আজ বসন্ত, ভালোবাসার দিন

0
104

বাংলা খবর ডেস্ক:
আজ বসন্ত, আজ ভালোবাসার দিন। পহেলা ফাল্গুন আর ভালোবাসা দিবসে বাহারি সাজে সেজে ওঠে প্রকৃতি ও মানুষ। আর বসন্ত-ভালোবাসার যখন মিশেল হয়, তখন এটি পরিণত হয় মহৌৎসবে। করোনার প্রভাব থাকলেও সংস্কৃতিমনা নানা বয়সী শ্রেণী-পেশার মানুষ মেতে উঠেছে এ উৎসবে। বাঙালির মনে চলছে বসন্ত আর ভালোবাসা নিয়ে উৎসব-উদ্দীপনা।

রোববার (১৪ ডিসেম্বর) বিশ্ব ভালোবাসা দিবস উপলক্ষে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস যেন বরাবরের মতই পরিণত হয়েছে তরুণ-তরুণীদের প্রাণকেন্দ্রে। বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে কংক্রিটের শহুরে জীবন থেকে মুক্তি নিতে সবাই ছুটে আসেন ঢাকার মাঝে এক চিলতে সবুজ ক্যাম্পাস ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে।

টিএসসি, অপরাজেয় বাংলা, বটতলা, হাকিম চত্বর, ভিসি চত্বর, ফুলার রোড, সোহরাওয়ার্দী উদ্যান সবই যেন পরিণত হয়েছে প্রেমিক যুগলদের মিলনমেলায়। কে কাকে আগে ভালোবাসার কথা জানাবেন অথবা প্রিয় মানুষটিকে আবারও আজ বলবেন ‘ভালোবাসি’—তারই যেন প্রতিযোগিতা চলছে। দিবসটিকে ঘিরেই নিয়মিত ফুল বিক্রেতাদের পাশাপাশি মৌসুমি হকাররাও গোলাপ ফুল ও ‘হার্ট’ চিহ্নিত রংবেরঙের বেলুন যুগলদের হাতে তুলে দিচ্ছে তারা।

তবে নিজ ক্যাম্পাসে বসন্ত ও ভালোবাসা দিবস উদযাপন করতে না পারার আক্ষেপে পুড়ছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। বিশেষ করে ঢাবির প্রেমিক যুগলরা আফসোস করছেন সবচেয়ে বেশি। কারণ তাদের জন্য দিনটি অনেক স্পেশাল, দিনটিকে ঘিরে থাকে অনেক পরিকল্পনা।

বিশ্ববিদ্যালয়ের দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী ফরহাদ হোসেন অনেকটা আক্ষেপ নিয়েই জানান, গত বছর এ দিনটি খুব উপভোগ করেছিলাম। কিন্তু এবার করোনার কারণে ক্যাম্পাস বন্ধ থাকায় দিনটিকে খুব মিস করছি। আবারো ফিরে পেতে চাই সোনালী দিন।

প্রেমিক যুগলরা নতুন পোশাক, সাজসজ্জা, উপহার, হাতে হাত রেখে হাঁটা, প্রেয়সীর মাথায় ফুল গুঁজে দেওয়াসহ নানা কিছুতে তারা উপভোগ করে এই দিনটিকে। শুভ-সিনথিয়া যুগল ঢাকা পোস্টকে বলেন, দিনটি সত্যিই বিশেষ। এর জন্য অপেক্ষা করছিলাম। তাছাড়া এটি আমাদের প্রথম ভালোবাসা দিবস উদযাপন। খুবই উপভোগ করছি।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here