পি কে হালদারের মাসহ ২৫ জনের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা স্থগিতে আপিল

0
96

বাংলা খবর ডেস্ক:
প্রায় তিন হাজার কোটি টাকা মেরে বিদেশে পালিয়ে যাওয়া এনআরবি গ্লোবাল ব্যাংক ও রিলায়েন্স ফাইন্যান্স লিমিটেডের সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) প্রশান্ত কুমার (পি কে) হালদারের মা লীলাবতী হালদারসহ ২৫ জনের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞায় হাইকোর্টের দেওয়া আদেশ স্থগিত চেয়ে আপিল আবেদন করা হয়েছে।

সাবেক শিক্ষাসচিব ও পিপলস লিজিং-এর চেয়ারম্যান নজরুল ইসলাম (এনআই) খান এই আপিল আবেদন করেছন। রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল এ কে এম আমিন উদ্দিন মানিক আজ বৃহস্পতিবার (২১ জানুয়ারি) বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

গত ৫ জানুয়ারি পি কে হালদারের মা লীলাবতী হালদারসহ ২৫ জনের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা দেন হাইকোর্ট। প্রয়াত সাবেক প্রধান বিচারপতি মোস্তফা কামালের মেয়ে ড. নাশিদ কামালসহ পাঁচজন বিনিয়োগকারীর করা আবেদনে আদালত ওই আদেশ দেন। ওই ২৫ জন যাতে দেশ থেকে পালাতে না পারেন বা দেশত্যাগ করতে না পারেন, সে জন্য অগ্রাধিকার ভিত্তিতে ব্যবস্থা নিতে স্বরাষ্ট্রসচিবকে নির্দেশ দেওয়া হয়।

আদেশের সময় আদালত বলেন, ‘শত শত কোটি টাকা বিদেশে পাচার হচ্ছে। বাংলাদেশ ব্যাংক কী করছে? তারা (বাংলাদেশ ব্যাংক) কিছু করছে না কেন? তারা শুধু ওখানে (অফিসে) বসে থাকবেন, কিছু করবেন না তা তো হয় না। এই অর্থপাচারের দায় তারা এড়াতে পারে না।’

হাইকোর্ট যাঁদের দেশত্যাগের ওপর নিষেধাজ্ঞা দেন তাঁরা হলেন বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক ডেপুটি গভর্নর এস কে সুর চৌধুরী, হারুনুর রশিদ (ফাস ফাইন্যান্স), পি কে হালদারের মা লীলাবতী হালদার, বন্ধু উজ্জ্বল কুমার নন্দী, সামি হুদা, পি কে হালদারের চাচাতো ভাই অমিতাভ অধিকারী, অবন্তিকা বড়াল, শামীমা (আইএলএফএসএল), রুনাই (আইএলএফএসএল), সাবেক সচিব ইন্টারন্যাশনাল লিজিংয়ের চেয়ারম্যান এন আই খান, আয়কর আইনজীবী সুকুমার মৃধা, অনিন্দিতা মৃধা, তপন দে, স্বপন কুমার মিস্ত্রি, অভিজিৎ চৌধুরী, রাজিব সোম, ব্যাংক এশিয়ার সাবেক পরিচালক ইরফান উদ্দিন আহমেদ, অঙ্গন মোহন রায়, নঙ্গ চৌ মং, নিজামুল আহসান, মানিক লাল সমাদ্দার, সোহেল সামস, মাহবুব মুসা, এ কিও সিদ্দিকী ও মোয়াজ্জেম হোসেন।

এর আগে হাইকোর্ট গত বছর ১৯ জানুয়ারি যে ২০ জনের দেশত্যাগের ওপর নিষেধাজ্ঞা দিয়েছিলেন, তাঁদের মধ্যে লীলাবতী হালদার, অভিজিৎ চৌধুরী, অমিতাভ অধিকারী, উজ্জ্বল কুমার নন্দী ও ইরফান উদ্দিন আহমেদের নামও ছিল।

গত ৩ জানুয়ারি ড. নাশিদ কামালসহ চার ভুক্তভোগী বক্তব্য দিয়ে আদালতের কাছে প্রতিকার চান। এ সময় আদালত তাঁদের লিখিতভাবে জানাতে বলেন। এরই ধারাবাহিকতায় গত ৫ জানুয়ারি পাঁচ বিনিয়োগকারী ড. নাশিদ কামাল, খেতাবপ্রাপ্ত মুক্তিযোদ্ধা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শারীরিক শিক্ষাকেন্দ্রের সাবেক পরিচালক শওকত উর রহমান, গৃহবধূ সামিয়া বিনতে মাহবুব, মো. তরিকুল ইসলাম এবং সাবেক রাষ্ট্রদূত রাজিউল হাসান আদালতে লিখিত আবেদন দাখিল করেন। এরপর আদালত আদেশ দেন।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here