বাইডেনের প্রথম দিনই এক ডজন নির্বাহী আদেশ

0
102

বাংলা খবর ডেস্ক:
প্রেসিডেন্ট হিসেবে প্রথম কর্মদিবসেই ডজনখানেক নির্বাহী আদেশে সই করবেন জো বাইডেন। এসবের মধ্যে থাকবে প্যারিস জলবায়ু চুক্তিতে যুক্তরাষ্ট্রের পুনরায় যোগ দেওয়ার আদেশও। এ ছাড়া ডোনাল্ড ট্রাম্প কয়েকটি মুসলিম দেশের নাগরিকদের যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশে যে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছিলেন, প্রথম কর্মদিবসে তা-ও বাতিল করবেন বাইডেন।

এদিকে বাইডেনের শপথের আগে ট্রাম্পপন্থীরা সশস্ত্র বিক্ষোভ করতে পারেন—এফবিআইয়ের এমন আশঙ্কার পরিপ্রেক্ষিতে যুক্তরাষ্ট্রের সব অঙ্গরাজ্যে সতর্কতা জারি করা হয়েছে। এর মধ্যে গত শুক্রবার রাতে ওয়াশিংটনে আগ্নেয়াস্ত্র এবং অর্ধশতাধিক গুলিসহ এক ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। আগামী বুধবার যে জায়গায় বাইডেনের শপথ অনুষ্ঠান হবে, তিনি ওই এলাকায় যাওয়ার চেষ্টা করেছিলেন। পুলিশ তাঁর বিরুদ্ধে অস্ত্র আইনে মামলা করেছে। গ্রেপ্তারের পর ভার্জিনিয়া এলাকার ওয়েসলি বিলার নামের ওই বাসিন্দা আদালতে জানান, তিনি ক্যাপিটলের পার্শ্ববর্তী এলাকায় একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে নিরাপত্তাকর্মী হিসেবে কাজ করেন। ভুল করে তিনি গাড়িতে আগ্নেয়াস্ত্র রেখে দিয়েছিলেন। ওয়াশিংটনের আদালত জামিন দিলেও ওই ব্যক্তিকে ওয়াশিংটনের বাইরে থাকার আদেশ দিয়েছেন।

বাইডেনের চিফ অব স্টাফ হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন রন ক্লেইন। বাইডেনের প্রশাসনে যাঁরা হোয়াইট হাউসের শীর্ষ পদে থাকবেন, সম্প্রতি তাঁদেরকে একটি স্মারকলিপি পাঠিয়েছেন ক্লেইন। সেখানে তিনি লিখেছেন, জো বাইডেন প্রথম কর্মদিবসেই প্রায় এক ডজন নির্বাহী আদেশে সই করবেন। করোনা মহামারি, যুক্তরাষ্ট্রের অর্থনীতি, জলবায়ু পরিবর্তন ও বর্ণ বৈষম্য বিষয়ে এসব আদেশ দেবেন তিনি। স্মারকলিপিতে ক্লেইন বলেন, ‘এই চারটি ইস্যুতে প্রথম কর্মদিবসেই কার্যকরী পদক্ষেপ নেবেন নবনির্বাচিত প্রেসিডেন্ট। তিনি এসব বিষয় কেবল সমাধানের চেষ্টা করবেন না, একই সঙ্গে বিশ্ব দরবারে যুক্তরাষ্ট্রের ভাবমূর্তি পুনঃপ্রতিষ্ঠা করবেন।’

নির্বাচনী প্রচারের সময় বাইডেন প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন, তিনি বিজয়ী হলে যুক্তরাষ্ট্র আবারও প্যারিস জলবায়ু চুক্তিতে ফিরে যাবে। ক্লেইনের ভাষ্য অনুযায়ী, প্রথম কর্মদিবসেই সেই প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়ন করতে যাচ্ছেন বাইডেন।

ক্ষমতায় আসার পরই সাতটি মুসলিম প্রধান দেশের নাগরিকদের যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশ বন্ধ করে দেন বর্তমান প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। পরে এই তালিকা তিনি আরো দীর্ঘ করেন। বর্তমানে ১৩টি দেশের নাগরিকদের যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশের ক্ষেত্রে নানা বিধিনিষেধ রয়েছে। ক্লেইন জানিয়েছেন, দায়িত্বের প্রথম দিনই সাত মুসলিম দেশের নাগরিকদের যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশের নিষেধাজ্ঞা বাইডেন বাতিল করে দেবেন।

বিশ্লেষকরা বলছেন, দায়িত্ব নেওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই বাইডেনকে অনেকগুলো চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করতে হবে। সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ হলো করোনা মহামারি। করোনায় যুক্তরাষ্ট্রে মৃতের সংখ্যা দ্রুতগতিতে চার লাখের দিকে অগ্রসর হচ্ছে। দৈনিক শনাক্ত রোগীর সংখ্যা প্রায় দেড় লাখ।

কর্মসংস্থান সৃষ্টি করা বাইডেনের জন্য আরেকটি বড় চ্যালেঞ্জ। কারণ, মহামারির কারণে যুক্তরাষ্ট্রে বেকার মানুষের সংখ্যা প্রায় এক কোটি বেড়ে গেছে। এ ছাড়া ট্রাম্পের কয়েক কোটি সমর্থক বাইডেনকে নতুন প্রেসিডেন্ট হিসেবে মেনে নিতে রাজি নন। এই বিষয়টিও বাইডেনের জন্য একটা বাড়তি চাপ বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা। সূত্র : এএফপি।

শেষ কর্মদিবসেও শতাধিক অপরাধীকে সাধারণ ক্ষমা ট্রাম্পের:

যুক্তরাষ্ট্রের বিদায়ী প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প মঙ্গলবার তার শেষ কর্মদিবসেও শতাধিক সাধারণ ক্ষমার আদেশে সই করার প্রস্তুতি নিচ্ছেন।

রোববার হোয়াইট হাউসের বিশেষ এক সভায় প্রেসিডেন্টের সাধারণ ক্ষমা পাওয়ার জন্য ওই তালিকা চূড়ান্ত করা হয়। খবর সিএনএনের।

এর মধ্যে দণ্ড মওকুফ, বিচার থেকে দায়মুক্তি এবং দণ্ড কমানোর আদেশ রয়েছে। প্রেসিডেন্ট হিসেবে ডোনাল্ড ট্রাম্প এ পর্যন্ত ৯৪ জন সাজাপ্রাপ্ত ব্যক্তির মুক্তি ও সাজা কমিয়ে দিয়েছেন।

রোববার হোয়াইট হাউসের বিশেষ এক সভায় প্রেসিডেন্টের সাধারণ ক্ষমা পাওয়ার জন্য আরও শতাধিক ব্যক্তির তালিকা চূড়ান্ত করা হয়।

১৯ জানুয়ারি প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের শেষ পূর্ণ কর্মদিবস। ২০ জানুয়ারি দুপুরে নতুন প্রেসিডেন্ট হিসেবে শপথ নেওয়ার আগপর্যন্ত তিনি সাধারণ ক্ষমাপত্রে সই করতে পারবেন।

বিভিন্ন গণমাধ্যমের খবরে বলা হয়েছে– গতকাল দিনভর হোয়াইট হাউসে তালিকা হালনাগাদ করা হয়েছে। প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প যেমন তার নিজস্ব লোকজনকে সাধারণ ক্ষমা প্রদান করবেন, কাউকে কাউকে অপরাধ থেকে আগাম মুক্তিও দেবেন। এ ক্ষেত্রে মার্কিন সংবিধানে প্রেসিডেন্টকে অবারিত ক্ষমতা দেওয়া হয়েছে।

নিউইয়র্ক টাইমস এ–সংক্রান্ত প্রতিবেদনে বলেছে– হাজার হাজার ডলারের বিনিময়ে লবিস্ট নিয়োগ করেও প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের সাধারণ ক্ষমার তালিকায় নাম ঢোকানোর তদবির চলছে শেষ মুহূর্তে।

৩ নভেম্বর নির্বাচনে হেরে যাওয়ার পর থেকেই ডোনাল্ড ট্রাম্প তার নিজস্ব লোকজনকে সাধারণ ক্ষমা ঘোষণা শুরু করেছেন। ৬ জানুয়ারি ক্যাপিটল হিলে হামলার ঘটনার পর ট্রাম্পের সাধারণ ক্ষমা ঘোষণা থেমে যায়।

এখন ট্রাম্পের হাতে আর সময় নেই। তার পরিবারের লোকজন, রাজনৈতিক সহযোগী, আইনজীবী রুডি জুলিয়ানিসহ অনেককেই আগাম সাধারণ ক্ষমা বা বিচারপ্রক্রিয়া থেকে মুক্তি দেওয়ার নির্দেশনায় তিনি সই করবেন বলে মনে করা হচ্ছে।

আজ পদত্যাগ করছেন কমালা হ্যারিস:

যুক্তরাষ্ট্রের ইতিহাসে এক ইতিহাসের নাম কমালা হ্যারিস। তিনিই এ যাবতকালের ইতিহাসে প্রথম নারী ভাইস প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত। আগামী বুধবার প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত জো বাইডেনের সঙ্গে তার শপথ নেয়ার কথা। এ জন্য আজ সোমবার তিনি নিজের সিনেট আসন থেকে পদত্যাগ করছেন। এ খবর দিয়েছে অনলাইন মাইক্রোসফ নিউজ। এতে বলা হয়, কমালা হ্যারিস একাধারে একজন বর্ষীয়ান অধিকারকর্মী, একজন আইনজীবী এবং একজন রাজনীতিক। সেই সঙ্গে তার নামের সঙ্গে যুক্ত হয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের প্রথম নারী ভাইস প্রেসিডেন্ট পদবী। তিনিই প্রথম কৃষ্ণাঙ্গ নারী, প্রথম এশিয়ান বংশোদ্ভূত মার্কিন নারী- যিনি যুক্তরাষ্ট্রের ভাইস প্রেসিডেন্ট হতে চলেছেন।

ক্যালিফোর্নিয়ার একজন জুনিয়র সিনেটর নির্বাচিত হওয়ার চার বছর পরে সোমবার তিনি সেই আসন থেকে পদত্যাগ করছেন। তার সহকর্মীরা বলেছেন, এরই মধ্যে তিনি আনুষ্ঠানিক কর্মকা- শুরু করেছেন। নোটিশ পাঠিয়েছেন ক্যালিফোর্নিয়ার গভর্নর ও দীর্ঘদিনের মিত্র গাভিন নিউসমকে। তাকে তার উদ্দেশ্য সম্পর্কে জানিয়ে দিয়েছেন কমালা। নিউসম বলেছেন, কমালা হ্যারিসের শূন্য আসনে তিনি ক্যানিফোর্নিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যালেক্স পাদিল্লার নাম ঘোষণা করবেন। কড়া সশস্ত্র প্রহরায় আগামী বুধবার ক্যাপিটল হিলের উন্মুক্ত প্রাঙ্গণে প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত জো বাইডেনের সঙ্গে তিনিও শপথ নেবেন। কমালা হ্যারিসকে শপথ পড়াবেন সুপ্রিম কোর্টের বিচারক সোনিয়া সোতামায়োর। সুপ্রিম কোর্টে তিনি প্রথম অশ্বেতাঙ্গ বিচারক। অনুষ্ঠানে কমালা হ্যারিস দুটি বাইবেল ব্যবহার করবেন। একটি উৎসর্গিত থাকবে দীর্ঘদিন তার লড়াইয়ের হিরো, সুপ্রিম কোর্টের সাবেক বিচারক থারগুড মার্শালকে উদ্দেশ্য করে। অন্যটি পারিবারিক বন্ধু রেজিনা শেলটনকে উদ্দেশ্য করে। কমালা হ্যারিসকে তার শৈশবে মায়ের আদর দিয়ে বড় করে তুলেছেন রেজিনা শেলটন। তাকে তিনি দ্বিতীয় মা হিসেবে অভিহিত করে থাকেন।

ট্রাম্প সমর্থকদের সশস্ত্র মহড়ায় সমাবেশ:

কথা রাখছেন মার্কিন বিদায়ী প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের উগ্র সমর্থকরা। বড় আকারে সমাবেশের আয়োজন না করতে পারলেও ওহাইও অঙ্গরাজ্য থেকে ওয়াশিংটন পর্যন্ত স্বল্প আকারে সমাবেশ করেছে ট্রাম্পের সমর্থকেরা।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ট্রাম্প সমর্থকরা দেশটির স্থানীয় সময় রবিবার কড়া নিরাপত্তার মধ্যেই যুক্তরাষ্ট্রের বেশ কয়েকটি নগরীতে সশস্ত্র মহড়া দিয়েছে।

জানা যায়, ২৫ জন বন্দুকধারী গতকাল দুপুরে ওহাইও অঙ্গরাজ্যের কলম্বাস নগরীতে স্টেট হাউসের সামনে সমাবেশ করে।

এছাড়া টেক্সাস, অরাগন ও মিশিগানের রাজধানীতে ট্রাম্প সমর্থকদের সমাবেশ ঘটে। তবে কড়া নিরাপত্তা নেওয়ার কারণে কোথাও কোনো বিপত্তিকর ঘটনা ঘটেনি।

তবে সমাবেশে অংশগ্রহণকারীরা জানিয়েছেন, এই সমাবেশের সঙ্গে ট্রাম্পের কোনো সম্পর্ক নেই। যুক্তরাষ্ট্রের ব্যক্তিগত স্বাধীনতার জন্য তাদের এই সমাবেশ।

আগামী ২০ জানুয়ারি জো বাইডেনের শপথ অনুষ্ঠানকে কেন্দ্র করে যুক্তরাষ্ট্রজুড়ে কড়া সতর্কতা নেওয়া হয়েছে। দেশটির ৫০টি রাজ্যের রাজধানীতে ট্রাম্প সমর্থকদের সশস্ত্র বিক্ষোভ হওয়ার শঙ্কায় মোতায়েন করা হয়েছে বাড়তি নিরাপত্তা রক্ষী।

পেলোসির কম্পিউটার রাশিয়ার কাছে বিক্রির পরিকল্পনা!

যুক্তরাষ্ট্রের ক্যাপিটল হিলে নারকীয় হামলার সময় প্রতিনিধি পরিষদের স্পিকার ন্যান্সি পেলোসির অফিস থেকে একটি ল্যাপটপ চুরি করেছেন সম্ভবত একজন নারী। ল্যাপটপ চুরির এ খবর পুরনো। কিন্তু কেন এই ল্যাপটপ চুরি করা হয়েছে? এর উত্তর- ওই ল্যাপটপটি রাশিয়ার কাছে বিক্রি করে দেয়ার লক্ষ্য নির্ধারণ হয়েছিল বলে মনে করা হচ্ছে। যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে রাশিয়া কানেকশন নিয়ে তার ক্ষমতা গ্রহণের প্রথম থেকেই আলোচনা। এ আলোচনা, বিতর্কের কারণে ট্রাম্প প্রশাসনের অনেক বাঘা বাঘা কর্মকর্তাকে কতল হতে হয়েছে। কিন্তু ধরাছোঁয়ার বাইরে থেকে গেছেন ট্রাম্প। এখন আবার ন্যান্সি পেলোসির অফিস থেকে লুট করে নেয়া ল্যাপটপ রাশিয়ার কাছে বিক্রি করে দেয়ার সম্ভাব্যতা নিয়ে তিক্ত বিতর্ক সৃষ্টি হয়েছে। এ খবর দিয়েছে অনলাইন সিএনএন।

এতে বলা হয়েছে, এক নারীর বিরুদ্ধে নতুন করে ফৌজদারি মামলা হয়েছে মার্কিন আদালতে। ওই অভিযোগে বলা হয়েছে, ওই নারী পেলোসির অফিসের লুট করা ল্যাপটপ রাশিয়ার কাছে বিক্রি করে দেয়ার চেষ্টা করেছেন। এমনটা নোট দিয়েছে গোয়েন্দা সংস্থা এফবিআই। এফবিআই আদালতে বলেছে, তারা এখনও বিষয়টি নিয়ে তদন্ত করছে। এ মামলায় এক ব্যক্তি বলেছেন, ওই নারীর নাম রিলে জুন উইলিয়ামস। তিনি পেনসিলভ্যানিয়ার। তার সঙ্গে উইলিয়ামসের রোমান্টিক সম্পর্ক ছিল এক সময়। তিনিই ক্যাপিটল ভবনে হামলা চালানোর ভিডিওতে উইলিয়ামসকে শনাক্ত করেছেন। এ অভিযোগে উইলিয়ামসকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে রোববার। মামলায় বলা হয়েছে উইলিয়ামসকে পেলোসির অফিস থেকে একটি ল্যাপটপ অথবা হার্ডড্রাইভ নিয়ে যেতে দেখা গেছে ভিডিওতে। তিনি ওই কম্পিউটার ডিভাইস রাশিয়ায় অবস্থানরত তার এক বন্ধুর কাছে পাঠাতে চেয়েছিলেন। তার ওই বন্ধু তখন ওই ডিভাইসটি রাশিয়ার পররাষ্ট্র বিষয়ক গোয়েন্দা সংস্থা এসভিআরের কাছে বিক্রি করে দেয়ার পরিকল্পনা করেছিলেন। অজ্ঞাত কারণে, এটা রাশিয়ার হাতে তুলে দেয়ার পরিকল্পনা করেছিল তারা। ওই ব্যক্তি আরো বলেছেন, এখনও উইলিয়ামসের কাছে ওই কম্পিউটার ডিভাইস আছে অথবা তিনি তা ধ্বংস করে ফেলেছেন। তবে উইলিয়ামসের বিরুদ্ধে এখনও কোনো চুরির অভিযোগ আনা হয়নি। তার বিরুদ্ধে শুধু ক্যাপিটল ভবনে প্রবেশ এবং সেখানে বিশৃংখলা সৃষ্টির অভিযোগ আনা হয়েছে।

কমলা হ্যারিসের স্বামী পাচ্ছেন ‘সেকেন্ড জেন্টলম্যান’ টুইটার অ্যাকাউন্ট:

ওদিকে ২০ জানুয়ারির পর থেকে টুইটারে সরকারিভাবে আমেরিকার সেকেন্ড জেন্টলম্যান হিসাবে পরিচিত হতে চলেছেন নবনির্বাচিত মার্কিন ভাইস প্রেসিডেন্ট কমলা হ্যারিসের স্বামী ডগলাস এমহফ।

ইতিহাসে এমন ঘটনা প্রথম। কমলা প্রথম মহিলা ভাইস প্রেসিডেন্ট হিসাবে ইতিহাস তৈরি করেছেন। এবার তার স্বামীও ঢুকে পড়লেন ইতিহাসের পাতায়। খবর বিবিসির।

কমলা হ্যারিসের স্বামী ডগলাস এমহফ পেশায় আইনজীবী। প্রথমবারের জন্য তিনি একটি অফিসিয়াল টুইটার অ্যাকাউন্ট পেতে চলেছেন।

এখন পর্যন্ত এমহফের নতুন টুইটার অ্যাকাউন্টে চার লাখ ৮০ হাজার ফলোয়ার আছে। ভবিষ্যতে সেই সংখ্যাটা আরও দ্রুত বাড়বে বলেই মনে করা হচ্ছে।

একটি মাইক্রোব্লগিং সাইট চালান এনহফ। সেখানে তার পরিচয়ে লেখা, ‘ভবিষ্যতের সেকেন্ড জেন্টলম্যান, দায়িত্ববান পিতা ও আমেরিকার ভাইস প্রেসিডেন্টের গর্বিত স্বামী।’

৪৬তম মার্কিন প্রেসিডেন্ট হিসাবে জো বাইডেন শপথ নেবেন ২০ জানুয়ারি। সেই সময়ে একাধিক সোশ্যাল মিডিয়া অ্যাকাউন্ট আমেরিকার নতুন প্রশাসনের হাতে তুলে দেওয়া হবে।

বাইডেন কয়েক দিন আগেই টুইট করে জানিয়েছেন, তার প্রেসিডেন্ট ইলেক্ট বাইডেন অ্যাকাউন্টটি একেবারে প্রেসিডেন্টের অ্যাকাউন্টে পরিবর্তিত হয়ে যাবে।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here