বাংলা খবর ডেস্ক:
বাংলাদেশে এখন পর্যন্ত ছয়জনের শরীরে মিলেছে ব্রিটেনে শনাক্ত হওয়া করোনার নতুন ধরন।
আজ বুধবার (১০ মার্চ) সরকারের রোগতত্ত্ব, রোগনিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা প্রতিষ্ঠানের (আইইডিসিআর) প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা এ এস এম আলমগীর এ তথ্য নিশ্চিত করে বলেন, এখন পর্যন্ত বাংলাদেশে ৬ জনের মধ্যে যুক্তরাজ্যের করোনা স্ট্রেইন পাওয়া গেছে। নতুন স্ট্রেইনের ওপর ভ্যাকসিন ঠিকভাবে কাজ করছে বলেও জানান তিনি।
তিনি উল্লেখ করেন, বাংলাদেশ এই স্ট্রেইন নিয়ে পর্যবেক্ষণ করছে। তবে বাংলাদেশে সংক্রমণ সংখ্যা বাড়ার জন্য ইউকে ভেরিয়েন্টের প্রভাব নেই।
বিজ্ঞান ও শিল্প গবেষণা পরিষদের (বিসিএসআইআর) জিনোমিক গবেষণাগার ল্যাব গত বছরের ২৪ ডিসেম্বর ব্রিটেনে শনাক্ত হওয়া করোনার নতুন ধরনের সঙ্গে মিল আছে এমন জিনোমের উপস্থিতি বাংলাদেশে পাওয়া গেছে বলে জানিয়েছিল।
দুই মাসে দেশে সর্বোচ্চ শনাক্ত:
ওদিকে দেশে দুই মাস পর একদিনে মহামারি করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা হাজার ছাড়িয়েছে। গত ২৪ ঘণ্টায় মারা গেছে সাতজন।
মঙ্গলবার বিকালে করোনার সর্বশেষ পরিস্থিতি জানাতে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর থেকে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য দেওয়া হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, গত ২৪ ঘণ্টায় এক হাজার ১৮ জনের শরীরে করোনা শনাক্ত হয়েছে। এতে মোট শনাক্তের সংখ্যা দাঁড়াল ৫ লাখ ৫৩ হাজার ১০৫ জন।
এর আগে সর্বশেষ ১০ জানুয়ারি স্বাস্থ্য অধিদপ্তর এক দিনে এর চেয়ে বেশি রোগী শনাক্তের তথ্য দিয়েছিল, সেদিন ১ হাজার ৭১ জনের মধ্যে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ধরা পড়েছিল। সেদিনের পর থেকে এ পর্যন্ত দেশে দৈনিক শনাক্ত রোগীর সংখ্যা হাজারের নিচেই ছিল।
গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন সাতজন নিয়ে এখন পর্যন্ত করোনায় দেশে প্রাণ হারিয়েছেন ৮ হাজার ৪৯৬ জন।
গত ২৪ ঘণ্টায় বাসা ও হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আরও ১ হাজার ২৬৪ জন রোগী সুস্থ হয়ে উঠেছেন। তাতে এ পর্যন্ত সুস্থ রোগীর মোট সংখ্যা বেড়ে ৫ লাখ ৬ হাজার ৬১৩ জন হয়েছে।
বাংলাদেশে করোনাভাইরাসের প্রথম সংক্রমণ ধরা পড়েছিল গতবছর ৮ মার্চ। আর তা সোয়া ৫ লাখ পেরিয়ে যায় গত ১৪ জানুয়ারি। এর মধ্যে গত বছরের ২ জুলাই ৪ হাজার ১৯ জন করোনা রোগী শনাক্ত হয়, যা এক দিনের সর্বোচ্চ শনাক্ত।
প্রথম রোগী শনাক্তের ১০ দিন পর গত বছরের ১৮ মার্চ দেশে প্রথম মৃত্যুর তথ্য নিশ্চিত করে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। এ বছর ২৩ জানুয়ারি তা আট হাজার ছাড়িয়ে যায়। এর মধ্যে গত বছরের ৩০ জুন এক দিনেই ৬৪ জনের মৃত্যুর খবর জানানো হয়, যা এক দিনের সর্বোচ্চ মৃত্যু।