২০২০ তে ঘর ভেঙেছে যেসব তারকার

0
564

বাংলা খবর ডেস্ক:
চলতি বছর শোবিজের অনেক জনপ্রিয় তারকার সুখের সংসার ভেঙেছে। আবার অনেকেরই বিচ্ছেদ চূড়ান্ত না হলেও ঝুলে আছে। অনেকেই আবার স্বামী-সংসার কিংবা বউ ছেড়ে আলাদা থাকছেন। তারকাদের সম্পর্কের নানা গল্প নিয়ে এই আয়োজন-

স্বামীকে ডিভোর্স দিয়েছেন শাবনূর
২০০৮ সালে ‘বধূ তুমি কার’ ছবিতে কাজ করতে গিয়ে অনিক নামে এক নবাগত অভিনেতার সঙ্গে পরিচয় হয় ঢাকাই সিনেমার নন্দিত অভিনেত্রী শাবনূরের। পরিচয়ের সূত্রে প্রেম। ২০১১ সালের ৬ ডিসেম্বর অনিক মাহমুদ হৃদয়ের সঙ্গে আংটি বদল করেন শাবনূর। এরপর ২০১২ সালের ২৮ ডিসেম্বর তারা বিয়ে করেন। সেই সংসারে ২০১৩ সালের ২৯ ডিসেম্বর আইজান নিহান নামে এক পুত্র সন্তানের জন্ম হয়। কিন্তু সেই সংসার ভেঙে গেল আট বছরের মাথায়। ২০২০ সালের ২৬ জানুয়ারি বনিবনা না হওয়ায় অনিককে তালাক দেন শাবনূর। নায়িকার সই করা নোটিসটি অ্যাডভোকেট কাওসার আহমেদের মাধ্যমে গত ৪ ফেব্রুয়ারি অনিকের উত্তরা এবং গাজীপুরের বাসার ঠিকানায় পাঠানো হয়। শাবনূরের পাঠানো তালাক নোটিসের অনুলিপি তার স্বামী অনিকের এলাকার আইন ও সালিশ কেন্দ্রের চেয়ারম্যান এবং কাজি অফিস বরাবরও পাঠানো হয়। এ তালাক নোটিসে সাক্ষী রয়েছেন মো. নুরুল ইসলাম ও শামীম আহম্মদ নামে দুজন। আইনগতভাবে ৯০ দিন পর তাদের এ তালাক কার্যকর হয়ে গেছে।

পরীমণির বিয়ের মেয়াদ ছিল ৫ মাস
‘জানেন, আমরা তিন টাকায় বিয়ে করেছি! কিউট না? আমাদের বিয়ের দেনমোহর তিন টাকা’-এভাবেই হঠাৎ বিয়ের খবর জানিয়েছিলেন ঢালিউডের আলোচিত নায়িকা পরীমণি। কিন্তু সেই বিয়েটা পাঁচ মাসও টিকল না। চলতি বছরের ৯ মার্চ দিবাগত রাতে অভিনয়শিল্পী ও পরিচালক হৃদি হকের অফিসে কাজি ডেকে বিয়ে করেন পরীমণি। বর পরিচালক কামরুজ্জামান রনি। সে সময় পরীমণি গণমাধ্যমে বলেন, ‘অনেক হিসাবনিকাশ করে তো জীবনের পরিকল্পনা করাই যায়। কিন্তু জীবন চলে তার নিজস্ব পথে। জন্ম, মৃত্যু ও বিয়ে সবই আল্লাহর হাতে-এটা আমি খুবই মানি। আমার কাছে মানুষের প্রতি মানুষের বিশ্বাসও অনেক গুরুত্বপূর্ণ। এটার ওপর নির্ভর করে মানুষ জীবনকে এগিয়ে নিয়ে যায়।’ কিন্তু পরীর সেই সংসার এগুতে পারেনি। আগস্টে খবর আসে পরী আর রনির বিচ্ছেদ হয়ে গেছে। তবে সেসব নিয়ে প্রকাশ্যে মুখ খুলেননি পরীমণি। তিনি ব্যস্ত রয়েছেন বেশ কিছু সিনেমার শুটিং নিয়ে।

ভেঙেছে অপূর্বর সংসার
দীর্ঘ ৯ বছরের দাম্পত্য জীবন ছিল জনপ্রিয় অভিনেতা জিয়াউল ফারুক অপূর্ব ও তার স্ত্রী নাজিয়া হাসান অদিতির। ২০১১ সালে বিয়ে করেছিলেন তারা। শোবিজে তাদের আদর্শ দম্পতি হিসেবে দেখা হতো। ১৭ মে খবর পাওয়া যায় তাদের ডিভোর্স হয়ে গেছে। হঠাৎ পাওয়া সেই খবরে চমকে গিয়েছিলেন সবাই। ডিভোর্সের ব্যাপারটি নিজেরাই জানিয়েছেন অপূর্ব ও অদিতি। ১৭ মে রাতে এক ইংরেজি স্ট্যাটাসে অপূর্ব ডিভোর্সের কথা স্বীকার করে তার জন্য এবং সাবেক স্ত্রী অদিতি এবং তাদের সন্তানের জন্য দোয়া চান। সেখানে অপূর্ব লেখেন, ‘বেদনার সাথে আমি সবাইকে জানাচ্ছি যে নাজিয়া হাসান অদিতির সাথে আমার ৯ বছরের দুর্দান্ত যাত্রাটি অপ্রত্যাশিতভাবে থেমে গেল। আমরা এমনটা চাইনি। তবে আমাদের জীবন এখানে আমাদের এনে দাঁড় করিয়েছে। এত বছর ধরে আমরা একসাথে ছিলাম। সে সর্বদা দুর্দান্ত একজন সঙ্গী এবং সত্যিকারের শুভাকাক্সক্ষী ছিলেন। আমার অনেক সাফল্যের পেছনে মূল ভূমিকা পালন করেছে অদিতি। সে এক আশ্চর্য ব্যক্তি, একজন আত্মবিশ্বাসী উদ্যোক্তা এবং সর্বোপরি অত্যন্ত দয়ালু এবং মানবিক ব্যক্তি।’ সঙ্গত, অদিতি ছিলেন অপূর্বর দ্বিতীয় স্ত্রী। এর আগে অপূর্ব সংসার পেতেছিলেন অভিনেত্রী প্রভার সঙ্গে।

ভেঙে গেল শবনম ফারিয়ার সংসার
২০১৯ সালের ১ ফেব্রুয়ারি জমকালো আয়োজনের মাধ্যমে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হন অভিনেত্রী শবনম ফারিয়া ও বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে চাকরিজীবী হারুন অর রশীদ অপু। বিয়ের এক বছর যেতে না যেতেই সম্পর্ক শিথিল হতে শুরু করে তাদের। অনেক দিন আলাদা থাকেন দুজন। অবশেষে আনুষ্ঠানিকভাবে আলাদা হলেন তারা। গত ২৭ নভেম্বর তাদের বিচ্ছেদ হয়েছে। দুজনই তালাকনামায় সই করেছেন। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন অভিনেত্রী শবনম ফারিয়া নিজেই।

হুমকিতে ইমনের দ্বিতীয় সংসার
সংগীত পরিচালক শওকত আলী ইমন চলতি বছরের ফেব্রুয়ারি মাসে সংবাদ পাঠিকা হৃদিতা রেজার সঙ্গে গাঁটছড়া বেঁধেছেন তিনি।এ বিয়েতে দুই পরিবারের ঘনিষ্ঠজনরা উপস্থিত ছিলেন। কিন্তু বিয়ের চার মাস না পেরোতেই স্ত্রীকে মারধর করে বাসা থেকে বের করে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে শওকত আলী ইমনের বিরুদ্ধে। আর এই অভিযোগ করেন স্ত্রী হৃদিতা রেজা। এ নিয়ে অনেক জল ঘোলা হয়েছে। তাদের সংসার রয়েছে ভাঙনের হুমকিতে।

দ্বিতীয় সংসারও টিকল না মুনমুনের
ঢাকাই সিনেমার চিত্রনায়িকা মুনমুনের দ্বিতীয় সংসার ভেঙে গেছে। তার দ্বিতীয় স্বামী মীর মোশাররফকে তিনি চলতি বছরের আগস্টে ডিভোর্স দিয়েছেন। দশ বছর আগে প্রেম করে বিয়ে করেছিলেন তারা। খোঁজ নিতে গেলে বেশ সুখী দম্পতি হিসেবেই তাদের নাম শোনা যেত। নানা অনুষ্ঠানে স্বামীকে নিয়ে আসতেন মুনমুন। পরিচয় করিয়ে দিয়েছেন সিনেমার মানুষদের সঙ্গে। দুটি সন্তানও রয়েছে। বোঝা যেত সংসারের প্রতি বেশ মনোযোগী চিত্রনায়িকা মুনমুন। সেই সংসার টিকল না। স্বামী মীর মোশাররফ হোসেন রোবেনের নির্যাতন ও স্বার্থপরতার শিকার হয়ে তাকে তালাক দিয়েছেন ‘রানি কেন ডাকাত’খ্যাত এ নায়িকা। চলতি বছরের কোরবানি ঈদের পরদিন ২ আগস্ট তালাক কার্যকর হয়েছে বলে গণমাধ্যমকে জানান মুনমুন। এর আগে নায়িকা মুনমুন ২০০৩ সালে সিলেটের একজন ব্যবসায়ীকে বিয়ে করেন। সিনেমায় অনিয়মিত হওয়ার পর স্বামীর সঙ্গে যুক্তরাজ্যে চলে যান। ২০০৬ সালে সেই সংসার ভেঙে যায় মুনমুনের। এরপর দেশে ফিরে আসেন। যোগ দেন যাত্রা ও স্টেজ শোতে। সেখানে কাজ করতে গিয়ে পরিচয় হয় দ্বিতীয় স্বামী রোবেনের সঙ্গে।

তমা মির্জার সংসারে অশান্তি
প্রকাশ্যে তাদের বেশ ‘রোমান্টিক কাপল’ হিসেবেই দেখা যেত। তবে গত ৬ ডিসেম্বর রাজধানীর বাড্ডা থানায় চিত্রনায়িকা তমা মির্জার বিরুদ্ধে স্বামী হিশাম চিশতি হত্যাচেষ্টার মামলা করার খবরটি প্রকাশ হতেই জানা গেল ঘটনা ভিন্ন। নায়িকা তমার সংসারে ভাঙনের সুর বাজছে। হিশাম তার করা মামলায় তমা মির্জাকে এক নম্বর আসামি করা হয়েছে। এ ছাড়া তার বাবা-মা, ভাই এবং অজ্ঞাতপরিচয় একজনকেও আসামি করা হয়েছে। হিশাম চিশতি জানিয়েছেন, তিনি নানা কারণে তমা ও তার পরিবারের ওপর বিরক্ত হয়ে বিচ্ছেদ চাইছেন অনেকদিন ধরেই।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here