উইন্ডিজের বিপক্ষে টানা তৃতীয় সিরিজ জয়ের হাতছানি

0
82

বাংলা খবর ডেস্ক:
তামিম ইকবালের নেতৃত্বে ২০১৯ এ শ্রীলঙ্কায় ওয়ানডে সিরিজে হোয়াটওয়াশ হয় বাংলাদেশ দল। অবশ্য সেই সিরিজে তিনি ছিলেন ভারপ্রাপ্ত অধিনায়ক। আনুষ্ঠানিকভাবে অধিনায়ক হওয়ার পর নিজের প্রথম মিশনে সিরিজ জয়ের হাতছানি তার সামনে। আজ মিরপুর শেরেবাংলা মাঠে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে দ্বিতীয় ম্যাচেই হতে পারে সিরিজের ফয়সালা। জিতলেই সিরিজ জয় নিশ্চিত হবে টাইগারদের। আর সেটা হবে ক্যারিবীয়দের বিপক্ষে ওয়ানডেতে টানা সপ্তম জয়। চলতি সিরিজের প্রথম ম্যাচে ৬ উইকেটে জিতে ১-০ তে এগিয়ে আছে টাইগাররা। বাংলাদেশের সামনে ক্যারিবীয়দের বিপক্ষে টানা তিন সিরিজ জয়ের সুযোগ।
করোনা বিরতি ভেঙে ১০ মাস পর মাঠে ফিরে জয় দিয়ে শুরু করেছে স্বাগতিকরা। প্রথম ম্যাচে বোলারদের দাপটে পেয়েছে জয়। যেখানে ১২২ রান তাড়া করতে নেমে ব্যাটসম্যানদের বেশ নড়বড়েই মনে হয়েছে। অন্যদিকে নিষেধাজ্ঞা কাটিয়ে প্রত্যাবর্তনের ম্যাচে মাত্র ৮ রান খরচ করে ৪ উইকেট নিয়েছেন সাকিব আল হাসান। তাকে দারুণ সঙ্গ দিয়েছেন পেসার মোস্তাফিজুর রহমান ও অভিষিক্ত হাসান মাহমুদ। তবে তারকাহীন ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে এমন জয় প্রত্যাশিতই ধরা হচ্ছে। যদিও সাকিব মনে করেন জয় সহজ হয়নি, হবেও না। সেই সঙ্গে উইকেটকেও দুষেছেন বাংলাদেশের বিশ্বসেরা অলরাউন্ডার। তিনি বলেন, ‘আাজকের (বুধবার) উইকেট কঠিন ছিল। হয়তো অভিজ্ঞতার কারণে বেটার ক্রিকেট খেলেছি। বাট তার মানে এই না যে আমরা সামনের দুই ম্যাচ আরামে জিতে যাবো। আমাদের হার্ড ওয়ার্ক করতে হবে।’
১৯৯৯ থেকে বাংলাদেশ ওয়ানডের দ্বিপাক্ষিক সিরিজ খেলতে শুরু করেছে। এখন পর্যন্ত ৭৩ সিরিজে জয় মিলেছে ২৫টিতে। ২০০৬ থেকে ২০১০ পর্যন্ত টানা ৫ সিরিজ জয়ের রেকর্ড আছে একবারই জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে। এছাড়া ২০১৪ থেকে ২০১০ পর্যন্ত তাদের বিপক্ষেই আছে টানা ৪ সিরিজ জয়ের রেকর্ড। এবার ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে টানা তিন সিরিজ জয়ের হাতছানি টাইগারদের। দেশের মাটিতে ৪০ সিরিজ খেলে জয় এসেছে ২০টিতে। সবশেষ ২০১৪ থেকে ২০১৬ পর্যন্ত দেশের মাটিতে টানা ৬ সিরিজে জয়ের কৃতিত্ব বাংলাদেশ দলের। অন্যদিকে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে ৯টি ওয়ানডে সিরিজে মুখোমুখি হয়েছে স্বগতিকরা। সেখানে হেরেছে ৫ হার আর ৪টিতে জয়। ২০০৯ এ তাদের মাটিতে প্রথম সিরিজ জিতেছিল বাংলাদেশ। সবশেষ ২০১৮ হোম ও অ্যাওয়ে সিরিজে জিতেছে দুটিতে। সফরকারী ওয়েস্ট ইন্ডিজকে দুর্বল দল ভাবতে নারাজ সাকিব। তিনি বলেন, ‘আমরা আন্তর্জাতিক ম্যাচ খেলছি। হ্যাঁ, ওদের ৬-৭ জন মূল খেলোয়াড় নেই। আর ওদের মূল দল যেটা আমরা বলছি সেটাকে আমরা বিশ্বকাপে হারিয়ে এসেছি। আবার ওদের দেশেও হারিয়েছি। ওদের সেরা টিমটা ভালো করতে পারছে না বলেই হয়তো এই টিম পাঠিয়ে দিয়েছে। যেন বেটার রেজাল্ট করতে পারে। আপনাদের চিন্তাধারা সম্পূর্ণ ভুল। ওরা সব সময় বেটার। আমরা সব সময় ওদের রেসপেক্ট করি।’
প্রথম ম্যাচে বল হাতে সফল সাকিব, মোস্তাফিজ ও হাসান মাহমুদ। তাই আজ তাদের দলে থাকা নিশ্চিত বলা যায়। অন্যদিকে পেসার রুবেল হোসেন ৬ ওভারে ৩৪ রান খরচ করে থেকেছেন উইকেটশূন্য। তার চেয়ে এক ওভার বেশি বল করে স্পিনার মেহেদী হাসান মিরাজের শিকার এক উইকেট। ধারণা করা হচ্ছে তাদের মধ্য থেকে একজন বাদ পড়তে পারেন আজ। যদিও দলীয় সূত্রে জানা গেছে আজ সকালে উইকেট দেখেই সিদ্বান্ত হবে। যেমনটি হয়েছিল প্রথম ম্যাচে। দ্বিতীয় ম্যাচে মিরাজের পরিবর্তে শেখ মেহেদী হাসানের অভিষেকের সম্ভাবনা রয়েছে। আর রুবেল হোসেনকে বাদ দিলে দলে দেখা যেতে পারে মোহাম্মদ সাইফুদ্দিন কিংবা তাসকিন আহমেদকে। এছাড়াও দলের একটি সূত্র জানায়, প্রথম ম্যাচে উইকেট খারাপ থাকায় ব্যাটম্যানদের কাঠগড়ায় দাঁড় করাতে চান না তারা। সূত্র জানায়, ‘আসলে উইকেটটা ভীষণ কঠিন ছিল। তার ওপর কুয়াশা ও বৃষ্টি উইকেটে দারুণ প্রভাব ফেলেছে। কাল (আজ) আমরা দল সাজাবো উইকেট দেখেই। কারণ আমাদের ধারণা আবহাওয়া বড় প্রভাব ফেলবে এই ম্যাচেও।’

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here