোর।

মেক্সিকো বলেছে, করোনা মহামারি মোকাবিলার লড়াইয়ে সম্মুখসারিতে থাকা সব স্বাস্থ্যকর্মীকে আগামী মার্চের মধ্যে টিকা দিতে চায় সরকার। দেশটিতে এখন পর্যন্ত ১৩ লাখের বেশি মানুষ করোনায় আক্রান্ত হয়েছে। মারা গেছে অন্তত ১ লাখ ২০ হাজার।

আর্জেন্টিনাও আগামী কয়েক দিনের মধ্যে টিকাদান কর্মসূচি শুরু করবে। তবে দেশটি বেছে নিয়েছে রাশিয়ার টিকা। স্পুটনিক-ভি নামে টিকাটির ৩০ হাজার ডোজের প্রথম চালান বৃহস্পতিবার সকালে রাজধানী বুয়েন্স আয়ার্সে এসে পৌঁছায়।

বিশ্বজুড়ে মৃতের তালিকায় দ্বিতীয় ও লাতিন আমেরিকায় শীর্ষে থাকা ব্রাজিলে মাঝ ফেব্রুয়ারির আগে টিকা দেওয়া শুরু হচ্ছে না। দেশটির প্রেসিডেন্ট জাইর বলসোনারো জানান, টিকাদান কর্মসূচি নিয়ে তার পরিকল্পনা নেই।

শুরু থেকে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি বা হার্ড ইমিউনিটিতে বিশ্বাসী তিনি। বলসোনারো নিজেও করোনায় আক্রান্ত হয়েছিলেন। তিনি বিশ্বাস করেন, সুস্থ হয়ে যাওয়ার পর তার শরীরে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা তৈরি হয়েছে। ব্রাজিলে এখন পর্যন্ত দেড় লাখের কাছাকাছি মানুষ মারা গেছেন।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here